চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আয়োজক পাকিস্তান। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছিল, পাকিস্তানে টিম পাঠানো হবে না। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সংস্থার তরফে পাকিস্তান বোর্ডকে হাইব্রিড মডেলের বিকল্প দেওয়া হয়েছিল। ভারতের ম্যাচ ও ফাইনাল আরব আমির শাহিতে এবং বাকি সব ম্যাচ পাকিস্তানে হবে, এই প্রস্তাব দিয়েছিল আইসিসি। যদিও পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড একগুঁয়ে মনোভাব নিয়ে চলছিল। এমন হুঁশিয়ারিও দিয়েছে, ভারতকে ছাড়াই চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি আয়োজন করবে। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি নিয়ে এ বার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সংস্থা। শুক্রবার আইসিসির বৈঠক।
ভারতকে ছাড়া চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি যে সম্ভব নয়, এ আর বলার অপেক্ষা রাখে না। ব্রডকাস্টার পাওয়াই কঠিন যাবে। আইসিসি সে কারণেই পাকিস্তান বোর্ডকে হাইব্রিড মডেলের কথা বলেছিল। পাশাপাশি পিসিবি-কে আরও বলা হয়েছিল, হাইব্রিড মডেলে করলে বাকি সব ম্যাচই পাকিস্তানে হবে এবং আয়োজক হিসেবে পুরো অর্থও পাবে। কিন্তু হাইব্রিড মডেলে না হলে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি পুরোপুরি সরতে পারে অন্যত্রও। দক্ষিণ আফ্রিকাকেও বিকল্প হিসেবে রাখা হয়েছে। পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড নানা টালবাহানা করেই যাচ্ছে। সে কারণেই অপেক্ষার পথে হাঁটতে নারাজ আইসিসি।
আগামী ২৯ নভেম্বর অর্থাৎ শুক্রবার আইসিসির বৈঠক। এটি ভার্চুয়াল মিটিং হতে পারে। সেখানে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের কাছে পরিষ্কার জানতে চাওয়া হবে, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি নিয়ে হাইব্রিড মডেলে রাজি কি না তারা। ২০১৭ সালের পর ফিরছে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি। ফেব্রুয়ারি ১৯ থেকে মার্চের মধ্য়ে উইন্ডো রাখা হয়েছে।
আইসিসি এখনও পূর্ণ সূচি কিংবা দিনক্ষণ ঘোষণা করেনি। এরকম টুর্নামেন্টের ক্ষেত্রে অনেক আগেই সূচি ঘোষণা করে দেওয়া হয়। শুক্রবারের মিটিংয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে প্রস্তুত আইসিসি। প্রয়োজনে আইসিসি সদস্য এবং সহযোগী দেশের মধ্য়ে ভোটের মাধ্যমেও টুর্নামেন্টের ভেনু ঠিক হতে পারে। পাকিস্তান হাইব্রিড মডেলে রাজি হলে অবশ্য ভোটাভুটির সম্ভাবনা ক্ষীণ।