ISL 2024-25: চোট আতঙ্ক দূরে সরিয়ে সমর্থকদের আশ্বাস ইস্টবেঙ্গল কোচের
East Bengal: অন্যান্য বারের তুলনায় এ বছর শক্তিশালী দল তৈরি করেছে ইস্টবেঙ্গল। জাতীয় দলের বেশ কয়েকজন ফুটবলার এখন আছেন লাল-হলুদে। গতবারের টপ স্কোরার দিমিত্রিয়াস ডায়ামান্টাকোস, প্লে মেকার মাদিহ তালালের মতো ফুটবলাররা আছেন এ বারের দলে।
কলকাতা: গত কয়েক বছরে আইএসএলে ইস্টবেঙ্গলের (East Bengal) শুধুই হতাশা। সুপার কাপ চ্যাম্পিয়ন হলেও আইএসএলে প্রথম ছয় অধরাই থেকেছে লাল-হলুদের। আইএসএলের (ISL) প্লে অফে এখনও অবধি জায়গা করতে পারেনি ইস্টবেঙ্গল। এ বছরও ডুরান্ড কাপের কোয়ার্টার ফাইনালে আই লিগের দল লাজং এফসির কাছে হেরে বিদায় নেয় কার্লেস কুয়াদ্রাতের ছেলেরা। অন্যান্য বারের তুলনায় এ বছর শক্তিশালী দল তৈরি করেছে ইস্টবেঙ্গল। জাতীয় দলের বেশ কয়েকজন ফুটবলার এখন আছেন লাল-হলুদে। গতবারের টপ স্কোরার দিমিত্রিয়াস ডায়ামান্টাকোস, প্লে মেকার মাদিহ তালালের মতো ফুটবলাররা আছেন এ বারের দলে। সমর্থকদের প্রত্যাশাও দ্বিগুণ হয়েছে। মরসুমের শুরুতে এসিএল টু-র প্লে অফে হার আর ডুরান্ডের ব্যর্থতা ভুলে ঘুরে দাঁড়ানোর চ্যালেঞ্জ ইস্টবেঙ্গলের।
মরসুমের শুরু থেকেই চোট সমস্যায় জেরবার লাল-হলুদ ব্রিগেড। প্রভাত লাকরা, নিশু কুমাররা চিন্তা বাড়িয়েছেন ম্যানেজমেন্টের। রক্ষণের দুর্বলতাও প্রকট হয়েছে। এমনকি দুই সাইডব্যাক পজিশনও ভরসা দিতে ব্যর্থ। কোচ কুয়াদ্রাত অবশ্য বলছেন তাঁর দলের বিদেশিদের কোনও চোট সমস্যা নেই। প্রত্যেকেই ১৪ তারিখ আইএসএলের প্রথম ম্যাচ খেলতে মুখিয়ে আছেন।
ইস্টবেঙ্গলে সই করলেও এখনও মাঠে নামা হয়নি আনোয়ার আলির। ফেডারেশনের প্লেয়ারস স্ট্যাটাস কমিটির রায়ের দিকেও তাকিয়ে আছে লাল-হলুদ শিবির। অধিনায়ক ক্লেটন সিলভা বলছেন, ‘গত বছর অল্পের জন্য সুপার সিক্সে থাকতে পারিনি। এবছর আমরা প্লে অফ খেলতে তৈরি। ট্রফি জিতে সমর্থকদের মুখে হাসি ফোটাতে চাই।’ কোচ কুয়াদ্রাতও আশ্বস্ত করে বলছেন, তাঁর দলের উপর আস্থা রাখতে। গত বছর সুপার কাপ জিতেছে ইস্টবেঙ্গল। এবছরও সমর্থকদের ট্রফির স্বাদ দিতে চান লাল-হলুদের স্প্যানিশ কোচ।
ইস্টবেঙ্গল, মোহনবাগানের পাশাপাশি মহমেডান স্পোর্টিং এ বছর থেকে আইএসএলে খেলবে। বাংলার ফুটবলের এতে অনেক উন্নতি হবে। মনে করছেন সৌভিক চক্রবর্তী। ডার্বির সংখ্যাও এবারে বাড়ছে। বাংলার ফুটবলে উন্মাদনাও যে আরও বাড়বে তা মনে করেন ইস্টবেঙ্গলের বঙ্গসন্তান।