টোকিও: আর মাত্র ৫ দিন পর শুরু হতে চলেছে গ্রেটেস্ট শো অন দ্য আর্থ। এবারের অলিম্পিক (Olympics) সবদিক থেকে আলাদা। করোনা (COVID-19) আবহে নানা কড়াকড়ি যেমন থাকছে, তেমনই বাড়তি নজর দেওয়া হচ্ছে অ্যাথলিটদের (Athletes) খাবার প্লেটেও। গেমস ভিলেজের (Games Village) ডাইনিং হলে প্রতিটি খাবারের নামের কার্ডে বিস্তারিতভাবে দেওয়া হয়েছে সেই খাবারে কতটা প্রোটিন, ফ্যাট, কার্বোহাইড্রেট ছাড়াও আর কী কী পুষ্টি গুণ (nutrition value) রয়েছে। ফলে অ্যাথলিটদের নিজেদের প্রয়োজন অনুযায়ী খাবার একাই বেছে নিতে পারবেন।
করোনার কারণে একসঙ্গে খাবার খাওয়ার অনুমতি নেই অ্যাথলিটদের কাছে। প্রত্যেক অ্যাথলিট ৩০ মিনিট করে একা খাবার খাওয়ার সুযোগ পাবেন। তবে এবার অ্যাথলিটদের সুবিধার জন্য প্রত্যেক খাবারে বিস্তারিত পুষ্টি গুণের উল্লেখ থাকার জন্য সহজেই অ্যাথলিটরা বুঝতে পারবেন তারা কতটা খাবার খাবেন।
আজ, রবিবার ভারতীয় অ্যাথলিটদের প্রথম দল পৌঁছে গেছে টোকিওয়। ধাপে ধাপে সব দেশের অ্যাথলিটরাই জড়ো হচ্ছেন গেমস ভিলেজে। করোনার কারণে গেমস ভিলেজে অ্যাথলিটদের অনেক বিধিনিষেধ মেনে চলতে হবে। টোকিও অলিম্পিক ও প্যারালিম্পিকে অ্যাথলিটরা এই নিরাপত্তার ঘেরাটোপে থাকাকালীন মানসিকভাবে ভেঙে পড়তেই পারেন। তাই আগে ভাগেই আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটি অ্যাথলিটদের মনের দিক থেকে শক্ত রাখার জন্য চালু করল এক ২৪ ঘণ্টার হেল্পলাইন পরিষেবা। এক বিবৃতিতে আইওসির তরফে জানানো হয়েছে, “অলিম্পিক গেমসে অংশ অ্যাথলিটদের নেওয়া মানসিক ভাবে শক্ত রাখার জন্য যে হেল্পলাইনটি চালু করা হয়েছে তা অলিম্পিক চলাকালীন ও তার পরও তিনমাস চালু থাকবে।” করোনার কারণে অ্যাথলিটদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে থাকার অনুমতি নেই। তাই তাঁদের মন হাল্কা করার দায়িত্বও নিচ্ছে আইওসি।
আরও পড়ুন: TOKYO OLYMPICS 2020: ফের করোনার থাবা, সংক্রমিত দঃ আফ্রিকার ২ ফুটবলার, ১ সাপোর্ট স্টাফ
এবারের টোকিও গেমস (Tokyo Games) হচ্ছে কড়া বিধিনিষেধের ঘেরাটোপে। তা সত্ত্বেও বলয় ভেদ করে ইতিমধ্যেই ঢুকে পড়েছে মারণ ভাইরাস। যা রীতিমতো চিন্তায় ফেলে দিয়েছে আয়োজকদের। সব কিছু সামলে এবার অপেক্ষা শুধু সুষ্ঠুভাবে গেমস সম্পন্ন হওয়ার।
আরও পড়ুন: Tokyo Olympics 2020: নিরাপদে টোকিও পৌঁছলেন সিন্ধু-দীপিকারা