AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

DC vs RCB, WPL Match Result: এলিস-আশাদের লড়াই ব্যর্থ প্রমাণ করে দিল্লিকে জেতালেন মারিজানে-শিখারা

WPL 2023: মুম্বইয়ের ডিওয়াই পাটিল স্টেডিয়ামে ছন্দে থাকা মেগ ল্যানিংয়ের দিল্লি ক্যাপিটালসের বিরুদ্ধে ৬ উইকেটে হারলেন এলিস-রিচারা।

DC vs RCB, WPL Match Result: এলিস-আশাদের লড়াই ব্যর্থ প্রমাণ করে দিল্লিকে জেতালেন মারিজানে-শিখারা
DC vs RCB, WPL Match Result: এলিস-আশাদের লড়াই ব্যর্থ প্রমাণ করে দিল্লিকে জেতালেন মারিজানে-শিখারাImage Credit: WPL Twitter
| Edited By: | Updated on: Mar 13, 2023 | 11:05 PM
Share

মুম্বই: পেন্ডুলামের মতো দুলতে থাকা ম্যাচের শেষে হাসি ফুটল দিল্লি ক্যাপিটালস শিবিরে। ডব্লিউপিএলের (WPL) প্রথম সংস্করণে টানা ৫ ম্যাচে হারের মুখ দেখল স্মৃতি মান্ধানার রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর। মুম্বইয়ের ডিওয়াই পাটিল স্টেডিয়ামে ছন্দে থাকা মেগ ল্যানিংয়ের দিল্লি ক্যাপিটালসের বিরুদ্ধে ৬ উইকেটে হারলেন এলিস-রিচারা। টানা চার ম্যাচে হারার পর অনেকটাই আত্মবিশ্বাস কমে গিয়েছিল আরসিবির। একের পর এক ম্যাচে হারলে যে কোনও দলই চাপে থাকবে এটাই স্বাভাবিক। তেমনটাই হয়েছিল স্মৃতির দলের সঙ্গে। একেবারে আত্মবিশ্বাস তলানিতে ঠেকে যাওয়া আরসিবি আজ দিল্লিকে হারাতে পারল না। যার ফলে চলতি উইমেন্স প্রিমিয়ার লিগে এখনও আরসিবির পয়েন্টের ঝুলি শূন্য। অন্যদিকে দিল্লি ৫ ম্যাচে খেলে ৪টিতে জিতল। বিস্তারিত ম্যাচ রিপোর্ট পড়ুন TV9Bangla-র এই প্রতিবেদনে।

টসে জিতে স্মৃতি মান্ধানার আরসিবিকে প্রথমে ব্যাট করতে পাঠান দিল্লির অধিনায়ক মেগ ল্যানিং। উইমেন্স প্রিমিয়ার লিগে টানা ৪ ম্যাচে হেরে আজ লিগ টেবলের দুই নম্বরে থাকা দিল্লির বিরুদ্ধে নেমেছিল স্মৃতির দল। যে কারণে শুরুটা ধীরেই করে আরসিবি। পাওয়ার প্লে-র মধ্যে প্রথম উইকেট হারিয়ে ফেলে আরসিবি। অধিনায়ক স্মৃতি মান্ধানাকে ফেরান জাতীয় দলে তাঁর সতীর্থ শিখা পান্ডে। ওপেনিং জুটিতে ওঠে ২৪ রান। মাত্র ৮ রান করে মাঠ ছাড়েন স্মৃতি। এরপর এলিস পেরির সঙ্গে জুটি বাঁধেন সোফি ডিভাইন। এই জুটিকে বেশিক্ষণ সেট হতে দেয়নি দিল্লি। আরসিবিকে দ্বিতীয় উইকেটও এনে দেন শিখা। নবম ওভারের শেষ বলে সোফির (২১) উইকেট তুলে নেন শিখা। আরও আগেই সোফি আউট হয়ে যেতেন, যদি না জেস জোনাসন ক্যাচ মিস করতেন। ৫.৩ ওভারের মাথায় ক্যাচ ফস্কান জেস। এখানেই শেষ নয়, দিল্লি আজ তিন বার ক্যাচ মিস করেছে।

