কলকাতা: মিয়াঁ কাপ্তান বনোগে? ১৯৯০ সালের মুম্বই। ক্রিকেট ক্লাব অফ ইন্ডিয়াতে প্র্যাক্টিস চলছে ভারতের? এক তরুণ হায়দরাবাদির ডাক পড়ল প্র্যাক্টিসের মাঝে। তখন বিসিসিআইয়ের প্রেসিডেন্ট রাজ সিং দুঙ্গারপুর। তিনিই জানতে চাইলেন, ‘মিয়াঁ কাপ্তান বনোগে?’ মহম্মদ আজহারউদ্দিন এবং ভারতীয় ক্রিকেটে বাকিটা ইতিহাস। বহু যুগ পর তেমনই কোনও ডাক কি পেতে পারেন কেউ? ভারতীয় দলে নয়, আইপিএলের (IPL) দুনিয়ায়? এমন সম্ভাবনা কিন্তু তিন জনের ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে। তিন জনই দল হারা ক্যাপ্টেন। তিন জনই ভারতীয় ক্রিকেটের ভবিষ্যৎ। তিন জনই ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর নজরে। এঁরা কারা? শ্রেয়স আইয়ার (Shreyas Iyer), ঋষভ পন্থ (Rishabh Pant) এবং লোকেশ রাহুল (KL Rahul)।
কাহানি কাপ্তান কি— আগামী দিনে ওয়েব সিরিজও হতে পারে। আইপিএলের দুনিয়া বড় নির্মম। সাফল্য না পেলে জবাই। পেলেও কোনও গ্যারান্টি নেই। শ্রেয়স আইয়ারের মধ্যে দিয়ে প্রমাণ হয়ে গেল। টিমের স্যালারি ক্যাপের সঙ্গে ম্যাচ না করলে ছেঁটে ফেলে হতে পারে ট্রফি জেতা ক্যাপ্টেনকেও। তাই দেখা শ্রেয়সের ক্ষেত্রে। খবর ছিল আগেই, তাইই হল। কেকেআর রিটেন লিস্টে রাখল না শ্রেয়সকে। মুম্বইয়ের ছেলে নাকি আবার রাজধানীর দিকে হাঁটতে চলেছেন। দিল্লি তাঁকে ক্যাপ্টেন হিসেবে চাইছে। কথাও নাকি শুরু হয়েছে।
একই ছবি দেখা গেল দিল্লিতেও। ক্যাপ্টেন ঋষভ পন্থকে ছেড়ে দিল তারা। অদল-বদলের সম্ভাবনা কি আছে? উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। শ্রেয়স দিল্লিতে গেলে নাকি কলকাতার ক্যাপ্টেন হতে পারেন পন্থ। আর তা হলে কিন্তু এই শহর ভারতীয় ক্রিকেটের সবচেয়ে আগ্রাসী প্লেয়ারকে পেতে চলেছে নতুন ক্যাপ্টেন হিসেবে। তবে কোথাকার জল যে কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, তা দেখা পর্যন্ত জোর দিয়ে কিছুই বলা যাচ্ছে না। কারণ, কেউ কেউ আবার বলছেন, পন্থ নাকি প্রীতি জিন্টার টিম পঞ্জাবে খেলতে আগ্রহী।
লোকেশ রাহুলের ভবিষ্যৎ কী? সঞ্জীব গোয়েঙ্কার দল লখনউ সুপার জায়ান্টস তাঁকে ছেড়ে দিয়েছে। নিলামে দেখা যাবে রাহুলকেও। শোনা যাচ্ছে, তিনিও নাকি ফিরতে পারেন পঞ্জাবে। রাহুলের উত্থান পঞ্জাব থেকেই। ক্যাপ্টেনও ছিলেন। সাফল্যও পেয়েছিলেন। সেই রাহুল যদি পঞ্জাবে ফেরেন, তা হলে কি পন্থকে নেবেন প্রীতি? বললাম না, না আঁচালে বিশ্বাস করা যাবে না। ঠিকানা হারা আরও কয়েকজন ভারতীয় তারকা। যেমন গুজরাট ছেড়ে দিল মহম্মদ সামিকে। গত কয়েক বছর ধরেই চোট বারবার সমস্যায় ফেলছে তাঁকে। ওয়ান ডে বিশ্বকাপে চোট পেয়েছিলেন। সেখান থেকে এখনও বেরিয়ে আসতে পারেননি। অস্ট্রেলিয়া সফরের টিমেও সুযোগ মেলেনি। যে কারণে সামির উপর আস্থা কমেছে অনেকটাই। বাংলা থেকে একসময় উত্থান যে ক্রিকেটারের, সেই সামি কি কেকেআরে যোগ দিতে পারেন?
একই রকম পরিস্থিতি মহম্মদ সিরাজ ও যুজবেন্দ্র চাহালের। আরসিবি যেমন সিরাজকে ছেড়েছে, চাহালকে রাজস্থান। এই দু’জনকে নিলামে উঠতে হবে নতুন টিম খোঁজার জন্য। অবশ্য সিরাজের ক্ষেত্রে আরটিএম ব্যবহার করতে পারে আরসিবি।