কলকাতা: চিপকে রবি-রাত রাঙবে কোন রংয়ে? বেগুনি নাকি কমলা? নাইটরা তৈরি অরেঞ্জ আর্মিকে হারিয়ে তৃতীয় ট্রফি কেকেআর শিবিরে আনতে। আর প্যাট কামিন্সের টিম? গৌতম গম্ভীরের কেকেআরকে কড়া টক্কর দিতে তৈরি। আইপিএলে (IPL) এই প্রথম বার নেতৃত্ব দিচ্ছেন প্যাট কামিন্স। শুধু তাই নয় টি-২০ ফর্ম্যাটেও প্রথম বার নেতা কামিন্সকে দেখা যাচ্ছে। আইপিএল ক্যাপ্টেন হিসেবে অভিষেকেই নজর কেড়েছেন কামিন্স। শ্রেয়সের আইপিএলে নেতৃত্ব দেওয়ার অভিজ্ঞতা রয়েছে। এ বার দেখার ১৭তম আইপিএল ফাইনালে শ্রেয়স নাকি প্যাট কোন ক্যাপ্টেন দলকে জেতাতে পারেন। টস জিতলেন হায়দরাবাদের অধিনায়ক প্যাট কামিন্স। নাইটদের বড় টার্গেট দিতে চায় অরেঞ্জ আর্মি।
প্যাট কামিন্সের অধিনায়ক হিসেবে ভাগ্য বেশ ভালো। একইসঙ্গে তাঁর ট্রফির সঙ্গে রয়েছে এক অদ্ভুত কানেকশন। বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনাল, ওডিআই বিশ্বকাপ ফাইনালের আগে প্রতিপক্ষ ভারতের ক্যাপ্টেন রোহিত শর্মার সঙ্গে ফটোশুটের সময় কামিন্স বাঁ দিকে ছিলেন। এ বার আইপিএল ফাইনালের ফটোশুটের সময়ও কামিন্স ছিলেন বাঁ দিকে। এ বার শ্রেয়স কি পারবেন কামিন্সের ও ট্রফির এই কানেকশন ভাঙতে?
কামিন্স ম্যাচের আগে বলে দিলেন, ‘উইকেট দেখে কিন্তু বেশ ভালো লাগছে। তবে আমি অবশ্য খুব ভালো উইকেট পড়ে উঠতে পারি না। কিন্তু চেন্নাইয়ের পিচ দেখে খারাপ মনে হচ্ছে না। অন্যান্য ম্যাচগুলোতে সেই অর্থে শিশিরের প্রভাব দেখিনি। কিন্তু আজ কী হবে কে জানে। আমরা যে ছন্দে খেলছি, রোজ যে তা কাজে লাগবে এমন বলা সম্ভব নয়। কিন্তু স্বপ্ন তো থাকবেই।’
টসে জিতলে বলই করতেন। তাই টসে হেরেও শ্রেয়সকে খুশিই দেখাল। বলে দিলেন, ‘এই উইকেট কেমন পরিষ্কার ধারনা আছে। চেন্নাইয়ের লাল মাটির পিচের মতো আমেদাবাদের পিচ ছিল। ওখানে আমরা খেলেছি, ফলে কিছুটা ধারনা তো রয়েইছে। তবে অতীত নিয়ে ভাবার মতো সময় নেই। যে পরিকল্পনা নিয়ে মাঠে নামছি, সেটাই আঁকড়ে ধরে চলব। টিমের প্রত্যেকে নিজের দায়িত্ব পালনের জন্য তৈরি। ফাইনালের থেকে বড় কিছু হয় না। ড্রেসিংরুমে এমন অনেকেই আছে, যাঁরা প্রথম বার আইপিএল ফাইনালে খেলছে। একদিকে যেমন নার্ভাসনেস রয়েছে। অন্যদিকে এক্সাইটমেন্টও রয়েছে।’
কলকাতা নাইট রাইডার্সের একাদশ – রহমানউল্লাহ গুরবাজ, সুনীল নারিন, ভেঙ্কটেশ আইয়ার, শ্রেয়স আইয়ার, রিঙ্কু সিং, আন্দ্রে রাসেল, রমনদীপ সিং, মিচেল স্টার্ক, বৈভব আরোরা, হর্ষিত রানা ও বরুণ চক্রবর্তী।
ইমপ্যাক্ট পরিবর্ত – অনুকূল রায়, মনীশ পান্ডে, নীতীশ রানা, শ্রীকর ভরত, শেরফান রাদারফোর্ড।
সানরাইজার্স হায়দরাবাদের একাদশ – অভিষেক শর্মা, ট্রাভিস হেড, রাহুল ত্রিপাঠী, এইডেন মার্কব়্যাম, নীতীশ রেড্ডি, হেনরিখ ক্লাসেন, শাহবাজ আহমেদ, প্যাট কামিন্স, ভুবনেশ্বর কুমার, টি নটরাজন ও জয়দেব উনাদকাট।
ইমপ্যাক্ট সাবস্টিটিউট – আব্দুল সামাদ, উমরান মালিক, ওয়াসিংটন সুন্দর, মায়াঙ্ক মার্কন্ডেয়, গ্লেন ফিলিপস।