Sourav Ganguly: বাক্সের ভেতর ‘জ্যান্ত’ সৌরভকে দেখে চমকে উঠলেন মহারাজ
দেশের প্রাক্তন অধিনায়ক সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের সামনে হুবহু মহারাজ। এমনটা দেখে কী করলেন দাদা?

কলকাতা: চোখের সামনে এক্কেবারে হুবহু আপনার মতো মানুষকে দেখতে পাচ্ছেন। শুধু তাই নয়, আপনি ঠিক যা যা করেন, সেই মানুষটিও ওই কাজই করছেন। এই পরিস্থিতিতে যে কেউ ভিরমি খেতে বাধ্য। এ বার ধরুন চোখ কচলে নিলেন একটু, তাতেও একই দৃশ্য। এই সময় থ হওয়া ছাড়া আর নেই কোনও উপায়। সাধারণ মানুষের সঙ্গে এমনটা ঘটলে কেউ কেউ চমকে যেতে পারেন, ভয়ও পেতে পারেন। আর পাঁচটা সাধারণ মানুষের মতোই সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ও (Sourav Ganguly) চমকে গিয়েছেন। কারণ, তিনি নিজের চোখের সামনে দেখেছেন বাক্সের ভেতর হুবহু মহারাজ! যা দেখে কী করলেন সৌরভ?
বিষয়টা একটু পরিষ্কার করা যাক। আসলে সম্প্রতি কলকাতায় সৌরভ নিজের চোখে দেখেছেন তাঁর ‘হামশকল’-কে (হুবহু দেখতে ব্যক্তি)। যদিও প্রাণ নেই সেই ব্যক্তির। দেখতে লাগছে একেবারে জীবন্ত। এ কথা শুনে অনেকেই ভাববেন, তা হলে তো আর সমস্যা নেই। কিন্তু এখানেই সমস্যা। সৌরভ চোখের সামনে যে সৌরভকে দেখেছেন, তাঁর মাথার চুল থেকে পায়ের নখ সব তাঁর মতো। গলার স্বরও এক্কেবারে মহারাজের মতো। আর এমনটা সম্ভব হয়েছে আইকনজ়ের (Ikonz) জন্য। কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তাকে কাজে লাগিয়ে হায়দরাবাদ ভিত্তিক এই সংস্থা তৈরি করেছে, সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের এক নতুন অবতার।
কলকাতার আইটিসি রয়্যাল বেঙ্গলে সৌরভের অবতার লঞ্চের অনুষ্ঠান হয়েছে। দাদার এই চমকে দেওয়া অবতার এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে, যা ২০০টি ভাষায় কথা বলতে পারদর্শী। বিজ্ঞানের এই কৃতিত্ব দেখে সৌরভ রীতিমতো চমকে গিয়েছেন। সঙ্গে তিনি খুশিও। এই উপলক্ষে, Ikonz-এর সঙ্গে পার্টনারশিপের বিষয়ে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, ‘আমি আমার ডিজিটাল অবতারকে দেখে উত্তেজিত। খেলাধুলা, বিনোদন, শিক্ষা এবং তার বাইরেও এর বিরাট সম্ভাবনা রয়েছে। আইকনজ়ের সততার কথা উল্লেখ করতে হয়। তারা আমার ব্যক্তিগত ব্র্যান্ডের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে আমাকে এই উদ্যোগে পার্টনার করেছে।’
আইকনজ়ের সিইও মিস্টার অবিনব ভার্মা কালিদিন্দি বলেন, ‘সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় ক্রিকেটের শ্রেষ্ঠ ব্যক্তিত্বের একজন। ক্রিকেটের উন্নতি ও উদ্ভাবনের ক্ষেত্রে সর্বদাই তিনি অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছেন। এই ডিজিটাল অবতারের মাধ্যমে, আমরা তাঁর এআই অবতারকে বিশ্বজুড়ে নতুন দর্শক এবং শিল্পের কাছে পৌঁছে দিতে পেরে রোমাঞ্চিত। আমাদের দল এই কাজের জন্য অত্যাধুনিক এআই, মোশন-ক্যাপচার এবং নিউরাল-সিনথেসিস প্রযুক্তি ব্যবহার করেছে। যাতে অবতারটি সৌরভের মতোই কথা বলতে পারে। নড়াচড়া করতে পারে। আবেগ প্রকাশ করতে পারে।’
উল্লেখ্য, সৌরভের অবতার তৈরি করতে আইকনজ় যেভাবে দেশের প্রাক্তন অধিনায়কের কথা বলার ধরন, কণ্ঠস্বর, কোনও অনুভূতি ব্যক্ত করার স্টাইল এবং আরও যা যা ব্যবহার করেছে, সবকিছু সুরক্ষিত রয়েছে। লাইসেন্স ছাড়া কেউ তা ব্যবহার করতে পারবেন না।





