Kolkata Football: ময়দানের মর্মান্তিক দিন, ফুটবল প্রেমী দিবসে আইএফএ-র উদ্যোগ
IFA, Football Lovers Day: প্রতি বছরের মতো এ বারও রক্তদান শিবিরের আয়োজন করছে বাংলা ফুটবল সংস্থা। ক্ষুদিরাম অনুশীলন কেন্দ্রে সকাল ন’টা থেকে শুরু হবে রক্তদান। চলবে সন্ধে ছ’টা পর্যন্ত।
দিনটা ভোলার নয়। তেমনই সুখ স্মৃতিরও না। সালটা ১৯৮০। যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গন হয়নি। ময়দানের বিভিন্ন মাঠের পাশাপাশি ইডেন গার্ডেন্সে হত ফুটবলের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচগুলি। ১৯৮০ সালের ১৬ অগস্ট ইডেনে ছিল বড় ম্যাচ। আবেগের বড় ম্যাচেই বিরাট দুর্ঘটনা হয়। ইস্টবেঙ্গল-মোহনবাগান ম্যাচ মানেই বাড়তি উন্মাদনা। সেই ম্যাচেও তার অন্যথা ছিল না। কিন্তু মাঠের লড়াইয়ের আঁচ ছড়িয়ে পড়ে গ্যালারিতেও। ইডেনে সেই দিনটিতে লাখো সমর্থক। ছত্রভঙ্গ পরিস্থিতি। পদপিষ্ঠ হয়ে প্রাণ হারান ১৬জন ফুটবল প্রেমীর। খেলার মাঠে এরকম ঘটনার যাতে পুনরাবৃত্তি না হয়, তারই প্রার্থনা করেন সকলে। ১৯৮১ সাল থেকে এই দিনটিকে ফুটবলপ্রেমী দিবস হিসেবে পালন করা হয়। ম্যাচের বিস্তারিত রইল TV9Bangla Sports-এর এই প্রতিবেদনে।
প্রতি বছরের মতো এ বারও রক্তদান শিবিরের আয়োজন করছে বাংলা ফুটবল সংস্থা। ক্ষুদিরাম অনুশীলন কেন্দ্রে সকাল ন’টা থেকে শুরু হবে রক্তদান। চলবে সন্ধে ছ’টা পর্যন্ত। এ বার রক্তদাতাদের দেওয়া হবে বাংলার অন্যতম সেরা কোচ সঞ্জয় সেনের সই করা শংসাপত্র। সকাল সাড়ে এগারোটা নাগাদ রক্তদাতাদের উৎসাহ দিতে আসবেন রাজ্যের ক্রীড়া-যুব ও বিদ্যুৎ মন্ত্রী মাননীয় অরূপ বিশ্বাস। থাকবেন আইএফএ সচিব অনির্বাণ দত্ত সহ আরও বিশিষ্ট মানুষ। থাকবেন সেই হতভাগ্য পরিবারের সদস্যরাও। প্রতিবারের মতো এ বারও সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে ‘অ্যাসোসিয়েশন অফ ভলেন্টিয়ারি ব্লাড ডোনার্স।’
ফুটবলপ্রেমী দিবসের পাশাপাশি রাজ্য সরকারের তরফেও এই দিনকে বিশেষ ভাবে পালনের উদ্যোগ নেওয়া হয়। দু-বছর আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ১৬ অগস্টকে ‘খেলা হবে’ দিবস হিসেবে পালনের কথা বলেছিলেন। রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায়, ক্লাব, পাড়ায় খেলার মাধ্যমে এই দিনটিকে স্মরণ করার কথা বলেছিলেন। গত বারও খেলা হবে দিবস পালিত হয়েছিল। রাজ্য সরকারের এবং আইএফএ-র উদ্যোগে বিভিন্ন খেলার আয়োজন করা হয়। এ বারও খেলা হবে দিবস পালিত হবে, খেলার মাধ্যমেই। ফুটবল হোক বা অন্য যে কোনও খেলা, সেগুলো বেচে রয়েছে সমর্থকদের জন্যই। তাদের সম্মান জানাতেও এই বিশেষ দিন।