Cricket Love Story: ‘বোনের দিকে তাকাবি না’, সিনিয়র ক্রিকেটারের হুমকি উড়িয়ে প্রেম-বিয়ে, ক্যাপ্টেনের প্রেমের গল্প জানেন?

Rohit Sharma and Ritika Sajdeh love story: সব প্রেমকাহিনিতে একজন দাদা, কাকা, মামা, কিংবা খোদ হবু শ্বশুর থাকেন। যাঁরা না-থাকলে প্রেমটা ঠিক তরতাজা হয়ে ওঠে না। বলা যেতে পারে, ওই রকম 'তৃতীয়পক্ষ' না থাকলে জমজমাট হয় না, চর্চা হয় না।

Cricket Love Story: 'বোনের দিকে তাকাবি না', সিনিয়র ক্রিকেটারের হুমকি উড়িয়ে প্রেম-বিয়ে, ক্যাপ্টেনের প্রেমের গল্প জানেন?
Love Story: 'বোনের দিকে তাকাবি না', সিনিয়র ক্রিকেটারের হুমকি উড়িয়ে প্রেম-বিয়ে, ক্যাপ্টেনের প্রেমের গল্প জানেন?
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Feb 07, 2023 | 4:17 PM

সঙ্ঘমিত্রা চক্রবর্তী

প্রেমের চেয়ে সুন্দর আর কিছু হয় না। আবার প্রেমের মতো ঝুঁকি আর কিছুতে নেই। মিয়াঁ-বিবি রাজি হলেও এতে হুমকি থাকে। চোখরাঙানি থাকে। কথা না শুনলে বেদম প্রহারও জোটে অনেক সময়। ঘরবন্দি, ফোন কেড়ে নেওয়া, পাড়ায় ঢুকলে ঠ্যাং খোঁড়া করে দেবে দাদ্দারা— আরও কত কত কী! প্রেমের জয় বোধহয় এখানেই। প্রতিবন্ধকতার পাহাড় ঠেলে, অসংখ্য অন্ধকার রজনী পেরিয়ে প্রেম ঠিক আলোয় এসে পা দেয়। প্রেমিক-প্রেমিকা থেকে মিয়াঁ-বিবি হয়ে যান তাঁরা। কিন্তু ভুলে যান কি প্রেমের সেই কঠিন দিনগুলো? ভরা ফ্রেব্রুয়ারি মানে হীমেল বাতাসে প্রেমের গন্ধ। বসন্ত এসে গ্যাছে! আর এই বসন্তে বাছাই কিছু প্রেমের গল্প তুলে ধরল TV9 Bangla। প্রথম কিস্তিতে রোহিত শর্মার (Rohit Sharma) মারকাটারি প্রেমকাহিনি।

সব প্রেমকাহিনিতে একজন দাদা, কাকা, মামা, কিংবা খোদ হবু শ্বশুর থাকেন। যাঁরা না-থাকলে প্রেমটা ঠিক তরতাজা হয়ে ওঠে না। বলা যেতে পারে, ওই রকম ‘তৃতীয়পক্ষ’ না থাকলে জমজমাট হয় না, চর্চা হয় না। ভারতীয় টিমের ক্যাপ্টেন রোহিত শর্মার জীবনেও ছিল এমন একজন, যিনি মোটেও চাননি ঋতিকা সচদের সঙ্গে প্রেম হোক ভারতীয় টিমের ক্যাপ্টেনের। কে ছিলেন তিনি? ভারতীয় টিমেরই এক সিনিয়র। যিনি ছিলেন ঋতিকার দাদা। অবশ্য সরাসরি দাদা বলা যাবে না। সেই পাতানো দাদাই রীতিমতো হুমকি দিয়েছিলেন রোহিতকে। কে সেই দাদা? তাঁর নাম যুবরাজ সিং।

রোহিত তখন সবে ভারতীয় টিমে এসেছেন। নিজের জায়গা পাকা করার মরিয়া চেষ্টা করছেন হিটম্যান। ঋতিকা তাঁর ম্যানেজার হিসেবে কাজ করেন। ফোনে কথা হলেও মুখোমুখি তখনও দেখা হয়নি। সেই সময় একটি শুটিংয়ের ব্যবস্থা করেছিলেন ঋতিকা। যেখানে ছিলেন যুবরাজও। তিনি ঋতিকার সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার পাশাপাশি সাবধান করে দিয়েছিলেন, ঋতিকা তাঁর বোন। ভুলেও যেন প্রেম না করেন তাঁর বোনের সঙ্গে। নিশ্চয়ই বলেছিলেন, ‘আমার বোনের দিকে ভুলেও তাকাবি না।’ রোহিত যে যুবির হুমকিকে কর্ণপাত করেননি, তা বলাই বাহুল্য।

সেই প্রথম শুটিং থেকেই রোহিত-ঋতিকার ঘনিষ্ঠতা বাড়তে থাকে। শুরুর দিকে বন্ধুত্বই গড়ে ওঠে তাঁদের। কে না জানে, বন্ধুত্বই প্রেমের বুনিয়াদ। দু’জনের সেই বন্ধুত্বই ধীরে ধীরে প্রেমে পাল্টে গিয়েছিল। প্রায় ছ’বছর ডেট করার পর প্রেম নিবেদন করেছিলেন রোহিত। কোথায় ঋতিকাকে নিজের মনের কথা বলেছিলেন রোহিত? কোনও ফাইভস্টার হোটেল নয়, বোড়িভলির সেই স্পোর্টস কমপ্লেক্সে, যেখানে ১১ বছর বয়সে খেলা শুরু করেছিলেন রোহিত। ২০১৫ সালের ১৩ ডিসেম্বর এই দু’জন বিয়ে করে নেন।

পেশাদার সম্পর্ক থেকে প্রেমের সম্পর্কে কী ভাবে পা দিলেন ওঁরা দু’জন? ম্যানেজার হিসেবে রোহিতকে নির্ভরতা দিয়েছিলেন ঋতিকা। মাঠের বাইরে রোহিত যেমন অনবদ্য, মাঠের বাইরে তাঁরাই সে ভাবে নিজেদের মেলে ধরতে পারেন না। রোহিতের এই অভাবটা ঢেকে দিয়েছিলেন ঋতিকা। এই নির্ভরতাই ধীরে ধীরে দু’জনকে কাছাকাছি এনে দিয়েছিল। এতটা কাছে যে, তাঁরা ঠিক করেছিলেন, জীবনের পথটুকুও একসঙ্গেই হাঁটবেন।

ঋতিকাকে বিয়ের পর যুবি কী বলেছিলেন? রোহিতের মতো সুপাত্রের হাতে বোন ঋতিকাকে সঁপে দিতে পেরে খুশিই হয়েছিলেন যুবরাজ! রোহিত আর ঋতিকাও নিশ্চয় যুবির কাছে কৃতজ্ঞ, দু’জনের আলাপ করিয়ে দেওয়ার জন্য।