Cristiano Ronaldo: বিশ্বকাপ যাত্রা শুরুর আগে নির্বাসনের মুখে রোনাল্ডো!
বিশ্বকাপ যাত্রা শুরু করার আগে নির্বাসনের মুখে পর্তুগাল অধিনায়ক ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো।
দোহা: ঘানার বিরুদ্ধে আগামীকাল বিশ্বকাপ যাত্রা শুরু করবে পর্তুগাল। তার আগে ২ ম্যাচে নির্বাসিত হলেন পর্তুগাল অধিনায়ক ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো (Cristiano Ronaldo)। একইসঙ্গে জরিমানাও করা হয়েছে সিআর সেভেনের। রোনাল্ডোর এই নির্বাসনের খাড়া যদিও দেশের জার্সিতে মাঠা নামার ক্ষেত্রে নয়। কারণ, তাঁকে এই শাস্তি দিয়েছে ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন (FA)। অর্থাৎ, রোনাল্ডো বিশ্বকাপের পর ইংল্যান্ডের কোনও ক্লাবের হয়ে খেললে, প্রথম দু’টি ম্যাচে মাঠে নামতে পারবেন না। ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেড (Manchester United) রোনাল্ডোর সঙ্গে সম্পর্ক শেষ করার ২৪ ঘণ্টাও পূর্ণ হয়নি। তার আগেই ওই ক্লাবে করা আচরণের জন্য শাস্তি পেতে হচ্ছে পর্তুগিজ অধিনায়ককে। কেন এই শাস্তি পেলেন রোনাল্ডো, তুলে ধরল TV9Bangla।
গত বছরের ৯ এপ্রিল এভার্টনের বিরুদ্ধে ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেডের এক ম্যাচে এক ভক্তের মোবাইল মাটিতে ছুড়ে ভেঙে ফেলেন রোনাল্ডো। যে কারণে শাস্তি হয়েছে রোনাল্ডোর। ওই কাণ্ড ঘটানোর জন্য দু’টি ম্যাচ নির্বাসনের পাশাপাশি ৫০ হাজার ইউরো জরিমানা করা হয়েছে রোনাল্ডোকে। আপাতত ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেড তাঁর প্রাক্তন ক্লাব। বিশ্বকাপের পরে তিনি কোন ক্লাবে যাবেন তা এখনও নিশ্চিত নয়। তবে এখনই এটা ঠিক হয়ে গেল, সিআর সেভেন যদি ইংল্যান্ডের কোনও ক্লাবের হয়ে খেলেন, তা হলে সেই ক্লাবের হয়ে প্রথম দু’টি ম্যাচে মাঠে নামতে পারবেন না তিনি।
এভারটনের বিরুদ্ধে ম্যান ইউয়ের ম্যাচের শেষে বিশেষ ভাবে সক্ষম এক খুদে সমর্থক রোনাল্ডোর সঙ্গে ছবি তোলার আবদার করেছিল। কিন্তু ম্যাচ হেরে যাওয়ায় হতাশ রোনাল্ডো ওই ছেলেটির হাত থেকে তার ফোনটি কেড়ে নিয়ে মাটিতে ছুড়ে ফেলেন। সেই ছেলেটির ফোনটি ভেঙে যায়। সে কান্না জুড়ে দেয়। সিআর সেভেনের এই কাজটি ভালো ভাবে নেয়নি এফএ। যার ফলে এই শাস্তি দিল রোনাল্ডোকে।
এফএ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, “এই ফরোয়ার্ড স্বীকার করেছেন যে, শনিবার ৯ এপ্রিল ২০২২ তারিখে ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেড এফসি এবং এভারটন এফসির মধ্যে প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচের শেষ বাঁশি বাজার পরে তাঁর আচরণ অনুচিত ছিল। একটি স্বাধীন নিয়ন্ত্রক কমিশন বিষয়টি খতিয়ে দেখেছে। এবং তাতে সেই কমিশন লক্ষ্য করেছে যে, পরবর্তীতে ওই ঘটনার শুনানির সময় তাঁর আচরণ অনুপযুক্ত এবং হিংস্র ছিল, যে কারণে তাঁর ওপর এই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।”
ক্লাব কেরিয়ারের এমন কঠিন সময়ে ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো অবশ্য এই সব নিয়ে ভাবছেন না। নিশ্চিতভাবে সিআর সেভেনের সামনে এখন একটাই লক্ষ্য। এ বারের বিশ্বকাপে নিজের সেরাটা উজাড় করে দেওয়া, এবং সোনালি ট্রফিটি দেশকে এনে দেওয়া।