ইন্ডিয়ান সুপার লিগে প্রথম ছয় ম্যাচে হেরেছিল ইস্টবেঙ্গল। মরসুমের শুরুটা হতাশার হওয়ায় অনেকটাই পিছিয়ে পড়েছিল। কোচ বদলের পর ইস্টবেঙ্গলেও বেশ কিছুটা বদল এসেছে। সপ্তম ম্যাচে প্রথম পয়েন্ট পেয়েছিল লাল-হলুদ আর অষ্টম ম্যাচে প্রথম জয়। তার আগে এএফসি চ্যালেঞ্জ লিগে দুর্দান্ত পারফর্ম করেছে অস্কার ব্রুজোর টিম। কিন্তু সময়ের সঙ্গে অস্বস্তিও বেড়েছে। ইস্টবেঙ্গল কোচ বলেছিলেন, ধারাবাহিক ভালো পারফর্ম করতে পারলে শীর্ষ ছয়ে থাকা সম্ভব। এখন যদিও অস্কারকে একইরকম আত্মবিশ্বাসী দেখাচ্ছে না। সোমবার ঘরের মাঠে মুম্বই সিটি এফসির বিরুদ্ধে ম্যাচ। এরপর ডার্বি। কিন্তু বড় ম্যাচ নিয়ে বাবার সময় কোথায়?
ইস্টবেঙ্গল মিডফিল্ডার মাদিহ তালাল পুরো মরসুম থেকেই ছিটকে গিয়েছেন। টিমে একাধিক চোট-আঘাত। রাকিপের চোট। সাউল ক্রেসপো আগামী সপ্তাহে আসতে পারেন। চিকিৎসার জন্য দেশে গিয়েছিলেন স্প্যানিশ মিডিও। কিন্তু নতুন করে চাপ বেড়েছে সৌভিক চক্রবর্তীর চোটে। ইস্টবেঙ্গল মাঝমাঠকে আগলে রেখেছিলেন সৌভিক। গত ম্যাচে গোড়ালিতে চোট পেয়েছিলেন। তাঁকে কতদিন পাওয়া যাবে না, নিশ্চিত নয়।
বিদেশি ফুটবলারদের নিয়েও সমস্যায় ইস্টবেঙ্গল। হাতে রয়েছে মাত্র চার বিদেশি। দিমিত্রিয়স ডায়মান্টাকোস, হিজাজি মাহের, হেক্টর ইউস্তে ও ক্লেটন সিলভা। গত ম্যাচে টেবলের তলানিতে থাকা এবং টানা পাঁচ ম্যাচ হারা হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে জিততে পারেনি ইস্টবেঙ্গল। এগিয়ে থেকেও এক পয়েন্টেই সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছিল। কাল শক্তিশালী মুম্বই সিটি এফসির বিরুদ্ধে ঘুরে দাঁড়ানোর তীব্র ইচ্ছে থাকলেও আত্মবিশ্বাস কম। আর বড় ম্যাচ! আপাতত সেটা নিয়ে ভাবার পরিস্থিতিই নেই। মুম্বই ম্যাচ পেরোলে হয়তো নিজেদের পরিস্থিতি সম্পর্কে আরও কিছুটা বুঝে উঠতে পারবেন অস্কার। তাঁর ভরসা ঘরোয়া ফুটবলাররাই।
ইস্টবেঙ্গল বনাম মুম্বই সিটি এফসি, সন্ধে ৭.৩০, স্পোর্টস ১৮ ও জিও সিনেমায় সম্প্রচার