ডার্বি নিয়ে জট কেটেছে। কিন্তু অস্বস্তিও। কলকাতা ডার্বি, কিন্তু কলকাতায় নয়। নতুন বছরের কলকাতা ডার্বি হতে চলেছে গুয়াহাটিতে। শনিবার ম্যাচ। কলকাতায় যে হবে না, জল্পনা চলেছে বেশ কয়েকদিন। এগিয়ে ছিল গুয়াহাটিই। বুধবার সরকারি ভাবে ডার্বির ভেনু ঘোষণা হয়েছে গুয়াহাটি। শেষ মুহূর্তে এই সিদ্ধান্ত দুই টিমের প্লেয়ারদের কাছে যেমন অস্বস্তির, তেমনই সমর্থকদের জন্য আরও বেশি। ইচ্ছে থাকলেও দু-দলের সমর্থকদের বড় অংশ যে গ্যালারিতে উপস্থিত থাকতে পারবে না, বলাই যায়। ম্যাচ নিয়ে পরিকল্পনা গড়া কতটা সমস্যার? পাশাপাশি দলের পরিস্থিতি, ডার্বির ভাবনা। সাংবাদিক সম্মেলনে অনেক প্রশ্নেরই জবাব দিলেন ইস্টবেঙ্গল কোচ অস্কার ব্রুজো।
দেরিতে সিদ্ধান্ত হওয়ায় মানসিক ভাবে ব্যাঘাত ঘটেছে কি? ইস্টবেঙ্গল কোচ অস্কার ব্রুজো বলছেন, ‘না। আমরা মানসিক ভাবে তৈরি। এটা ঠিক, ডার্বি কোথায় হবে তা নিয়ে টালবাহানা চলছিল। তবে টেকনিক্যাল বিষয় নিয়েই আমরা ভেবেছি। আমরা সবটা দিতে চাই।’ একাধিক চোট আঘাতে মিনি হাসপাতালে পরিণত হয়েছে ইস্টবেঙ্গল। তেমনই রয়েছে কার্ড সমস্যাও। গত কয়েক ম্যাচে এমন পরিস্থিতিতেই খেলতে হয়েছে। ডার্বির আগেও যে চিত্রটা দুর্দান্ত, তা বলা যায় না। ইস্টবেঙ্গল কোচ অবশ্য কোনও ভাবেই নিজেদের পিছিয়ে রাখতে নারাজ।
শনিবারের ডার্বিতে ইস্টবেঙ্গল কি আন্ডারডগ? প্রশ্ন শুনে কোচ অস্কার ব্রুজোর পাল্টা প্রশ্ন এবং উত্তর, ‘এই ধরণের ম্যাচে কি কেউ আন্ডারডগ হয়? দুটো দলের কাছে ৫০ শতাংশ সুযোগ আছে। মোহনবাগানেও কিছু চোট আঘাতের সমস্যা আছে।’ পয়েন্ট টেবলে শীর্ষে রয়েছে মোহনবাগান। একের পর এক দুর্দান্ত পারফর্ম করেছে তারা। ইস্টবেঙ্গলের পরিস্থিতি ঠিক উল্টো। ডার্বির আগে শেষ ম্যাচে মুম্বই সিটি এফসির বিরুদ্ধে সমতা ফিরিয়েও হার।
মোহনবাগানের মতো শক্তিশালী দলের জন্য কী ভাবছেন ইস্টবেঙ্গল কোচ? অস্কারের কথায়, ‘মোহনবাগানকেও আমাদের থামাতে হবে। ফুটবলে দুই দলই আক্রমণ করবে। আমাদের আধিপত্য দেখাতে হবে।’