Carles Cuadrat: গো-ব্যাক স্লোগান, বোরহাকে ছাড়ার ‘আক্ষেপ’? কুয়াদ্রাত যা বলছেন…
Indian Super League, East Bengal: ঘরের মাঠে এফসি গোয়ার কাছে হারের পর গ্যালারিতে কার্লোসকে নিয়ে গো-ব্যাক স্লোগান উঠল। শুধু তাই নয়, টিম বাস স্টেডিয়াম থেকে বেরোনোর সময়ও একই চিত্র। আইএসএলে হারের হ্যাটট্রিকের পর তিক্ততা নিয়েই মাঠ ছাড়লেন কার্লেস কুয়াদ্রাত। ম্যাচের পর কী বললেন সাংবাদিকদের?
ম্যাজিশিয়ান থেকে খলনায়ক। গত মরসুমে কার্লেসকে মাথায় তুলে রেখেছিলেন সমর্থকরা। ভরসা জিতেছিলেন। সময় যত এগিয়েছে, দলের পারফরম্যান্সের মান খারাপ হয়েছে। কোচের পরিকল্পনা নিয়ে ক্ষোভ বাড়াটাই স্বাভাবিক। ঘরের মাঠে এফসি গোয়ার কাছে হারের পর গ্যালারিতে কার্লোসকে নিয়ে গো-ব্যাক স্লোগান উঠল। শুধু তাই নয়, টিম বাস স্টেডিয়াম থেকে বেরোনোর সময়ও একই চিত্র। আইএসএলে হারের হ্যাটট্রিকের পর তিক্ততা নিয়েই মাঠ ছাড়লেন কার্লেস কুয়াদ্রাত। ম্যাচের পর কী বললেন সাংবাদিকদের?
গো ব্যাক স্লোগান নিয়ে কুয়াদ্রাত বলছেন, ‘মানুষ আশাবাদী। সমর্থকদের আবেগ রয়েছে। ফল ভালো হলে আশা করি সমস্ত কিছু পাল্টে যাবে। সমর্থকদের বলব, দলের পাশে থাকার জন্য। মনে রাখতে হবে, গত মরসুমেও একটা সময় আমরা খুবই খারাপ জায়গায় ছিলাম। তারপরও সুপার কাপ জিতেছিলাম। এ বছরও আশাকরি আমরা ভালো ফল করব। আইএসএলে এখনও অনেক ম্যাচ বাকি আছে। এএফসি চ্যালেঞ্জ লিগের মতো ম্যাচ রয়েছে। সমর্থকদের বলব, ধৈর্য রাখুন।’
হারের পর নানা ব্যাখ্যাই দিচ্ছেন কার্লেস। কী কী হলে ভালো হত এমন নানা উদাহরণই দিলেন। এই পরিস্থিতিতে সেগুলো যদিও অজুহাতের মতোই শোনাল। মহেশ, নন্দকুমার এবং অনেক প্লেয়ারই ‘খারাপ’ সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন বলে ব্যাখ্যা ইস্টবেঙ্গল কোচের। তাঁর চোখ আগামীতে। বলছেন, ‘সামনে আমাদের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ রয়েছে। এখনও পর্যন্ত দুটো অ্যাওয়ে ম্যাচে হেরেছিলাম। আজ অ্যাওয়ে ম্যাচেও হার। পরবর্তী ম্যাচ থেকে ঘুরে দাঁড়াব।’
এরপর জামশেদপুর এফসির বিরুদ্ধে ম্যাচ, তারপরই ডার্বি। সমর্থকদের জন্য কুয়াদ্রাতের বার্তা, ‘ডার্বি পুরোপুরি আলাদা। মানসিকতাও আলাদা থাকে। ওটা সব দিক থেকেই আলাদা ম্যাচ হবে।’ গত মরসুমে বোরহাকে ছেড়ে দেওয়া নিয়ে কি আক্ষেপ রয়েছে? যদিও সেই প্রসঙ্গ কার্যত এড়িয়ে পাল্টা বলেন, ‘বোরহা নিজে থেকে ছেড়েছিল। আমি ছাড়িনি। প্লেয়ার যদি নিজে থেকে ছেড়ে যেতে চায়, তা হলে কিছু করার থাকে কি?’ আক্ষেপ রয়েছে কিনা, তা অবশ্য খোলসা করেননি কার্লেস।