Asia Cup 2022: বিশাল রান তাড়া করে বাংলাদেশকে ছিটকে দিল শ্রীলঙ্কা
Asia Cup 2022: ওভার পেনাল্টিতে সার্কেলের বাইরে একজন ফিল্ডার কম নিয়ে শেষ ওভারে বোলিং করতে হয় মেহদি হাসানকে। শেষ ওভারে ৮ রান প্রয়োজন ছিল শ্রীলঙ্কার হাতে মাত্র ২ উইকেট।

দুবাই : অবিশ্বাস্য জয়। এশিয়া কাপের (Asia Cup 2022) সুপার ফোরে শ্রীলঙ্কা। ১৮৪ রানের বিশাল লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ২ উইকেটে জয় শ্রীলঙ্কার (Sri Lanka)। জয় এল নো-বলে। ওভার রেট পেনাল্টিতে সার্কেলের বাইরে একজন ফিল্ডার কম নিয়ে শেষ ওভারে বোলিং করতে হয় বাংলাদেশের (Bangladesh) অফস্পিনার মেহদি হাসানকে। শেষ ওভারে ৮ রান প্রয়োজন ছিল শ্রীলঙ্কার। হাতে মাত্র ২ উইকেট। প্রথম বলেই লেগ বাইতে সিঙ্গল। দ্বিতীয় বলে বাউন্ডারি মারেন অভিষেককারী অশিথা ফার্নান্দো। পরের বলে ২ রান নেন। নো বলের সাইরেন বাজে। ডাবল চেক করেন আম্পায়াররা। নো-বলের সেই সাইরেনে বাংলাদেশের বিদায়ও নিশ্চিত হয়ে যায়। ৪ বল বাকি থাকতেই জয় নিশ্চিত শ্রীলঙ্কার। গ্রুপ পর্বেই ছিটকে গেল বাংলাদেশ।
টসে জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় শ্রীলঙ্কা। অধিনায়ক দাসুন শানাকার এই সিদ্ধান্ত কার্যত ভুল প্রমাণিত হতে থাকে। বাংলাদেশ ইনিংসে কোনও অর্ধশতরান নেই। তারপরও ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১৮৩’র বড় স্কোরা বাংলাদেশের। ৯ বলে ২৪ রানের ক্যামিও ইনিংস মোসাদ্দেক হোসেনের। মেহদি হাসান মিরাজকে দিয়ে ওপেন করায় বাংলাদেশ। তিনি ২৬ বলে ৩৮ রান করেন। অধিনায়ক সাকিব করেন ২২ বলে ২৪ রান। শ্রীলঙ্কা বোলারদের মধ্যে চামিকা করুণারত্নে ৩২ রান দিয়ে ২ উইকেট নেন। রান তাড়ায় শ্রীলঙ্কার শুরু অনবদ্য। কুশল মেন্ডিস ৩৭ বলে ৬০ রান করেন। পরপর উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে শ্রীলঙ্কা। অধিনায়ক দাসুন শানাকার ৩৩ বলে ৩৫ রানের ইনিংসে ফের ম্যাচে ফেরে শ্রীলঙ্কা। শেষ ২ ওভারে লক্ষ্য দাঁড়ায় ২৫। চামিকা করুণারত্নে ক্রিজে থাকায় চাপ বাড়ছিল বাংলাদেশের। সাকিবের অনবদ্য থ্রোয়ে রান আউট চামিকা। তাতেও হার বাঁচানো গেল না। এশিয়া কাপে টানা আধ ডজন হারের পর অবশেষে জয় পেল শ্রীলঙ্কা। এর আগে ২০১৬ তে শেষ বার আরব আমিরশাহিকে হারিয়েছিল শ্রীলঙ্কা।
ম্যাচ শেষে বাংলাদেশ অধিনায়ক সাকিব আল হাসান বলেন, ‘স্লগ ওভারে আমাদের আরও ভালো বোলিং করতে হবে। শেষ দিকে একটা সময় ওদের ১৭-১৮ রান প্রয়োজন, হাতে ২ উইকেট। তারপরও কয়েক বল বাকি থাকতেই জিতে নিল।’ বাংলাদেশের হয়ে টি ২০ অভিষেক হল এবাদত হোসেনের। ৩ উইকেট নিলেও ৪ ওভারে রান দিলেন ৫১। দু-দলের মধ্যে পার্থক্য গড়ে দেয় অতিরিক্ত বলও। বাংলাদেশ বোলাররা ৪ টে নো-বল এবং ৮ টি ওয়াইড দেন।





