কয়েক সপ্তাহের মধ্যে আকাশ-পাতাল বদলে গিয়েছে হার্দিক পান্ডিয়ার জীবন। কয়েক সপ্তাহ আগেও যে মাঠেই খেলতে গিয়েছেন, জুটেছে বিদ্রুপ। সেটা নিজের দেশেই। আর এখন বিদেশের মাটিতেও জুটছে তালি। প্রশংসায় ভরিয়ে দিচ্ছেন সকলেই। জাতীয় দলের জার্সি গায়ে চাপাতেই বদলে গিয়েছে পরিস্থিতি। ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে হতাশার মরসুম কেটেছে হার্দিক পান্ডিয়ার। দু-বছর পর মুম্বই ইন্ডিয়ান্সে ফিরেছিলেন। রোহিতকে সরিয়ে তাঁকে অধিনায়ক করা হয়। নেতৃত্ব কিংবা পারফরম্যান্স, কোনও ভূমিকাতেই দাগ কাটতে ব্যর্থ। সেই হার্দিকই এখন বিশ্বজয়ের স্বপ্ন দেখাচ্ছেন। আর ভারতের বিশ্বজয়ী প্রাক্তন ক্রিকেটার মুগ্ধ হার্দিকের আকর্ষণ ক্ষমতায়।
ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে নানা বিতর্কের মুখে পড়েছিলেন হার্দিক পান্ডিয়া। মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের প্রাক্তন অধিনায়ক রোহিতের সঙ্গে তাঁর আচরণ নিয়েও অনেক প্রশ্ন উঠেছিল। বিশেষ করে একটি ম্যাচে রোহিতকে বাউন্ডারি লাইনে ফিল্ডিংয়ের জন্য পাঠানোর ইশারায় সমর্থকরা ক্ষোভে ফেটে পড়েছিলেন। তবে জাতীয় দলে সব কিছুই যে বদলে গিয়েছে, প্রতি ম্যাচেই তা ধরা পড়ছে। হার্দিক যেমন দুর্দান্ত পারফর্ম করছেন তেমনই সতীর্থদের সঙ্গে তাঁর আচরণও সম্মান আদায় করে নিয়েছে।
টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে ভারত একবারই বিশ্বকাপ জিতেছে। ২০০৭ সালে সেই উদ্বোধনী বিশ্বকাপে ভারতের জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল শ্রীসন্থের। সেই প্রাক্তন পেসারই বলছেন, ‘হার্দিক যে ভাবে বোলিং করছে, কোনও ভাবেই পার্টটাইম বোলার বলা যায় না। নতুন বলেও বোলিং করতে পারে, আবার যে কোনও সময়ই। কাটার দিতে পারে। অজি টিমে মার্কাস স্টইনিস যেমনটা করে থাকে, ভারতীয় দলে হার্দিকও তেমনই। গুরুত্বপূর্ণ সময়ে উইকেটও নিচ্ছে। একজন অলরাউন্ডারের থেকে যা বড় প্রাপ্তি।’
হার্দিক কি ভারতীয় টিমে চুম্বকের মতো! শ্রীসন্থের কথায় যেন তেমনই ইঙ্গিত। বলছেন, ‘ভালো ম্যাচ হলে হার্দিকের পারফরম্যান্সও ভালো হয়ে যায়। ও সকলকে একসঙ্গে রাখে। ও বোলিং, ব্যাটিং, ফিল্ডিংয়ে ম্যাচ জেতাতে পারে। আইপিএল অতীত। এখানে অন্য হার্দিক। যে সকলকে একজোট করে রাখতে পারে।’