East Bengal vs Mohun Bagan: আনোয়ারকে নিয়ে দড়ি টানাটানি অব্যাহত, ক্রমশ পাকাচ্ছে জট

East Bengal-Mohun Bagan Transfer Saga: আনোয়ারকে যেমন সহজে ছাড়বে না মোহনবাগান, তেমনই ইস্টবেঙ্গলও লড়াইয়ের ময়দান ছেড়ে আসবে না। লোন চুক্তিতে ফিফা ২০২২ সালে নিয়ম কার্যকর করলেও, এদেশে এখনও সেই নিয়ম কার্যকর হয়নি। এখানেই বল মোহনবাগানের কোর্টে। এই বছরের মধ্যেই ফেডারেশনে লোন চুক্তির নতুন নিয়ম কার্যকর করতে হবে।

East Bengal vs Mohun Bagan: আনোয়ারকে নিয়ে দড়ি টানাটানি অব্যাহত, ক্রমশ পাকাচ্ছে জট
East Bengal-Mohun Bagan Transfer Saga: আনোয়ারকে নিয়ে দড়ি টানাটানি অব্যাহত, ক্রমশ পাকাচ্ছে জটImage Credit source: X
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 12, 2024 | 2:09 PM

কলকাতা: ময়দান তোলপাড়। অনেক বছর বাদে দলবদলের বাজার সরগরম একজন ফুটবলারকে নিয়ে। অতীতে ঠিক যেমনটা হত। দলবদলের বাজারে এখন একটাই নাম হেডলাইন। আনোয়ার আলি (Anwar Ali)। আজ মোহনবাগানে তো কাল ইস্টবেঙ্গলে। আবার পরের দিন মোহনবাগানে। মাঠের ডার্বির আগে আনোয়ার ইস্যুতে ডার্বি জমজমাট। গত বছর দিল্লি এফসি থেকে পাঁচ বছরের লোন ডিলে মোহনবাগানে সই করেন আনোয়ার। নতুন মরসুমের শুরুতে দিল্লি এফসির কর্তা রঞ্জিত বাজাজের টুইট শোরগোল ফেলে দেয়। ফিফা নিয়ম অনুযায়ী, লোন ডিল ১ বছরের বেশি কার্যকর নয়। এরপরই সরগরম ভারতীয় ফুটবল। আনোয়ারকে পেতে ঝাঁপায় ইস্টবেঙ্গল কর্তারা। চণ্ডীগড় পাড়ি দেন ইস্টবেঙ্গলের দুই শীর্ষকর্তা। আর সেখানেই আনোয়ারকে সই করানোর কাজ সেরে ফেলে লাল-হলুদ। ইস্টবেঙ্গলের চুক্তিপত্রে ৫ বছরের জন্য সই করে ফেলেন ভারতীয় ডিফেন্ডার। এরপরই চর্চায় আনোয়ারের চুক্তি। এই মুহূর্তে দুই দলেরই ফুটবলার আনোয়ার। কিন্তু শেষ হাসি কে হাসবে তা নিয়েই চলছে বিস্তর জলঘোলা। তবে এই ইস্যু সহজে যে মেটার নয়, তা ঠাওর করতে পেরেছেন দুই দলের সমর্থকরাই।

আনোয়ারকে যেমন সহজে ছাড়বে না মোহনবাগান, তেমনই ইস্টবেঙ্গলও লড়াইয়ের ময়দান ছেড়ে আসবে না। লোন চুক্তিতে ফিফা ২০২২ সালে নিয়ম কার্যকর করলেও, এদেশে এখনও সেই নিয়ম কার্যকর হয়নি। এখানেই বল মোহনবাগানের কোর্টে। এই বছরের মধ্যেই ফেডারেশনে লোন চুক্তির নতুন নিয়ম কার্যকর করতে হবে। নাহলে বিপদে পড়তে পারে ফেডারেশনও। সেক্ষেত্রে ১ জানুয়ারি ২০২৪ সালের আগে মোহনবাগানে ৫ বছরের জন্য লোন চুক্তিতে আনোয়ার সই করায়, সবুজ-মেরুন কিছুটা অ্যাডভান্টেজ। শুক্রবার সকালেই মোহনবাগানের সোশ্যাল মিডিয়ায় আনোয়ারের ভিডিও পোস্ট করা হয়। আর ওই ভিডিওর সঙ্গে গান জুড়ে দেওয়া হয়, ‘আ দেখে জারা, কিসমে কিতনা হ্যায় দম’। এরপর আবার সরগরম ময়দান।

ইস্টবেঙ্গলের পাকা চুক্তিপত্রে আনোয়ার সই করে ফেলায় লাল-হলুদও নিজেদের দাবিতে অনড় থাকতে পারবে। আনোয়ার ইস্যুতে জল গড়াবে প্লেয়ার স্ট্যাটাস কমিটিতে। সেখানে ফুটবলারের মতামতও শোনা হবে। মোহনবাগান আর আনোয়ারের লোন চুক্তিতে আদতে কি রয়েছে তা এখনও অজানা। সেখানে টার্মিনেশন ক্লজ বা এক্সটি ক্লজের বিষয়টাও খতিয়ে দেখতে হবে। লোন চুক্তি হওয়ায় আনোয়ারের মাদার ক্লাব দিল্লি এফসির মতামতও গুরুত্বপূর্ণ। সব মিলিয়ে আনোয়ার ইস্যু সহজে মেটার নয়। এমনকি বড়সড় জরিমানা বা নির্বাসনের মুখেও পড়তে পারেন ভারতীয় ডিফেন্ডার।