যেতে হবে অনেকটা রাস্তা। শুরুটা দুর্দান্ত হল। সন্তোষ ট্রফির বাছাই পর্বে বাংলার প্রথম প্রতিপক্ষ ছিল ঝাড়খণ্ড। কল্যাণী স্টেডিয়ামে ৪-০’র বড় ব্যবধানে জিতল বাংলা। গ্রুপ সি-তে রয়েছে বাংলা। ঝাড়খণ্ড ছাড়া বাকি দুটি দল উত্তরপ্রদেশ ও বিহার। গ্রুপ থেকে একটি দল পরের রাউন্ডে যাবে। ফলে ভুলের কোনও জায়গা নেই। একটা ভুল মানেই পিছিয়ে পড়া। হয়তো বাছাই পর্বেই ছিটকে যাওয়া। গ্রুপের তিন ম্যাচে জিতলে পরবর্তী রাউন্ড নিশ্চিত। নয়তো অঙ্ক কষতে হবে। প্রথম ম্যাচে ৪-০’র জয় বাংলাকে আত্মবিশ্বাসী করবে। কী বলছেন কোচ?
মরসুমের শুরুতে সন্তোষ ট্রফির জন্য বাংলা দলের কোচ হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছিল সঞ্জয় সেনকে। ভারতীয় ফুটবলে অতি পরিচিত নাম। আই লিগের টিমে কোচিং করিয়েছেন। মোহনবাগান তাঁর কোচিংয়ে আই লিগ চ্যাম্পিয়নও হয়েছে। ভারতের বয়স ভিত্তিক দলেরও দায়িত্ব সামলেছেন। তাঁর কোচিংয়ে ঝাড়খণ্ডের বিরুদ্ধে বাংলার শুরুটা ভালোই হল। বাংলার হয়ে জোড়া গোল রবি হাঁসদার। মনতোষ মাজি ও নরহরি শ্রেষ্টা একটি করে গোল করেছেন। মাত্র ১-০ এগিয়ে বিরতিতে যায় বাংলা। দ্বিতীয়ার্ধে বাকি তিন গোল।
ম্যাচ শেষে বাংলার কোচ সঞ্জয় সেন বলেন, ‘টুর্নামেন্টের প্রথম ম্যাচ সব সময় কঠিন হয়। অচেনা প্রতিপক্ষ। ঝাড়খণ্ডের কে কেমন খেলে সেটা জানা ছিল না। ছেলেদের সতর্ক থাকতে বলেছিলাম। জেতাটা অবশ্যই দরকার ছিল। এখান থেকে একটা দলই যাবে। তাই জয়ের পাশাপাশি ব্যবধানও বাড়াতে হবে। পরের দিকে যদি গোলপার্থক্যের ব্যাপার দাঁড়ায় তখন যাতে সমস্যা না হয়। প্রথম ম্যাচের সবচেয়ে ইতিবাচক দিক, ৯০ মিনিট খেলার মধ্যে থাকার চেষ্টা করেছে আমার ফুটবলাররা। এই জয় খেলোয়াড়দের কৃতিত্ব। আমি শুধু একটু গাইড করেছি।’
দল বাছাই নিয়ে প্রশ্নের মুখেও পড়েছিলেন বাংলার কোচ সঞ্জয় সেন। মোহনবাগানের কোনও ফুটবলার কেন সুযোগ পাননি। কোটার প্লেয়ার প্রসঙ্গও উঠে এসেছিল। সঞ্জয় সেন বলছেন, ‘এখানে কোনও কোটা সিস্টেম নেই। আমি যেখানে থাকি, এসব জিনিস কখনও মেনেও নিই না। কে কী বলল, এগুলো নিয়ে মাথাও ঘামাই না।’ সোমবার বাংলার দ্বিতীয় প্রতিপক্ষ উত্তরপ্রদেশ।