কলকাতা: এম চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে বাংলার কাছে সুযোগ ছিল ৬ পয়েন্টের লক্ষ্যে ঝাঁপানোর। কিন্তু তা কতটা পূরণ করতে পারবে অনুষ্টুপের দল, বলা মুশকিল। ম্যাচের চতুর্থ দিন বাংলা যদি লাঞ্চ বিরতির আগে একটু অ্যাটাকিং খেলত তা হলে ছবিটা অন্য হতে পারত। আরও ভালো করে বললে যদি সুদীপ কুমার ঘরামি-ঋদ্ধিমান সাহারা গিয়ার শিফ্ট করে খেলতেন, তা হলে ৬ পয়েন্টে ফোকাস করতে পারত বাংলা। কিন্তু তা হয়নি। লাঞ্চের বেশ কিছুক্ষণ পর অবধি খেলা চালিয়ে যায় বাংলা। ৪০ বছর বয়সেও ৯০ স্ট্রাইকরেটে হাফসেঞ্চুরি করেছেন ঋদ্ধিমান সাহা (Wriddhiman Saha)। তাতে বিশেষ নজর কেড়েছেন পাপালি। দ্বিতীয় ইনিংস ডিক্লেয়ার করার আগে সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন সুদীপ কুমার ঘরামি। এ বার প্রশ্ন রঞ্জি ট্রফির (Ranji Trophy) এই ম্যাচে ৬ পয়েন্ট কি পাবে বাংলা?
কর্নাটকের বিরুদ্ধে চতুর্থ দিন ৬৩ বলে হাফসেঞ্চুরি পূরণ করেন ঋদ্ধিমান সাহা। অন্যদিকে ১৯৩ বলে সেঞ্চুরি পূরণ করেন সুদীপ কুমার ঘরামি। তার ঠিক কিছুক্ষণ পর ইনিংস ডিক্লেয়ার করেন বাংলার অধিনায়ক অনুষ্টুপ মজুমদার। শেষ অবধি ৭০ বলে ৬৩ রানে অপরাজিত থেকে মাঠ ছেড়েছেন ঋদ্ধি। সুদীপ ১০১ নট আউট। যেখানে ঋদ্ধির স্ট্রাইকরেট ৯০, সেখানে সেঞ্চুরি করা সুদীপের স্ট্রাইকরেট ৫২.৩৩। সুদীপ যদি লাঞ্চের আগে আর একটু আগ্রাসী হয়ে খেলতেন, তা হলে বাংলা সুবিধা পেত।
বাংলা প্রথম ইনিংসে ৩০১ রানে অল আউট হয়। এরপর প্রথম ইনিংসে কর্নাটককে ২২১ রানে গুটিয়ে দেয় বাংলা। ঋদ্ধিরা দ্বিতীয় ইনিংসে ৫ উইকেটে ২৮৩ রান তুলে ডিক্লেয়ার করে। এবং কর্নাটককে ৩৬৪ রানের টার্গেট দেয়। বলা যায় বাংলার হাতে ৫০ ওভারের মতো রয়েছে। যদি আলো সঙ্গ দেয় এবং এই সময়ের মধ্যে ১০ উইকেট তুলে নেয় বাংলা, তা হলে ৬ পয়েন্টের সম্ভবনা রয়েছে। আর সেটা না হলে প্রথম ইনিংসের লিডের কারণে ৩ পয়েন্ট বাংলার কার্যত নিশ্চিত। যদি মায়াঙ্ক আগরওয়াল, মনীশ পান্ডেরা অসম্ভব কিছু ইনিংস খেলে ম্যাচ না বের করে নেন।