কলকাতা: নিয়মানুবর্তিতা অনেক কিছু শেখায়। ধারাবাহিকতা অনেক ক্রিকেটারকে কেরিয়ারের ট্র্যাকে ফেরায়। প্রতিভা অনেকের মধ্যেই থাকে। সেই প্রতিভা এক বীজের মতো, আর তা গাছে পরিণত করতে হলে প্রয়োজন ধারাবাহিকতা। ভারতের তরুণ তুর্কি যশস্বী জয়সওয়াল (Yashasvi Jaiswal) বর্তমানে লাইমলাইটে। অত্যন্ত পরিশ্রম করে আজ তিনি এই জায়গায় পৌঁছেছেন। ছেলেবেলায় দিনের পর দিন আজাদ হিন্দ ময়দানের এক ঘুপচি তাঁবুতে দিন কাটিয়েছেন যশস্বী। খিদে, তেষ্টা ভুলে ক্রিকেট অনুশীলন চালিয়ে গিয়েছেন। সেই পরিশ্রমের ফল এখন তিনি পাচ্ছেন। অল্প বয়সে অনেক তরুণ ক্রিকেটার শিরোনামে আসেন। কিন্তু সকলে যশস্বীর মতো নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে পারেন না। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে যশস্বীর কোচ জ্বালা সিং জানিয়েছেন অন্যদের থেকে যশস্বীর পার্থক্য কোথায়?
যশস্বীর কোচ জ্বালা সিং তাঁর ছাত্রের পরিশ্রমকে শীর্ষে রেখে বলেন, ‘যে প্রক্রিয়াকে আমরা কাজের নীতি বলে মেনে চলি সেটা সব সময় গুরুত্বপূর্ণ। আমি মনে করি যদি তোমার মধ্যে প্রতিভা থাকে, তা হলে অনেককিছু সম্ভব। প্রতিভা একটা বীজ। সেটাকে গাছে পরিণত করতে হলে ধারাবাহিকতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সেই ধারাবাহিকতা আপনার জীবনধারা, কাজের নৈতিকতা, নিয়মানুবর্তিতা থেকে আসে। ওর মধ্যে সেই বিষয়টা রয়েছে। শুরু থেকেই এটা বজায় রাখলে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে শীর্ষে থাকা যায়। প্রতিনিয়ত খেলায় উন্নতি করার জায়গা রয়েছে। সচিন তেন্ডুলকরকেও নিজের খেলা উন্নত করতে হত। যদি কোনও প্লেয়ার এই সকল প্রক্রিয়া থেকে দূরে চলে যায়, তা হলে ধারাবাহিকতা ধরে রাখা যায় না। যশস্বীর কাজ করার নীতি অসাধারণ। ও কঠোর পরিশ্রম করে। ও ভালো মতো জানে ওর কী করা দরকার। সেখানেই অন্যদের থেকে ওর পার্থক্য।’
তেইশ ছুঁইছুঁই যশস্বী অল্প সময়েই ভারতীয় টিমে নিজের জাত চিনিয়েছেন। দেশের হয়ে ১৫টি টেস্ট ও ২৩টি টি-২০ ম্যাচ খেলেছেন বাঁ হাতি ব্যাটার। টেস্টে তাঁর সংগ্রহ ১৫৬৮ রান। সর্বাধিক ২১৪*। টি-২০-তে তিনি করেছেন ৭২৩ রান। সর্বাধিক ১০০। সম্প্রতি পারথ টেস্টে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ১৬১ রানের ইনিংস উপহার দিয়ে হইচই ফেলে দিয়েছেন যশস্বী। ৬ ডিসেম্বর থেকে শুরু হতে চলা অ্যাডিলেড টেস্টে যে কারণে তাঁর দিকে সকলের বাড়তি নজর থাকবে।