Neymar: বার্সেলোনা কোর্টে হাজির নেইমার, শুনানি শুরু

কাতার বিশ্বকাপে (Qatar World Cup 2022) খেলতে যাওয়ার আগে বেশ চাপে পড়েছেন ব্রাজিলের (Brazil) তারকা নেইমার (Neymar)।

Neymar: বার্সেলোনা কোর্টে হাজির নেইমার, শুনানি শুরু
Neymar: বার্সেলোনা কোর্টে হাজির নেইমার, শুনানি শুরুImage Credit source: Twitter
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Oct 17, 2022 | 4:22 PM

বার্সেলোনা: কাতার বিশ্বকাপে (Qatar World Cup 2022) খেলতে যাওয়ার আগে বেশ চাপে পড়েছেন ব্রাজিলের (Brazil) তারকা নেইমার (Neymar)। লিগ ওয়ানের ম্যাচে মার্সেইয়ের বিরুদ্ধে তাঁর একমাত্র গোলেই জিতেছে পিএসজি। দলের সঙ্গে জয়ের সেলিব্রেশন বেশিক্ষণ করতে পারেননি তিনি। কিন্তু কেন? তা তুলে ধরল TV9Bangla। প্যারিস থেকে বার্সেলোনার বিমানে তিনি সেখানে পৌঁছেছেন। আজ, সোমবার বার্সেলোনার কোর্টে হাজির হয়েছেন পিএসজি তারকা। ২০১৩ সালে বার্সেলোনায় যোগ দেওয়ার সময় নেইমারের আর্থিক চুক্তিতে নাকি অস্বচ্ছতা ছিল। সেই জন্য নেইমারকে নিয়ে জালিয়াতি ও দুর্নীতির অভিযোগে মামলা করেছিল ব্রাজিলের এক বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান ডিআইএস। এই মামলায় নেইমারের পাশাপাশি আরও ৮ জন অভিযুক্ত। আজ, বার্সায় শুরু হয়েছে ওই মামলার শুনানি। আদালতের প্রথম দিনের কার্যক্রমে স্বশরীরে নেইমারকে উপস্থিত থাকতে হত। তেমনটাই করেছেন নেইমার।

বার্সায় পৌঁছে বিমানবন্দরে এক ফ্যানকে অটোগ্রাফও দেন নেইমার। ব্রাজিলিয়ান স্টাইকারকে বার্সার কোর্টে দেখা গিয়েছে সানগ্লাস পরে ঢুকতে। তাঁর পরনে ছিল টাই এবং কালো স্যুট। নেইমারের পাশাপাশি কোর্টে হাজির ছিলেন তাঁর বাবা, যিনি নেইমারের এজেন্টও। সকাল ১০টা নাগাদ শুনানি শুরু হওয়ার কথা ছিল। তার আগে নেইমার ও তাঁর বাবাকে দেখা যায় প্রাক্তন বার্সেলোনা সভাপতি স্যান্দ্রো রসেল ও স্যান্টোসের প্রাক্তন সভাপতি ওদিলো রদ্রিগেজের সঙ্গে খোশমেজাজে কথা বলতে। পুরো শুনানির জন্য নেইমারকে থাকতে বলা হবে কিনা তা এখনও স্পষ্ট নয়। মনে করা হচ্ছে আগামী সাত দিন ধরে এই শুনানি চলবে।

বৃহস্পতিবার বার্সেলোনায় এক প্রেস কনফারেন্সে ডিআইএসের আইনজীবী পাওলো নাসের বলেন, “নেইমার ও তাঁর বাবা-মা এবং বার্সেলোনা ও স্যান্টোসের পরিচালনা পর্ষদ আমার ক্লায়েন্টদের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন।”

উল্লেখ্য, নেইমার স্যান্টোসে থাকাকালীন তাঁর ৪০ শতাংশ স্বত্বের মালিকানা ছিল ডিআইএসের কাছে। সেই প্রতিষ্ঠানটির অভিযোগ, নেইমারের বার্সেলোনায় যোগ দেওয়ার সময় দল বদলের আসল অঙ্কটি প্রকাশ করা হয়নি। ফলে, ডিআইএসের স্বত্ব অনুযায়ী যে পরিমাণ টাকা পাওয়ার কথা ছিল, তারা সেটা পায়নি। ডিআইএসের দাবি, ২০১৩ সালে নেইমারকে ৫৭.১ মিলিয়ন ইউরো দিয়ে কিনেছিল কাতালান ক্লাবটি। তখন ৪০ মিলিয়ন ইউরো পেয়েছিল নেইমারের পরিবার। সেখান থেকে ২০ শতাংশ অর্থাৎ ১৭.১ মিলিয়ন পায় ডিআইএস। কিন্তু তাদের অভিযোগ, নেইমারকে প্রকৃত মার্কেট ভ্যালুর থেকে কম দামে কিনেছিল বার্সা।

নেইমারের দুই বছর কারাদণ্ডের পাশাপাশি ১ কোটি ইউরো জরিমানার দাবি করেছেন ডিআইএসের পক্ষের আইনজীবীরা। এ ছাড়া বার্সার ওই সময়ের সভাপতি রসেলের বিরুদ্ধে পাঁচ বছরের কারাবাস এবং কাতালান ক্লাবটিকে ৮৪ লাখ ইউরো জরিমানার দাবিও করা হয়েছে।