Goncalo Ramos: রোনাল্ডোর জায়গায় নেমে হ্যাটট্রিক! পর্তুগালের নয়া নায়ক ব়্যামোসের পরিচয় জানেন?
মঙ্গলবার রাতে সুইৎজারল্যান্ডের বিরুদ্ধে লুসেইল স্টেডিয়ামে ঝড় তুলেছিলেন গন্সালো ব়্যামোস। ম্যাচের পর তাঁর পরিচয় জানার হিড়িক ফুটবল ভক্তদের মধ্যে।
দোহা: গন্সালো ব়্যামোস (Goncalo Ramos)। সুইৎজারল্যান্ডের বিরুদ্ধে পর্তুগালের প্রথম একাদশে ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোর পজিশনে এই নাম দেখে ভ্রু কুঁচকেছিল আপামর সিআর সেভেন (Cristiano Ronaldo) অনুরাগীদের। পাঁচ বারের ব্যালন ডি’অর জয়ীর পরিবর্তে ২১ বছরের এক ‘ছোকরা’! শেষ ষোলোর গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ (Qatar World Cup 2022)। রোনাল্ডোর জায়গায় ব়্যামোসকে শুরু থেকে খেলানো কোচ ফার্নান্দো স্যান্টোসের কাছে ছিল রীতিমতো ‘জুয়া’ খেলার সমান। কোচের মানরক্ষা তো হলই। লুসেইল স্টেডিয়ামে ম্যাচ যত গড়াল ততই পরিষ্কার হল কুঁচকে যাওয়া কপাল। সৌজন্যে ঝড়ের গতিতে গন্সালো ব়্যামোসের হ্যাটট্রিক। কাতার বিশ্বকাপের প্রথম হ্যাটট্রিকের পাশে নাম লিখিয়ে ফেলেছেন। সার্চ ইঞ্জিনে ততক্ষণে ফুটবল বিশ্বের এই নয়া ব়্যামোসের পরিচয় জানার হিড়িক। পর্তুগালের জয়ের অন্যতম কারিগরের পরিচয় জেনে নিন TV9 Bangla-র এই প্রতিবেদনে।
অথচ কাতার বিশ্বকাপে খেলার কথাই ছিল না গন্সালো ব়্যামোসের। দিয়োগো জোটার চোট তাঁকে বিশ্বকাপে দেশকে প্রতিনিধিত্ব করার সুযোগ এনে দেয়। পড়ে পাওয়া সুযোগ পুরোমাত্রায় কাজে লাগালেন। মঙ্গলবার রাতে পর্তুগালের জার্সি গায়ে চতুর্থ ম্যাচ ছিল ব়্যামোসের। ৬-১ গোলে পর্তুগালের জয়ের ম্যাচে তিনটি গোল তাঁর। ২০০১ সালের জুন মাসে পর্তুগালের ওলয়াহোতে জন্ম ফার্নান্দো মাতিয়াস ব়্যামোসের। বেনফিকার অ্যাকাডেমিতে তাঁর ফুটবলার হয়ে ওঠা। ২০১৩ সালে ১২ বছর বয়সে বেনফিকার অ্যাকাডেমিতে প্রবেশ। মজার বিষয় এই যে, অ্যাকাডেমিতে থাকাকালীন স্ট্রাইকার পজিশনে খেলতেন না। পর্তুগালের এই ‘অ্যাক্সিডেন্টাল স্ট্রাইকার’-এর কেরিয়ারের মোড় ঘুরেছিল এক স্ট্রাইকারের চোটের কারণে। সুযোগ পেয়েই জোড়া গোল এবং জায়গা পাকা। এই অভ্যেসটা বেনফিকার অ্যাকাডেমি থেকেই রপ্ত করেছেন ব়্যামোস। তবে মঙ্গলবার রাতে যে সুযোগ পেয়েছিলেন তাকে সুবর্ণ সুযোগ বলা যায়। দুর্দান্ত ফিনিশার এবং গোলে শট নেওয়ার সামর্থ্য তাঁকে পর্তুগালের ভবিষ্যৎ তারকা হিসেবে চিহ্নিত করেছে। এ বারের মরসুমে বেনফিকার হয়ে ১১টি গোল রয়েছে। বিশ্বকাপের পর ২১ বছরের এই স্ট্রাইকারকে নিয়ে ইউরোপিয়ান ক্লাবগুলির মধ্যে হিড়িক পড়বে তা আন্দাজ করাই যায়।
২০১৯ সালে পর্তুগালের অনূর্ধ্ব ১৯ দলের হয়ে ইউরোপিয়ান ইয়ুথ চ্যাম্পিয়নশিপের সর্বাধিক গোলস্কোরার ছিলেন ব়্যামোস। সেই পারফরম্যান্সের পর জাতীয় দলে প্রবেশ ছিল সময়ের অপেক্ষা। ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে নেশনস লিগের জন্য প্রথমবার সিনিয়র দলে ডাক পান। সুইৎজারল্যান্ডের বিরুদ্ধে ম্যাচের পর এখনও ঘোরের মধ্যে রয়েছেন। “নকআউট পর্বে শুরু থেকে দলের অংশ হওয়ার কথা আমি স্বপ্নেও ভাবিনি।” ম্যাচের পর বলেছেন ২০২২ সালে জার্মানির মিরোস্লাভ ক্লোজের পর প্রথম বিশ্বকাপে হ্যাটট্রিক করা দ্বিতীয় ফুটবলার।