নয়াদিল্লি: যতই কমনওয়েলথ গেমস (Commonwealth Games) থেকে হকি ইন্ডিয়া (Hockey India) নাম প্রত্যাহার করে নিক, কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর (Anurag Thakur) কিন্তু মোটেও ভালোভাবে নিচ্ছেন না। উল্টে তিনি না প্রত্যাহার করা নিয়ে প্রশ্ন করেছেন। তাঁর যুক্তি, যদি আইপিএল খেলার পর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপও খেলতে পারেন ক্রিকেটাররা, তা হলে কমনওয়েলথ গেমস ও এশিয়ান গেমস একসঙ্গে কেন খেলতে পারবে না হকি টিম।
কমনওয়েলথ গেমস থেকে নাম তুলে নেওয়ার পিছনে আন্তর্জাতিক সম্পর্ককে তুলে ধরা হয়েছিল। কোভিড নিয়ম নিয়েই বারত ও ইংল্যান্ড দুই দেশের সম্পর্কের অবনতি হয়। যার জেরে যুব বিশ্বকাপ থেকে নাম তুলে নিয়েছে ইংল্যান্ড। তার কয়েক ঘণ্টা পরেই কমনওয়েলথ গেমস থেকে নাম তুলে নেয় ভারতও। হকি ইন্ডিয়ার এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছিলেন ভারতীয় অলিম্পিক কমিটির প্রেসিডেন্ট নরিন্দর বাত্রাও।
অনুরাগ কিন্তু তীব্র সমালোচনা করেছে হকি ইন্ডিয়ার। স্পষ্ট বলেছেন, ‘কোনও অ্যাসোসিয়েশন বা ফেডারেশন কোনও টুর্নামেন্ট থেকে নাম তুলে নেওয়ার জন্য বিবৃতি দেওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। সবচেয়ে আগে তাদের সরকার বা সরকারের নির্দিষ্ট দপ্তরের সঙ্গে কথা বলতে হবে। তার কারণ, যে টিম এই সব টুর্নামেন্টগুলোয় খেলতে যায়, তা কিন্তু ফেডারেশনের নয়। ওই টিম দেশের প্রতিনিধিত্ব করে। যে দেশের ১৩০ কোটি জনসংখ্যা, সেই দেশের মাত্র ১৮জন প্লেয়ার থাকতে পারে না।’
বোঝাই যাচ্ছে যে, জল অন্য দিকে গড়াতে শুরু করেছে। যুব বিশ্বকাপে না খেলার সিদ্ধান্ত ইংল্যান্ড নাম তুলে তুলে নেওয়ার পাল্টা হিসেবে হকি ইন্ডিয়া এই সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। যা সরকারের সঙ্গে কথা না বলেই নেওয়া হয়েছিল। আর যাই হোক না কেন, ভারত সরকার কোনও ভাবেই কমনওয়েলথের মতো ঐতিহ্যশালী গেমসের হকিতে ভারতের ছেলে-মেয়েরা অংশ না নিন, তা চায় না। হকি ইন্ডিয়া জানিয়েছিল, কমনওয়েলথ গেমসের বদলে এশিয়ান গেমসে বেশি ফোকাস করা হবে। যাতে প্যারিস অলিম্পিকের যোগ্যতা অর্জন করতে অসুবিধা না হয়।’
একই সঙ্গে অনুরাগ বলেছেন, ‘যদি ক্রিকেটাররা আইপিএল খেলার পর বিশ্বকাপ খেলতে পারে, তা হলে হকি প্লেয়াররা কমনওয়েলথ ও এশিয়ান গেমস দুটোতেই অংশ নিতে পারবে না?’
আরও পড়ুন: যুব বিশ্বকাপের পাল্টা, কমনওয়েলথ গেমসের হকিতে নেই ভারত
আরও পড়ুন: কাতার বিশ্বকাপই শেষ: নেইমার