মাস খানেক আগেই দ্বিতীয় বার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ভারত। দীর্ঘ ১৭ বছরের ব্যবধানে টি-টোয়েন্টিতে বিশ্বজয়। ২০০৭ সালে মহেন্দ্র সিং ধোনির নেতৃত্বে উদ্বোধনী সংস্করণেই চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল ভারত। সেই টিমে ছিলেন তরুণ রোহিত শর্মাও। ১৭ বছর পর সেই রোহিত শর্মার নেতৃত্বে সেরার খেতাব। ২০০৭ বিশ্বকাপ ফাইনাল প্রসঙ্গ উঠলে যেমন ওপেনার গৌতম গম্ভীরের ইনিংসের কথা বলতে হয়, ধোনির নেতৃত্ব, তেমনই শেষ ওভারে যোগীন্দর শর্মার বোলিং। ফাইনালে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে স্নায়ুর চাপ সামলে শেষ ওভারে বোলিং করা সহজ ছিল না। ধোনি ভরসা রেখেছিলেন। মর্যাদা রেখেছিলেন যোগীন্দর। চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল ভারত। দীর্ঘ ১২ বছর পর বিশ্বজয়ের সেই নায়ক বন্ধুর সঙ্গে দেখা মহেন্দ্র সিং ধোনির।
ভারতীয় ক্রিকেটে নানা কঠিন সময় এসেছে। ২০০৭ সালেও তেমনই একটা কঠিন সময় এসেছিল। ওয়েস্ট ইন্ডিজে হওয়া ওয়ান ডে বিশ্বকাপে রাহুল দ্রাবিড়ের নেতৃত্বাধীন ভারতীয় দল প্রথম রাউন্ডেই বিদায় নেয়। সেই হতাশা কেটেছিল দক্ষিণ আফ্রিকায়। শুরু হয় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। মহেন্দ্র সিং ধোনির নেতৃত্বে একঝাঁক তরুণ ক্রিকেটারকে সুযোগ দেওয়া হয়। ট্রফি জিতেই দেশে ফেরে ভারত। ২০০৭ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের অন্যতম নায়ক যোগীন্দরের ক্রিকেট কেরিয়ার অবশ্য দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। বন্ধুত্ব রয়ে গিয়েছে ক্যাপ্টেন ধোনির সঙ্গে।
এক যুগ পর দেখা হওয়ার সেই ছবি পোস্ট করেছেন পুলিশের বড় কর্তা যোগীন্দর শর্মা। ব্যাকগ্রাউন্ডে বাজছে বন্ধুত্বের গান। সঙ্গে মাহিকে মেনশন করে লেখা-অনেক দিন পর আবারও দেখা হল। প্রায় ১২ বছর পর সাক্ষাতে অনেক মজার মুহূর্তও কাটল।’
ভারতীয় ক্রিকেট প্রেমীদের কাছে এই মুহূর্ত মধুর। স্মৃতি ফিরে এল সেই ২০০৭ সালের ফাইনাল। যেখানে শেষ ওভারে মাত্র ১৩ রান নিয়ে লড়াই করতে হয়েছিল যোগীন্দর শর্মাকে। ম্যাচ এবং ট্রফি জিতেছিল ভারতই।