Asian Cup: করোনার কোপে এশিয়ান কাপ আয়োজন থেকে সরল চিন
আগামী বছর জুন মাসে এএফসি এশিয়ান কাপ। তার আগে হঠাৎই আয়োজকের ভূমিকা থেকে সরল চিন। কোন দেশে হবে এশিয়ান কাপ? আদৌ হবে তো? তীব্র বিভ্রান্তি এশিয়া সেরার টুর্নামেন্ট ঘিরে।
কুয়ালা লামপুর: হঠাৎই স্থগিত রাখা হয়েছে এশিয়ান গেমস (Asian Games ) । চলতি বছর এশিয়াড হবে কিনা, তা এখনও পরিষ্কার নয়। তার মধ্যেই আবার বড় ধাক্কা। চিনে এশিয়ান কাপের (Asian Cup) মূলপর্ব হবে না। ওই দেশে হঠাৎ করেই করোনার প্রভাব বাড়তে শুরু করেছে। যে কারণে চিনা ফুটবল সংস্থা এশিয়ান কাপ আয়োজন থেকে সরে দাঁড়াল। আগামী বছর ১৬ জুন থেকে ১৬ জুলাই হওয়ার কথা ওই টুর্নামেন্ট। এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশন বা এএফসিকে (AFC) তা জানিয়েও দিয়েছে তারা। অন্য কোন দেশ এই টুর্নামেন্ট আয়োজন করবে, তা নিয়ে এখনও এএফসি কোনও সিদ্ধান্ত জানায়নি। এক বিবৃতিতে এএফসি বলেছে, ‘চিনা ফুটবল সংস্থার সঙ্গে আলোচনার পর তারা জানিয়েছে, এশিয়া কাপ আয়োজন করা কোনও ভাবেই সম্ভব নয়।’
২০১৯ সালে জুন মাসে ২০২৩ সালের এশিয়ান কাপ আয়োজনের দায়িত্ব পেয়েছিল চিন। ২৪ টিমের টুর্নামেন্ট চিনের ১০টা শহর জুড়ে হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু করোনার কারণে চিনের বেশ কিছু বড় শহরে লকডাউন চলছে বেশি কিছু ধরেই। তা দীর্ঘমেয়াদি হতে পারে। কবে স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে ফিরতে পারবে চিন, তা নিয়ে ওই দেশের সরকারই ধন্দে রয়েছে। এই কারণেই এশিয়ান গেমস স্থগিত রাখা হয়েছে। প্রায় এক বছর পর এশিয়ান কাপ হলেও তখন পরিস্থিতি ঠিক হয়ে যাবে বলে মনে করছে না তারা। সেই কারণেই সরে দাঁড়ান। এএফসি বলছে, ‘এটা একটা ব্যতিক্রমী পরিস্থিতি। করোনার কারণেই এই সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছে তারা।’
? Important update on #AsianCup2023 hosts! https://t.co/Hv06gbaaDy
— #AsianCup2023 (@afcasiancup) May 14, 2022
এশিয়ান কাপ আয়োজন করবে কোন দেশ? এত অল্প সময়ের মধ্যে সম্ভব? এমন বেশ কিছু প্রশ্নের মুখে এশিয়ান কাপ থাকলেও যোগ্যতা পর্বের ম্যাচ নির্ধারিত সময় মেনে হচ্ছে। আগামী মাসে কলকাতায় এএফসি কাপের যোগ্যতা পর্ব হবে। ভারতীয় টিম সেখানে খেলবেও, যাতে এশিয়ান কাপের মূলপর্বে পা রাখতে পারেন সুনীল ছেত্রীরা।
এশিয়ান কাপের দিকে তাকিয়ে জোরকদমে প্রস্তুতি নেওয়া শুরু করে দিয়েছিল চিনা ফুটবল সংস্থা। সাংহাইয়ে একটি অত্যাধুনিক ফুটবল স্টেডিয়াম বানানো হয়ে গিয়েছে। এশিয়ান কাপের লোগোও প্রকাশ করা হয়েছে। এএফসি বিবৃতি অনুয়াযী, ‘জটিল পরিস্থিতিতে পড়েই এই সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছে ওরা। তবে অনেক আগেই এশিয়ান কাপের আয়োজন থেকে সরে দাঁড়ানোর পিছনে একটাই কারণ, যাতে এএফসি গুছিয়ে নেওয়ার সময় পায়। আগামী বছরের এশিয়ান কাপ কোথায় হবে, তা ঠিক করে নিতে হবে।’ চিন সরে দাঁড়ানোয় ব্যাপক সমস্যায় যে এএফসি পড়েছে, তা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই। স্পনসরদের সঙ্গে কথা বলে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করছে এএফসি।