RCB vs DC, WPL Match Result: শেফালি-মেগের দুরন্ত ব্যাটিং, তারার ফাইফারে ভর করে জয় দিল্লির

WPL 2023: ব্যাটিং-বোলিং-ফিল্ডিং সব বিভাগেই আরসিবিকে ছাপিয়ে গেল মেগ ল্যানিংয়ের দিল্লি। যে কারণে, উইমেন্স প্রিমিয়ার লিগের দ্বিতীয় ম্যাচে ৬০ রানে জিতলেন শেফালি ভার্মা-জেমাইমা রডরিগজরা।

RCB vs DC, WPL Match Result: শেফালি-মেগের দুরন্ত ব্যাটিং, তারার ফাইফারে ভর করে জয় দিল্লির
RCB vs DC, WPL Match Result: শেফালি-মেগের দুরন্ত ব্যাটিং, তারার ফাইফারে ভর করে জয় দিল্লির
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Mar 05, 2023 | 7:56 PM

মুম্বই: ডব্লিউপিএলের উদ্বোধনী সংস্করণের দ্বিতীয় ম্যাচে দুরন্ত জয় দিল্লি ক্যাপিটালসের (DC)। বলা যায় দুরন্ত শেফালি ভার্মা, মেগ ল্যানিং এবং তারা নরিস। ব্রেবোর্ন স্টেডিয়ামে দিল্লি ক্যাপিটালস বনাম রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের ম্যাচের পর অনেকেই বলা শুরু করেছে, ‘দিল জিত লিয়া দিল্লি’। ব্যাটিং-বোলিং-ফিল্ডিং সব বিভাগেই আরসিবিকে (RCB) ছাপিয়ে গেল মেগ ল্যানিংয়ের দিল্লি। যে কারণে, উইমেন্স প্রিমিয়ার লিগের দ্বিতীয় ম্যাচে ৬০ রানে জিতলেন শেফালি ভার্মা-জেমাইমা রডরিগজরা। ম্যাচ রিপোর্ট বিস্তারিত পড়ুন TV9Bangla-র এই প্রতিবেদনে।

রবিবারের ডাবল হেডারের প্রথম ম্যাচে টসে জিতে প্রথমে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেন আরসিবি অধিনায়ক স্মৃতি মান্ধানা। প্রথমে ব্যাটিং করে ২ উইকেট হারিয়ে ২২৩ রান তোলে দিল্লি। যে ছন্দে ছিল মেগ ল্যানিংয়ের দিল্লি, তাতে কোনও উইকেট না হারিয়েই এই রান তুলে নিতে পারত। ১৪ ওভার পেরিয়ে গেলেও কোনও উইকেট পায়নি ব্যাঙ্গালোর। শেফালি ভার্মা ও মেগ ল্যানিংয়ের ওপেনিং জুটি কার্যত নাকানিচোবানি খাওয়াচ্ছিল রেনুকা ঠাকুর, মেগান শুট এবং প্রীতি বোসদের।

ওপেনিং জুটি ভাঙতে পারছিল না আরসিবি। ভারতের পিচে স্পিনাররা সুবিধা পাবে সে কথা ভেবেই হেদার নাইটের হাতে বল তুলে দেন স্মৃতি। তাঁর এই সিদ্ধান্তে সাফল্য পায় আরসিবি। ১৫তম ওভারে জমাট জুটি ভাঙেন নাইট। প্রথমে মেগ ল্যানিংয়ের (৭২) উইকেট তুলে নেন নাইট। এরপর দুরন্ত ছন্দে থাকা শেফালি ভার্মার (৮৪) উইকেটও ঝুলিতে ভরেন নাইট। ডব্লিউপিএলের ইতিহাসে প্রথম হাফসেঞ্চুরির রেকর্ড গড়েছেন মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের অধিনায়ক হরমনপ্রীত কৌর। এ বার উইমেন্স প্রিমিয়ার লিগের উদ্বোধনী সংস্করণে প্রথম সেঞ্চুরির রেকর্ড গড়ার সামনে পৌঁছে গিয়েছিলেন শেফালি। কিন্তু তিন অঙ্কের রান থেকে ১৬ রান দূরে উইকেট দিয়ে বসেন অনুর্ধ্ব-১৯ টি-২০ বিশ্বকাপে ভারতকে চ্যাম্পিয়ন বানানো শেফালি। ৪৫ বলে ৮৪ রানের দুরন্ত ইনিংস গড়ার পথে শেফালির ব্যাট থেকে এসেছে ১০টি চার ও ৪টি ছয়। এই জুটি ভাঙার পর দিল্লিকে এগিয়ে নিয়ে যায় মারিজানে কাপ ও জেমাইমা রডরিগজ জুটি। তৃতীয় উইকেটে এই জুটিতে ওঠে ৩১ বলে ৬০ রান। মারিজানে এবং জেমাইমা যথাক্রমে ৩৯ রানে এবং ২২ রানে অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়েন।

দিল্লি ক্যাপিটালস ২২৩-২ (২০ ওভার)

রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর ১৬৩-৮ (২০ ওভার)

২২৪ রানের টার্গেট তাড়া করতে নেমে শুরুটা ভালো করেছিল আরসিবি। কিন্তু পঞ্চম ওভারের মাথায় এসে ওপেনার সোফি ডিভাইনের (১৪) উইকেট তুলে নেন অ্যালিস ক্যাপসি। পাওয়ার প্লে-র মধ্যে ৫৪ রান তুলে নেয় আরসিবি। কিন্তু তারপরই ফের ধাক্কা খায়। আরসিবি ক্যাপ্টেন স্মৃতির উইকেটটিও পকেটে পুরে নেন অ্যালিস ক্যাপসি। ৩৫ রান করে মাঠ ছাড়েন স্মৃতি। এরপর তৃতীয় জুটিতে অ্যালিস পেরি এবং দিশা কাসত জুটিতে তোলে ৩৩ রান।

তারপর আর কোনও জুটিকেই জমাট হতে দেননি তারা নরিস-শিখা পান্ডেরা। ১১তম ওভারের মাথায় জোড়া ধাক্কা খায় আরসিবি। এলিস পেরির (৩১) স্টাম্প ছিটকে দেওয়ার পর দিশা কাসতের (৯) উইকেট তুলে নেন আইসিসি সহযোগী দেশের ক্রিকেটার তারা নরিস। ১৩তম ওভারে ফের দিল্লিকে জোড়া উইকেট এনে দেন তারা। বড় শট নিতে গিয়ে তারাকে উইকেট উপহার দেন রিচা ঘোষ (২)। পরের বলেই কনিকা আহুজার উইকেটও পান তারা। অষ্টম উইকেটে হেদার নাইট ও মেগান শুট জুটিতে তোলে ৫৪ রান। ছন্দে থাকা হেদার নাইটের উইকেট তুলে ডব্লিউপিএলের প্রথম ৫ উইকেট পেয়েছেন তারা নরিস। ফাইফার নিয়ে ইতিহাসে ঢুকে পড়েছেন তারা। ৪ ওভার বল করে ২৯ রান দিয়ে প্লেয়ার অব দ্য ম্যাচের পুরস্কার পেয়েছেন তারা। শেষ অবধি ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৬৩ রানে থামে আরসিবি। ৬০ রানে জিতে মাঠ ছেড়েছে দিল্লির।