Boris Becker In Jail: জেলে ঢোকার সময় বান্ধবীকে জড়িয়ে ধরে কেঁদে ফেললেন টেনিস কিংবদন্তি
জেলে ঢোকার সময় বান্ধবীকে জড়িয়ে ধরে কেঁদে ফেললেন তিনি। কর ফাঁকি দেওয়ার জন্য একটা সময় মামলা হয়েছিল টেনিস তারকার বিরুদ্ধে। তাতেও যে তিনি শোধরাননি, প্রমাণ হল।
লন্ডন: আর্থিক দৈন্যের কারণে নিজেকে দেউলিয়া (Bankruptcy Scandal) ঘোষণা করে দিয়েছিলেন। কিন্তু স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তির পুরোপুরি খোঁজ দেননি। ব্যাঙ্ক থেকে সরকার— সব পক্ষকেই অন্ধকারে রেখেছিলেন। আর তারই ফল ভোগ করতে হল বরিস বেকারকে (Boris Becker) । আড়াই বছরের জন্য জেল হল তিন বারের উইম্বলডন (Wimbledon) চ্যাম্পিয়ন ও ৬টা গ্র্যান্ড স্লাম জেতা প্রাক্তন তারকার। শুক্রবারই ছিল চূড়ান্ত শুনানি। লন্ডন কোর্টের রায়ের পর রীতিমতো কাঁদতে দেখা গিয়েছে বেকারকে। তবে সত্য গোপন যে তিনি করেছিলেন, তা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই আদালতের। তদন্তে দেখা গিয়েছে, গ্র্যান্ড স্লামের ট্রফি এবং অনেক টুর্নামেন্ট থেকে পাওয়া প্রাইজমানি তিনি গোপন করে গিয়েছেন। শুধু তাই নয়, জার্মানিতে যে তাঁর একটি বাড়িও রয়েছে, তাও জানাননি। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা প্রমাণিত হওয়ার পরই এক অন্য বরিস বেকারকে দেখা গিয়েছে। জেলে ঢোকার আগে বান্ধবীকে জড়িয়ে ধরে কেঁদে ফেলেছিলেন তিনি।
বেকারের বান্ধবী কে? বিবাহবিচ্ছেদের কয়েক বছর পর ৫২ বছরের বেকার ডেট করতে শুরু করেন কার্ভালহো মন্টিয়ারের সঙ্গে। আফ্রিকা রাজনীতিকের মেয়ে কার্ভালহো পড়তে এসেছিলেন লন্ডনে। তখনই আলাপ বেকারের সঙ্গে। ৪০ বছরের কার্ভালহো আদালতের শুনানির সময় থেকেই আগলে রেখেছিলেন বেকারকে। জেল পর্যন্ত গিয়েছিলেন তিনি। বিদায় নেওয়ার সময় কার্ভালহোকে জড়িয়ে ধরে আবেগতাড়িত হয়ে পড়েন। কেঁদে ফেলেছিলেন বেকার।
২০০২ সালে জার্মানিতে বেকারের বিরুদ্ধে কর ফাঁকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। যার জেরে জেলও হয়। অবসরের পর যা কিছু অর্জন করেছিলেন, তা হাতছাড়া হয়ে যায় তাঁর। ব্রিটেনের এক ধনী ব্যবসায়ীর কাছ থেকে চড়া সুদে টাকা ধার নিয়েছিলেন। কিন্তু সময়ে সে টাকা শোধ করেননি। ওই ব্যবসায়ীর অভিযোগের ভিত্তিতেই চলতি মাসের শুরুতেই চারটে মামলা হয়েছিল বেকারের বিরুদ্ধে। আপাতত আড়াই বছর জেলে কাটাতে হবে তাঁকে।
আটের দশকে পেশাদার টেনিসে পা দিয়ে সাফল্য পেতে শুরু করেন বরিস বেকার। ১৯৮৫ সালে উইম্বলডনে প্রথম গ্র্যান্ড স্লাম জেতেন। আরও দু’বার উইম্বলডন জেতার পাশাপাশি ২বার অস্ট্রেলিয়ান ওপেন, একবার ইউএস ওপেন চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন। তিনবার ফরাসি ওপেনের সেমিফাইনালে উঠলেও খেতাব জিততে পারেননি।
আরও পড়ুন: Badminton Asia Championships: সেই ইয়ামাগুচির কাছে হেরে ব্রোঞ্জেই থামলেন সিন্ধু