সোফি ফিরলে ক্রিজে আসেন হেদার নাইট। এলিস-হেদার জুটিতে ওঠে ২২ রান। ১৩তম ওভারের মাথায় তারা নরিস তুলে নেন হেদার নাইটের (১১) উইকেট। শট ফাইন লেগে বল পাঠিয়েছিলেন হেদার। সেদিকে ফিল্ডিং করছিলেন শিখা। ক্যাচ নিতে কোনও ভুল করেননি তিনি। ৬৩ রানের মাথায় তৃতীয় উইকেট হারানোর পর চতুর্থ উইকেটে ঝোড়ো পার্টনারশিপ গড়েন এলিস পেরি ও রিচা ঘোষ। দ্রুতগতিতে, মাত্র ৩৪ বলে এলিস-রিচা জুটিতে তোলে ৭৪ রান। ১৯তম ওভারে ডিআরএস নিয়ে মারকাটারি খেলা রিচার উইকেট পায় দিল্লি। ১৬ বলে ৩৭ রান করে মাঠ ছাড়েন রিচা। শেষ অবধি ৬৭ রানে অপরাজিত থাকেন এলিস পেরি। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ১৫০ রান তোলে আরসিবি।

রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর ১৫০-৪ (২০ ওভার)

দিল্লি ক্যাপিটালস ১৫৪-৪ (১৯.৪ ওভার)

১২০ বলে ১৫১ রানটা দিল্লির মতো দলের জন্য যেখানে মেগ ল্যানিং-শেফালি ভার্মার মতো বিধ্বংসী ব্যাটাররা রয়েছেন, খুব একটা কঠিন নয়। কিন্তু আরসিবি আজ চার পরিবর্তন করেছিল। যার ফলে নতুন বলে শুরু করেন মেগান শুট। দিল্লির ইনিংসের প্রথম ওভারের দ্বিতীয় বলেই মেগান শুট তুলে নেন ওপেনার শেফালি ভার্মার উইকেট। রানের খাতা না খোলার আগেই মাঠ ছাড়তে হয় শেফালিকে। পাওয়ার প্লে-র মধ্যে জোড়া উইকেট হারায় দিল্লি। পঞ্চম ওভারে ছন্দে থাকা অ্যালিস ক্যাপসিকে (৩৮) ফেরান প্রীতি বোস। দ্বিতীয় উইকেটে ওঠে ৪৪ রান।

অ্যালিস ফিরলে অধিনায়ক ল্যানিং জুটি বাঁধেন জেমাইমা রডরিগজের সঙ্গে। নবম ওভারের মাথায় দিল্লি ক্যাপ্টেনকে ফেরান আশা। ১৫ রান করে ফেরেন মেগ। এরপর নামেন মারিজানে কাপ। জেমাইমার সঙ্গে দলকে এগিয়ে নিয়ে যান তিনি। ছন্দে থাকা জেমাইমা (৩২) বড় শট খেলতে গিয়ে ১৫তম ওভারে উইকেট দিয়ে বসেন আশা শোভানাকে। চতুর্থ উইকেটে মারিজানে কাপের সঙ্গে ঝোড়ো পার্টনারশিপ গড়েন জেস জোনাসন। ৩১ বলে ৪৫* রানের জুটি বাঁধেন মারিজানে-জেস। মাত্র ১৫ বলে ২৯ রান করেন জেস। যার মধ্যে ছিল ৪টি চার ও ১টি ছয়। ৩২ রানে অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়েন মারিজানেও। ম্যাচের সেরার পুরস্কার পেয়েছেন জেস জোনাসেন। ২ বল বাকি থাকতেই ১৫৪ রানে পৌঁছে যায় দিল্লি। যার ফলে খালি হাতেই মাঠ ছাড়তে হল স্মৃতিদের।