এ মরসুমের আগে অবধি ইন্ডিয়ান সুপার লিগে টানা দুটো ম্যাচ জয়ের রেকর্ড ছিল না ইস্টবেঙ্গলের। কিন্তু এ মরসুমে দু-বার এমনটা হয়েছে। টার্গেট ছিল প্রথম হ্যাটট্রিকের। বছরের শেষ ম্যাচ। নতুন বছরের শুরুতে একঝাঁক কঠিন ম্যাচ রয়েছে ইস্টবেঙ্গলের। টানা পাঁচ ম্যাচে হারা হায়দরাবাদ এফসিকে হারিয়ে হ্যাটট্রিক করে আত্মবিশ্বাস কিছুটা বাড়ি নেওয়া যেত। সঙ্গে জয় দিয়ে বছর শেষ। কিন্তু মুহূর্তের আত্মতুষ্টিতে হ্যাটট্রিক হল না ইস্টবেঙ্গলের। এর জন্য নিজেদের দায়ী করা ছাড়া উপায়ও নেই। ইস্টবেঙ্গল কোচ অস্কার ব্রুজো যেন সেটাই স্বীকার করে নিয়েছেন।
ইন্ডিয়ান সুপার লিগে এ মরসুমে দুটো পর্ব দেখা গিয়েছে ইস্টবেঙ্গলের। প্রথম আধডজন ম্যাচই হেরেছিল লাল-হলুদ। অবশেষে সপ্তম ম্যাচে প্রথম পয়েন্ট ও অষ্টম ম্যাচে বহুকাঙ্খিত জয়। এর পর থেক ঘুরে দাঁড়িয়েছে। দুর্লভ হ্যাট্রিকটাও হয়েই যেত। ইস্টবেঙ্গলে একঝাঁক চোট-কার্ড সমস্যা থাকলেও হায়দরাবাদ এফসির বিরুদ্ধে আত্মবিশ্বাসী ছিল শিবির। নিজেদের পারফরম্যান্স যেমন ভালো হচ্ছে, তেমনই প্রতিপক্ষ খুবই কঠিন পরিস্থিতিতে ছিল। শুধু শেষ মুহূর্ত অবধি নিজেদের ফোকাস ঠিক রাখতে হত।
হায়দরাবাদে ম্যাচের প্রথম ঘণ্টায় ইস্টবেঙ্গলেরই দাপট। কিন্তু স্কোর লাইনে তার কোনও প্রভাব পড়ছিল না। ৬৪ মিনিটে অবশেষে ব্রেক থ্রু। ক্লেটন সিলভার ফ্রি-কিক ক্রস পিসে লাগে। ফিরতি বলে হেডে গোল জিকসন সিংয়ের। দুর্দান্ত স্পট জাম্প। যোগ্য সুযোগ সন্ধানীর মতো গোল। ১-০ লিড নিতেই শুধু সময়ের অপেক্ষা ছিল। সময় বুঝতেই ভুল হল। নির্ধারিত সময়ের শেষ মুহূর্তে একেবারে শেষ মুহূর্তে সমতা ফেরায় হায়দরাবাদ।
ইস্টবেঙ্গল যেন ধরেই নিয়েছিল ম্যাচ পকেটে। সাময়িক এই ভাবনাই চরম অস্বস্তিতে ফেলল। এডমিলসন করেয়া বল ধরে ইস্টবেঙ্গল বক্সের বাইরে অপেক্ষা করছিলেন। মিড ফিল্ড হোক বা ডিফেন্স। তাঁকে আটকানোর চেষ্টা করেনি। লেফ্টব্যাক মনোজ মহম্মদ ওভারল্যাপে উঠতেই তাঁকে বল বাড়িয়ে দেন এডমিলসন। মনোজের গোলে ইস্টবেঙ্গলের হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনা শেষ।
অ্যাডেড টাইম দেওয়া হয় ৬ মিনিট। তাতে কোনও পরিবর্তন হয়নি। ১-১ স্কোরলাইনেই শেষ হয় ম্যাচ। ইস্টবেঙ্গল কোচ অস্কার ব্রুজো বলেন, ‘আমরা শেষ মুহূর্তে মোমেন্টাম মিস করেছি। শুরুর দিকে লং বলে বেশি জোর দিয়েছিলাম। দ্বিতীয়ার্ধে কন্ট্রোল ভালো ছিল। মুহূর্তের ছন্দ পতনেই সমস্যা হয়েছে।’