Virat Kohli: নেতা হওয়ার জন্য ক্যাপ্টেন হওয়ার দরকার নেই: বিরাট কোহলি

কোনও টিমে কাউকে যদি নেতা হতে হয়, ক্যাপ্টেন না হলেও চলবে। আর কেউ নন, বক্তার নাম বিরাট কোহলি (Virat Kohli)।

Virat Kohli: নেতা হওয়ার জন্য ক্যাপ্টেন হওয়ার দরকার নেই: বিরাট কোহলি
Virat Kohli: নেতা হওয়ার জন্য ক্যাপ্টেন হওয়ার দরকার নেই: বিরাট কোহলি
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jan 31, 2022 | 5:05 PM

নয়াদিল্লি: কোনও টিমে কাউকে যদি নেতা হতে হয়, ক্যাপ্টেন না হলেও চলবে। আর কেউ নন, বক্তার নাম বিরাট কোহলি (Virat Kohli)। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের (T20 World Cup) সময় থেকে ক্যাপ্টেন্সি বিতর্ক চলছে বিরাটকে নিয়ে। টি-টোয়েন্টির (T20) ক্যাপ্টেন্সি ছেড়েছিলেন নিজের ইচ্ছেয়। ওয়ান ডে-র নেতৃত্ব থেকে সরানো হয়েছে তাঁকে। দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে আবার টেস্ট ক্যাপ্টেন্সি ছেড়েছেন বিরাট। বলা হচ্ছিল, বোর্ডের সঙ্গে সরাসরি যুদ্ধ নামার কারণেই নেতৃত্ব ছাড়তে হল তাঁকে। সেই বিরাটই এ বার মুখ খুললেন।

‘ফায়ারসাইড চ্যাট উইথ ভিকে’ নামের এক অনুষ্ঠানে বিরাট বলেছেন, ‘নেতা হওয়ার জন্য কাউকে টিমের ক্যাপ্টেন হতে হয় না। মহেন্দ্র সিং ধোনি যখন ভারতীয় টিমে খেলত, তখন কিন্তু ওকে দেখে কখনও মনে হয়নি ও নেতা নয়। ওর কাছ থেকে আমরা তখনও প্রয়োজনীয় পরামর্শ নিতাম। জেতা কিংবা হারা কারও হাতে থাকে না। সেরা হতে গেলে কিন্তু দীর্ঘ সময় লাগে। খেলার মেয়াদ, দায়িত্ববোধের অনেক উপরে হয় সংস্কৃতি।’

এতেই শেষ নয়, ক্যাপ্টেন্সি ছেড়ে সামনে তাকানোটাও নেতৃত্বের অংশ বলেই মনে হচ্ছে বিরাটের। তাঁর যুক্তি, ‘সামনে তাকানোটাও কিন্তু ক্যাপ্টেন্সিরই অঙ্গ। সঠিক সময়ে নেতৃত্ব ছাড়াটাও। আমার তো মনে হয়, প্রত্যেকেরই সব রকম সুযোগ পাওয়া উচিত। ধোনির নেতৃত্বে বেশ কিছুদিন খেলার পর আমি ক্যাপ্টেন হয়েছিলাম। ওই সময়, যখন ক্যাপ্টেন ছিলাম না, তখনও কিন্তু আমার মানসিকতা একই ছিল। যখন সাধারণ প্লেয়ার ছিলাম, তখনও কিন্তু আমি ক্যাপ্টেনের মতোই ভাবতাম।’

ভারতের ক্যাপ্টেন হিসেবে ৬৮টা টেস্ট ম্যাচ খেলেছেন বিরাট। জিতেছেন ৪০টা। এমন রেকর্ড আর কারও নেই। বিরাট কিন্তু বলছেন, ‘প্রথমে একটা জিনিস ঠিক করতে হবে, লক্ষ্য কী? আর সেই লক্ষ্য ছুঁতে চাইছ কিনা। সব কিছুরই একটা নির্দিষ্ট সময় আছে। সেটা সম্পর্কে ওয়াকিবহাল থাকতে হবে। ব্যাটার হিসেবে কেউ যদি টিমকে অনেক কিছু দিতে পারে, সেটা নিয়েই গর্বিত হতে হবে।’

সঙ্গে জুড়েছেন, ‘একটা জিনিস খুব স্পষ্ট, নিজের সম্পর্কে কী ভাবছি, সেটা কিন্তু খুব গুরুত্বপূর্ণ। দিনের শেষ যদি দেখা যায় কারও উপর বেশি দায়িত্ব রয়েছে, তার মানে কিন্তু তার ভাবনা-চিন্তা অন্য রকম হতে হবে। সেই কারণেই নিজেকে বুঝতে হবে নিজের খেলা। না হলে কিন্তু আমি নিজেকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারব না।’

ক্যাপ্টেন হিসেবে দায় অনেক বেশি যে, তাও মনে করিয়ে দিচ্ছেন বিরাট। তাঁর কথায়, ‘টিমের প্রত্যেকের সঙ্গে যোগাযোগ বা সম্পর্ক ঠিক রাখাটা কিন্তু একটা বড় ব্যাপার। কেউ যখন পরামর্শ দিতে আসে, তখন তাকে থামিয়ে দিয়ে বলা যায় না, তোমার মতামত আমার দরকার নেই। বরং বলতে হয়, যদি দরকার পড়ে, আমি তোমার কাছে আসব। এই ভারসাম্যটা কিন্তু আমি সব সময় রাখার চেষ্টা করেছি।’

ভারতীয় টিমের সদ্য প্রাক্তন হওয়া ক্যাপ্টেন বিরাট কিন্তু বলছেন, ‘যে কোনও সংস্কৃতি বদলানো খুব কঠিন। আমি ভারতের ক্যাপ্টেন হওয়ার পর কিন্তু এটা বদলানোর চেষ্টা করেছি। আমি জানতাম, স্কিলের অভাব নেই আমাদের। প্রতিভার নিরিখে সেটাকে আরও বাড়াতে হবে। যে ভিশন নেমে এসেছিলাম, সেখানে পৌঁছতে হলে সংস্কৃতি বদলানোর প্রয়োজন ছিল। স্ট্র্যাটেজির থেকেও বেশি গুরুত্বপূর্ণ হল একটা টিমের মনোভাব, তাদের সংস্কৃতি।’

আরও পড়ুন: রাহানে আর পূজারাকে নিয়ে ভিন্ন মত সঞ্জয় মঞ্জরেকরের