IPL 2025: RCB-কে হারাতেই বিরাট কোহলিকে ‘খোঁচা’ দিয়ে পোস্ট শুভমন গিলের?

Apr 03, 2025 | 4:45 PM

২২ গজে যখন জাতীয় দলের জার্সি গায়ে চাপিয়ে গিল-কোহলিরা নামেন, সেই সময় একে অপরের জন্য প্রয়োজনে জান লড়িয়ে দেন। আর যখনই আসে আইপিএল, সেই সময় জাতীয় দলের সতীর্থরাও হয়ে ওঠেন প্রতিপক্ষ।

IPL 2025: RCB-কে হারাতেই বিরাট কোহলিকে খোঁচা দিয়ে পোস্ট শুভমন গিলের?
RCB-কে হারাতেই বিরাট কোহলিকে 'খোঁচা' দিয়ে পোস্ট শুভমন গিলের?
Image Credit source: IPL Website

Follow Us

কলকাতা: ভারতীয় ক্রিকেটের কিং বিরাট কোহলি (Virat Kohli)। আর ভারতীয় ক্রিকেটের প্রিন্স শুভমন গিল (Shubman Gill)। কিং আর প্রিন্সের টক্কর হলে কী হয়? ক্রিকেট মহলের মতে, কিংয়ের তো কিছু আলাদা করে প্রমাণ করার নেই। তবে প্রিন্সের থাকে। ২২ গজে যখন জাতীয় দলের জার্সি গায়ে চাপিয়ে গিল-কোহলিরা নামেন, সেই সময় একে অপরের জন্য প্রয়োজনে জান লড়িয়ে দেন। আর যখনই আসে আইপিএল, সেই সময় জাতীয় দলের সতীর্থরাও হয়ে ওঠেন প্রতিপক্ষ। একে অপরকে ছাপিয়ে যাওয়া, নিজের দলকে সেরা প্রমাণ করার জেদ সকলের মধ্যে চেপে যায়। আর সেখানে যখন সিনিয়রদেরও ছাপিয়ে যান জুনিয়ররা, সেই সময় খুশি যেন দ্বিগুণ হয়।

আইপিএলের ম্যাচে বিরাট কোহলিরা ঘরের মাঠে নেমেছিলেন শুভমন গিলের গুজরাট টাইটান্সের বিরুদ্ধে। সেই ম্যাচে গিলরা জেতেন। আর জয়ের পর সোশ্যাল মিডিয়াতে এক ইঙ্গিতপূর্ণ পোস্ট করেন গুজরাট ক্যাপ্টেন শুভমন গিল।  সেই পোস্টকে ঘিরে নেটিজ়েনরা নানা সম্ভাবনার কথা তুলে ধরেছেন।

গুজরাট টস জিতে প্রথমে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয়। মরসুমের প্রথম হোম ম্যাচে ব্যাট করতে নেমে ১৬৯ রান করে আরসিবি। গুজরাট জবাবে ব্যাট করতে নেমে মাত্র দুই উইকেট হরিয়ে সহজেই ১৭০ রান তুলে নেয়। ম্যাচ শেষে শুভমন গিল ম্যাচের নিজের এক্স হ্যান্ডেলে একটি ছবি পোস্ট করেন। যেখানে নিজের দলের প্লেয়ারদের ছবির ক্যাপশনে লেখেন, “ম্যাচে নজর রাখো, উচ্ছ্বাসে নয়।” ওই ছবির নীচে অনেক সমর্থক এই পোস্টের সূত্রপাত হিসেবে উল্লেখ করছেন যে, “ভুবনেশ্বর কুমার যখন গিলকে আউট করেন, সেই সময় বিরাট খুব উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছিলেন।” এই প্রসঙ্গকেই গিলের ওই পোস্টের উত্তর হিসেবে দেখেছেন সমর্থকরা। যদিও ওই পোস্টের মূল কারণ জানা যায়নি। তবে সমর্থকদের দাবি, বিরাটের সেই মুহূর্তকে যেন খোঁচা দিয়ে এই পোস্ট করেছেন গিল।

উল্লেখ্য, আরসিবিকে হারিয়ে গুজরাট অধিনায়ক বলেন,  “এটা এমন একটি পিচ, যেখানে ২৫০ রানও উঠতে পারে। আবার খুব জলদি উইকেটও পড়তে পারে। আমারা ওদের ১৭০ মধ্যে আটকাতে পেরে খুশি ছিলাম। আমাদের বোলারদের লক্ষ্যই ছিল ম্যাচের শুরুতে উইকেট তুলে নেওয়া। আমরা পিচ পড়ে নিয়েই ব্যাট করতে নেমেছিলাম এবং আমারা সেই ভাবেই খেলেছি। ম্যাচও জিতেছি।”

Next Article