Fifa on Online Abuse: অনলাইনে ফুটবলারদের গালিগালাজ, ঘৃণ্য মন্তব্য ! বরদাস্ত করবে না ফিফা
২০২০ সালের ইউরো এবং সেই বছরের আফ্রিকা নেশনস কাপের ফাইনালের ৫৫ শতাংশ ফুটবলার ম্যাচের আগে,পরে ও ম্যাচ চলাকালীন অনলাইনে ঘৃণ্য মন্তব্য, কটাক্ষের শিকার হয়েছেন।
জুরিখ: সোশ্যাল মিডিয়া নিজের মত প্রকাশের বড় স্থান। মত প্রকাশের স্বাধীনতার নামে এই প্ল্যাটফর্মের অপব্যবহারও চলে বহুমাত্রায়। খেলোয়াড়দের কথাই ধরা যাক। পারফর্ম করতে পারলে ভাল। তার অন্যথা হলে সোশ্যাল মিডিয়ায় শুরু হবে সমালোচনা, বন্যা বইবে কটাক্ষের। সংশ্লিষ্ট খেলোয়াড়ের স্ত্রী, পরিবার এমনকী ছেলেমেয়েদেরাও ছাড় পায় না। সম্প্রতি বিশ্ব ফুটবলের নিয়ামক সংস্থা ফিফা (FIFA) FIFRO-র সহযোগিতায় একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। অবাক করে দেওয়া ওই স্টাডিতে দেখা গিয়েছে, ২০২০ সালের ইউরো এবং সেই বছরের আফ্রিকা নেশনস কাপের ফাইনালের ৫৫ শতাংশ ফুটবলার ম্যাচের আগে,পরে ও ম্যাচ চলাকালীন অনলাইনে ঘৃণ্য মন্তব্য, কটাক্ষের শিকার হয়েছেন। তার মধ্যে বর্ণবিদ্বেষমূলক মন্তব্যও রয়েছে।
ফিফা নির্দিষ্ট কোনও ফুটবলারের নাম প্রকাশ না করলেও শোনা গিয়েছে আর্সেনালের বুকায়ো সাকা এবং ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেডের মার্কাস ব়্যাশফোর্ড সামাজিক মাধ্যমে সবচেয়ে বেশি কটাক্ষের শিকার হয়েছেন। গতবছরের জুলাইয়ে ওয়েম্বলিতে ইউরো কাপের ফাইনালে রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে পেনাল্টি শুটআউটে হারে ইংল্যান্ড। টানটান মুহূর্তে পেনাল্টি মিস করেন ব়্যাশফোর্ড এবং বুকাও সাকা দু’জনই। তারপরই ইংল্যান্ডের এই দুই ফুটবলারকে নিয়ে বিস্তর কাঁটাছেড়া শুরু হয়। দুটি টুর্নামেন্টের ক্ষেত্রেই দেখা গিয়েছে, সবচেয়ে বেশি নিজের দেশের মানুষদেরই রোষের শিকার হয়েছেন ফুটবলার,কোচ এবং ম্যাচ অফিশিয়ালরাও।
এই সার্ভে চোখ কপালে তুলে দিয়েছে ফিফা কর্তাদের। বছর শেষে কাতারে শুরু হচ্ছে ফুটবল বিশ্বকাপ। তার আগে এই বিষয়ে লাগাম না লাগালে পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যেতে পারে। তাই আগে থেকেই বাড়তি সতর্ক ফিফা। অনলাইনে ফুটবলারের ঘৃণ্য মন্তব্যের শিকার হওয়া থেকে বাঁচাতে এআই-এর সাহায্য নিতে চলেছে FIFA এবং FIFRO। পুরুষ এবং মহিলা উভয় বিশ্বকাপের সময় এই প্রযুক্তির মাধ্যমের ঘৃণ্য মন্তব্যগুলিকে খুঁজে বের করা এবং সেই বিষয়ে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার কথা শোনা গিয়েছে প্রেসিডেন্ট জিয়ান্নি ইনফ্যান্তিনোর মুখে।
আর্টিফিশিয়াল ইনটেলিজেন্স দ্বারা নোংরা মন্তব্যগুলিকে চিহ্নিত করা হবে। এরপর মন্তব্যকারীর সেই কমেন্ট যাতে অন্যরা দেখতে না পায় তা সুনিশ্চিত করবে এই প্রযুক্তি। যদিও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে কি না তা স্পষ্ট নয়। ফিফা প্রেসিডেন্টের কথায়, “আমাদের কাজই হল ফুটবলকে রক্ষা করা। আর সেটা শুরু হয় ফুটবলারদের দিয়ে। যাঁরা মাঠে নেমে আমাদের সুন্দর ফুটবলের আনন্দ উপহার দেন। আমর কথা নয় কাজ চাই। সেই কারণেই আমরা সরাসরি সমস্যার মোকাবিলার জন্য দৃঢ় পদক্ষেপ নিচ্ছি।”