Santosh Trophy: রাজস্থানকে হারিয়ে শেষ চারে বাংলা
খেলার দ্বিতীয়ার্ধেই তিনটে গোল দেয় বাংলা। খেলার ৪৭ মিনিটে পেনাল্টি পায় বাংলা। আর সেখান থেকে গোল করে দলকে এগিয়ে দেন ফারদিন আলি মোল্লা (১-০)। ৫৯ মিনিটে দ্বিতীয় গোল পেয়ে যায় বাংলা। এ বারও গোলদাতা সেই ফারদিন। দুরন্ত পাসিং ফুটবলে রাজস্থানের বক্সের পৌঁছে যান মহিতোষরা।
বাংলা ৩ : রাজস্থান ০
(ফারদিন ৪৭,৫৯, সুজিত ৮১)
তিরুবন্তপুরম: সন্তোষ ট্রফির (Santosh Trophy) সেমিফাইনালে বাংলা (Bengal Football Team)। কেরলের কাছে ০-২ গোলে হারের পরই দুরন্ত প্রত্যাবর্তন করেছিল বাংলা দল। ডু অর ডাই ম্যাচে রাজস্থানকে (Rajasthan) হারিয়ে শেষ চারে পৌঁছে গেল রঞ্জন ভট্টাচার্যের ছেলেরা। আগের দিন মেঘালয়ের বিরুদ্ধে হাড্ডাহাড্ডি ম্যাচ জিতেছিল বাংলা। ওই ম্যাচে ৪-৩ গোলে জেতেন মহিতোষরা। একটা পেনাল্টি বাঁচিয়ে বাংলাকে বাঁচিয়েছিলেন প্রিয়ন্ত সিং। রবিবার রাজস্থানকে ৩-০ গোলে উড়িয়ে সেমিফাইনালে পৌঁছে গেল বাংলা। খেলার শুরু থেকেই প্রাধান্য দেখাতে থাকেন মহিতোষরা। যদিও গোল পেতে বাংলাকে দ্বিতীয়ার্ধ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়। প্রথমার্ধে আক্রমণ চালিয়েও গোল পায়নি বাংলা দল। খেলা শেষ হয় গোলশূন্য ভাবে। দ্বিতীয়ার্ধে শুরু থেকেই আক্রমণ চালাতে থাকেন রঞ্জন ভট্টাচার্যের ছেলেরা। আর তাতেই মেলে সুফল।
খেলার দ্বিতীয়ার্ধেই তিনটে গোল দেয় বাংলা। খেলার ৪৭ মিনিটে পেনাল্টি পায় বাংলা। আর সেখান থেকে গোল করে দলকে এগিয়ে দেন ফারদিন আলি মোল্লা (১-০)। ৫৯ মিনিটে দ্বিতীয় গোল পেয়ে যায় বাংলা। এ বারও গোলদাতা সেই ফারদিন। দুরন্ত পাসিং ফুটবলে রাজস্থানের বক্সের পৌঁছে যান মহিতোষরা। প্রথম প্রচেষ্টায় রাজস্থানের গোলকিপার শট বাঁচালেও, ফিরতি বল থেকেই গোল করে যান ফারদিন (২-০)।
খেলার ৮১ মিনিটে রাজস্থানের কফিনে শেষ পেরেকটি পুঁতে দেন সুজিত সিং। কর্নার থেকে পাসিং ফুটবল খেলার পর বক্সের একটু বাইরে থেকে বাঁ-পায়ের শটে রাজস্থানের গোলকিপারকে পরাস্ত করেন সুজিত।
৪ ম্যাচে ৯ পয়েন্ট সংগ্রহ করে সেমিফাইনালে পৌঁছে গেল বাংলা। ২৯ তারিখ বাংলার সেমিফাইনালের ম্যাচ। অপর গ্রুপে এখন শীর্ষে আছে মণিপুর। সোমবার ওড়িশার খেলা রয়েছে। সার্ভিসেসকে হারালেই গ্রুপের শীর্ষে পৌঁছে যাবে ওড়িশা। সেক্ষেত্রে ওড়িশার বিরুদ্ধে খেলবে বাংলা। আর তা নাহলে মণিপুরের বিরুদ্ধে খেলবেন মহিতোষরা। যদিও ফাইনালে যাওয়ার ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী বাংলার কোচ রঞ্জন ভট্টাচার্য।