Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Shyamal Ghosh: প্রয়াত বাইচুংয়ের প্রথম কোচ শ্যামল ঘোষ

Bhaichung Bhutia: ইস্টবেঙ্গলের কোচ থাকাকালীন কিশোর বাইচুং ভুটিয়াকে আবিষ্কার করেন শ্যামল ঘোষই। এক কথায় বলা যায়, শ্যামল ঘোষ না থাকলে ভারতীয় ফুটবল বাইচুং ভুটিয়ার মতো ফুটবলারকে পেত না।

Shyamal Ghosh: প্রয়াত বাইচুংয়ের প্রথম কোচ শ্যামল ঘোষ
Image Credit source: twitter, FILE
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jan 03, 2023 | 11:55 PM

কলকাতা : প্রয়াত ময়দানের অন্যতম সেরা ডিফেন্ডার শ্যামল ঘোষ। কলকাতার এক বেসরকারি হাসপাতালে মৃত্যু হয় তাঁর। বয়স হয়েছিল ৬৯। ময়দানের অন্য়তম সেরা ডিফেন্ডার হিসেবে পরিচিত ছিলেন শ্য়ামল ঘোষ। তবে কলকাতা ময়দান এবং ভারতীয় ফুটবল তাঁর কাছে চিরকৃতজ্ঞ থাকবে বাইচুং ভুটিয়ার জন্য। ময়দানে বাইচুং ভুটিয়ার আবিষ্কারক বলা হয়ে থাকে শ্যামল ঘোষকে। ইস্টবেঙ্গলের কোচ থাকাকালীন কিশোর বাইচুং ভুটিয়াকে আবিষ্কার করেন শ্যামল ঘোষই। এক কথায় বলা যায়, শ্যামল ঘোষ না থাকলে ভারতীয় ফুটবল বাইচুং ভুটিয়ার মতো ফুটবলারকে পেত না। বিস্তারিত TV9Bangla-য়।

দুই প্রধানে খেললেও শ্যামল ঘোষের মূলত ইস্টবেঙ্গলের ফুটবলার এবং প্রাক্তন কোচ হিসেবেই পরিচিতি বেশি। ১৯৭৭ সালে ইস্টবেঙ্গলের অধিনায়ক ছিলেন শ্যামল ঘোষ। ইস্টবেঙ্গল এবং বাংলার কোচিং করিয়েছেন। ডিফেন্ডারদের সম্পর্কে একটা ধারণা থাকে, তাঁরা অতি রাগী, বদমেজাজী এবং প্রচণ্ড আগ্রাসী ধরনের হন। শ্যামল ঘোষ অবশ্য এর ঠিক যেন উল্টো ছিলেন। পরিষ্কার ট্যাকলে মন জয় করতেন। আর এক প্রাক্তন ফুটবলার কৃষ্ণেন্দু রায় তাঁর মৃত্যুতে শোক প্রকাশে বলেন, ‘শ্যামলদা মোহনবাগানেও খেলেছে। তবে শ্যামল ঘোষকে সবাই ইস্টবেঙ্গলের হিসেবেই জানে। সত্যি বলতে, লাল হলুদ জার্সিতে তাঁকে মাঠে নামতে দেখাটাই সকলের কাছে আকর্ষণীয় ছিল। দৃষ্টিনন্দন ফুটবল খেলত। সবচেয়ে বড় কথা, ময়দানে এমন কেউ নেই যিনি শ্যামল ঘোষ সম্পর্কে একটা খারাপ কথা বলতে পারবে। এতটাই ভদ্র মানুষ ছিলেন।’

সালটা ১৯৯২। সুব্রত কাপে বাইচুং ভুটিয়াকে দেখে ভাস্কর গঙ্গোপাধ্যায় ভূয়ষী প্রশংসা করেছিলেন শ্যামল ঘোষের কাছে। কাদা মাঠে বাইচুংকে অনুশীলন করতে দেখেন শ্যামল ঘোষ। এমন পরিস্থিতিতে বাইচুংয়ের অনুশীলন দেখে মুগ্ধ হন ইস্টবেঙ্গল কোচ। তাঁর কথাতেই ইস্টবেঙ্গল সই করায় বাইচুংকে। ১৯৯৩ সালে বাইচুংকে অল্প সময়ের জন্য় মাঠে নামান শ্যামল ঘোষ। সেই ম্যাচেই গোল করে তাক লাগিয়ে দেন বাইচুং। ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ক বাইচুং ভুটিয়া সে কথা ভোলেননি। বহুবার এই প্রসঙ্গ উঠে এসেছে তাঁর কথায়। ২০১৬ সালে শ্যামল ঘোষকে জীবনকৃতি সম্মান দেয় ইস্টবেঙ্গল।

শুধু ক্লাব ফুটবলেই নয়, বাংলা এবং জাতীয় দলের হয়েও অনেক সাফল্য রয়েছে শ্যামল ঘোষের। বাংলার হয়ে পাঁচ বার সন্তোষ ট্রফিতে প্রতিনিধিত্ব করেছেন। এর মধ্যে তিন বার চ্যাম্পিয়ন। দেশের হয়ে মারডেকা কাপে খেলেন। ১৯৭৪ সালের এশিয়ান গেমসেও খেলেছেন দেশের হয়ে।