নয়াদিল্লি: সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় (Sourav Ganguly) যখন টিম ইন্ডিয়ার (Team India) অধিনায়ক ছিলেন, তখন যেমন ভারতীয় ক্রিকেটে পরিবর্তন দেখেছিল, তিনি যখন বোর্ড সভাপতির দায়িত্বে এলেন, তখনও ভারতীয় ক্রিকেট বেশ পরিবর্তন দেখল। ক্যাপ্টেন হিসেবে যেমন উত্থান-পতনের সাক্ষী ছিলেন সৌরভ, বিসিসিআই (BCCI) সভাপতি হিসেবেও একই অভিজ্ঞতা হল সৌরভের। ২০১৯ সালের মাঝামাঝি সময় বোর্ড সভাপতি হিসেবে নিযুক্ত হন মহারাজ। চলতি বছরের সেপ্টেম্বর-অক্টোবরে সৌরভের তিন বছরের চুক্তি শেষ হতে চলেছে। এমন সময়, বিসিসিআই প্রেসিডেন্ট হিসেবে কতটা সফল হয়েছেন তিনি, তার রায় জনসাধারণের ওপর ছেড়ে দিচ্ছেন সৌরভ। পাশাপাশি তিনি এও জানান, কী উত্তরাধিকার রেখে যাবেন তিনি, তা বলার মতো অবস্থায় নেই তিনি।
এক সাক্ষাৎকারে সৌরভ বলেন, “আমি মনে করি না এটা বেশি চ্যালেঞ্জিং। আমার উত্তরাধিকার কী? আসলে, আমি এখন তা বলতে পারব না। দেখা যাক কী হয়। আমার উত্তরাধিকার বিচার করা আপনাদের সবার উপর নির্ভর করছে। কিন্তু গত দুই বছরে করোনার কারণে একটা কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে আমরা যাচ্ছি। মহামারি সারা বিশ্বে ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে এবং আমরা ভাগ্যবান যে আমরা এখনও বেশিরভাগ ক্রিকেট সম্পন্ন করতে পেরেছি।”
সৌরভের বোর্ড করোনা কালে আইপিএল দেশে আয়োজন করতে গিয়ে ধাক্কা খেলেও, পরিস্থিতি সামাল দিয়েছে। এক বার নয়, পর পর দু’বার মরুশহরে সফলভাবে আইপিএল আয়োজন করেছে বিসিসিআই। সৌরভ বোর্ড সভাপতি থাকাকালীন ভারত প্রথম দিন-রাতের টেস্ট খেলেছে। মেয়েদের দল ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ায় টেস্ট খেলেছে, পাশাপাশি গোলাপি বল টেস্টও খেলেছেন স্মৃতি মান্ধানারা। রবি শাস্ত্রীর পর ভারতীয় কোচের দায়িত্বে নিযুক্ত হয়েছেন রাহুল দ্রাবিড়। এনসিএতে প্রধান দায়িত্বে এসেছেন ভিভিএস লক্ষ্মণ।
তবে বোর্ড প্রেসিডেন্ট হিসেবে সৌরভের মেয়াদকালে, সব থেকে বড় বিতর্কের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে কোহলির ক্যাপ্টেন্সি ছাড়া। বোর্ড বনাম বিরাটের দ্বন্দ্ব। কোহলি টি-২০-র ক্যাপ্টেন্সি স্বেচ্ছায় ছাড়ার পর, বোর্ড ওয়ান ডে ক্যাপ্টেন্সি থেকে তাঁকে সরিয়ে দেয়। এর পরই কোহলি জানান, তিনি যখন টি-২০-র অধিনায়কের দায়িত্ব ছাড়তে চেয়েছিলেন, তখন তাঁর সিদ্ধান্তকে ভালোভাবেই মেনে নিয়েছিল বোর্ড। কিন্তু অন্যদিকে সৌরভ জানান, কোহলিকে ক্যাপ্টেন্সি ছাড়তে বারণ করা হয়েছিল বোর্ডের তরফ থেকে। ব্যাস দুই তারকার দুই মন্তব্যে ভারতীয় ক্রিকেটকে তোড়পাড় করে তোলে। এরই মধ্যে বিরাটের টেস্ট ক্যাপ্টেন্সি ছেড়ে দেওয়াটা অন্য মাত্রা যোগ করে। ফলে সব মিলিয়ে সৌরভের এখনও পর্যন্ত বোর্ড সভাপতি হিসেবে কাজে সাফল্য যেমন রয়েছে, তেমনই রয়েছে সমালোচনাও। এখন শুধু দেখার বছরের শেষে ফের কি মেয়াদ বাড়বে সৌরভের? নাকি তাঁর সিংহাসনে বসবেন অন্য কেউ?
বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা
আরও পড়ুন: India vs Sri Lanka: শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে বেঙ্গালুরুতে দিন-রাতের টেস্টই হচ্ছে, জানালেন সৌরভ
নয়াদিল্লি: সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় (Sourav Ganguly) যখন টিম ইন্ডিয়ার (Team India) অধিনায়ক ছিলেন, তখন যেমন ভারতীয় ক্রিকেটে পরিবর্তন দেখেছিল, তিনি যখন বোর্ড সভাপতির দায়িত্বে এলেন, তখনও ভারতীয় ক্রিকেট বেশ পরিবর্তন দেখল। ক্যাপ্টেন হিসেবে যেমন উত্থান-পতনের সাক্ষী ছিলেন সৌরভ, বিসিসিআই (BCCI) সভাপতি হিসেবেও একই অভিজ্ঞতা হল সৌরভের। ২০১৯ সালের মাঝামাঝি সময় বোর্ড সভাপতি হিসেবে নিযুক্ত হন মহারাজ। চলতি বছরের সেপ্টেম্বর-অক্টোবরে সৌরভের তিন বছরের চুক্তি শেষ হতে চলেছে। এমন সময়, বিসিসিআই প্রেসিডেন্ট হিসেবে কতটা সফল হয়েছেন তিনি, তার রায় জনসাধারণের ওপর ছেড়ে দিচ্ছেন সৌরভ। পাশাপাশি তিনি এও জানান, কী উত্তরাধিকার রেখে যাবেন তিনি, তা বলার মতো অবস্থায় নেই তিনি।
এক সাক্ষাৎকারে সৌরভ বলেন, “আমি মনে করি না এটা বেশি চ্যালেঞ্জিং। আমার উত্তরাধিকার কী? আসলে, আমি এখন তা বলতে পারব না। দেখা যাক কী হয়। আমার উত্তরাধিকার বিচার করা আপনাদের সবার উপর নির্ভর করছে। কিন্তু গত দুই বছরে করোনার কারণে একটা কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে আমরা যাচ্ছি। মহামারি সারা বিশ্বে ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে এবং আমরা ভাগ্যবান যে আমরা এখনও বেশিরভাগ ক্রিকেট সম্পন্ন করতে পেরেছি।”
সৌরভের বোর্ড করোনা কালে আইপিএল দেশে আয়োজন করতে গিয়ে ধাক্কা খেলেও, পরিস্থিতি সামাল দিয়েছে। এক বার নয়, পর পর দু’বার মরুশহরে সফলভাবে আইপিএল আয়োজন করেছে বিসিসিআই। সৌরভ বোর্ড সভাপতি থাকাকালীন ভারত প্রথম দিন-রাতের টেস্ট খেলেছে। মেয়েদের দল ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ায় টেস্ট খেলেছে, পাশাপাশি গোলাপি বল টেস্টও খেলেছেন স্মৃতি মান্ধানারা। রবি শাস্ত্রীর পর ভারতীয় কোচের দায়িত্বে নিযুক্ত হয়েছেন রাহুল দ্রাবিড়। এনসিএতে প্রধান দায়িত্বে এসেছেন ভিভিএস লক্ষ্মণ।
তবে বোর্ড প্রেসিডেন্ট হিসেবে সৌরভের মেয়াদকালে, সব থেকে বড় বিতর্কের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে কোহলির ক্যাপ্টেন্সি ছাড়া। বোর্ড বনাম বিরাটের দ্বন্দ্ব। কোহলি টি-২০-র ক্যাপ্টেন্সি স্বেচ্ছায় ছাড়ার পর, বোর্ড ওয়ান ডে ক্যাপ্টেন্সি থেকে তাঁকে সরিয়ে দেয়। এর পরই কোহলি জানান, তিনি যখন টি-২০-র অধিনায়কের দায়িত্ব ছাড়তে চেয়েছিলেন, তখন তাঁর সিদ্ধান্তকে ভালোভাবেই মেনে নিয়েছিল বোর্ড। কিন্তু অন্যদিকে সৌরভ জানান, কোহলিকে ক্যাপ্টেন্সি ছাড়তে বারণ করা হয়েছিল বোর্ডের তরফ থেকে। ব্যাস দুই তারকার দুই মন্তব্যে ভারতীয় ক্রিকেটকে তোড়পাড় করে তোলে। এরই মধ্যে বিরাটের টেস্ট ক্যাপ্টেন্সি ছেড়ে দেওয়াটা অন্য মাত্রা যোগ করে। ফলে সব মিলিয়ে সৌরভের এখনও পর্যন্ত বোর্ড সভাপতি হিসেবে কাজে সাফল্য যেমন রয়েছে, তেমনই রয়েছে সমালোচনাও। এখন শুধু দেখার বছরের শেষে ফের কি মেয়াদ বাড়বে সৌরভের? নাকি তাঁর সিংহাসনে বসবেন অন্য কেউ?
বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা
আরও পড়ুন: India vs Sri Lanka: শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে বেঙ্গালুরুতে দিন-রাতের টেস্টই হচ্ছে, জানালেন সৌরভ