Padma Shri: ভারতীয় ক্রিকেট দলের প্রাক্তন কোচ সহ ক্রীড়াক্ষেত্রে পদ্ম সম্মান পাচ্ছেন আরও দু-জন
Kalarippayattu: পদ্ম সম্মান পাচ্ছেন কালারিপায়াতুর গুরু এসআরডি প্রসাদ। মার্শাল আর্টের প্রাচীনতম অংশ কালারিপায়াতু। বলা যেতে পারে এর থেকে ক্যারাটে সহ মার্শাল আর্টের অন্য়ান্য ভাগের জন্ম। সেই কালারিপায়াতুর অন্যতম সেরা প্রশিক্ষক এসআরডি প্রসাদ। মার্শাল আর্টে তাঁর অবদানের জন্য ২০১৬ সালে সঙ্গীত নাটক অ্যাকাডেমি পুরস্কারও জিতেছিলেন।
নয়াদিল্লি : ক্রিকেট কোচ গুরচরণ সিং সহ ক্রীড়াক্ষেত্রে আরও দু-জন এ বার পদ্ম সম্মান পাচ্ছেন। বাকি দু-জন হলেন কালারিপায়াতুর গুরু এসআরডি প্রসাদ গুরুকল এবং থাং তা গুরু কে শান্তোইবা শর্মা। ৮৭ বছরের গুরচরণ সিং এর আগে দ্রোণাচার্য সম্মানও পেয়েছিলেন। ভারতীয় ক্রিকেটের ইতিহাসে দেশপ্রেম আজাদের পর দ্বিতীয় ক্রিকেট কোচ হিসেবে এই সম্মান পেয়েছিলেন গুরচরণ সিং। এ দিন পদ্ম সম্মান প্রাপকদের পূর্ণ তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। ক্রীড়াক্ষেত্রে এই সম্মান পাচ্ছেন মোট তিনজন। বিস্তারিত TV9Bangla-য়।
গুরচরণ সিংয়ের ক্রিকেট কেরিয়ার প্রথম শ্রেনির ক্রিকেটেই সীমাবদ্ধ ছিল। যদিও কোচ হিসেবে তিনি সফল। ১২ জন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার তৈরি হয়েছে .তাঁর হাত ধরেই। ঘরোয়া ক্রিকেটেও প্রচুর ক্রিকেটারের উত্থান গুরচরণ সিংয়ের কোচিংয়ে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটারদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য নাম কীর্তি আজাদ, অজয় জাডেজা, মনীন্দর সিং এবং মুরলী কার্তিকের মতো আরও অনেকেই। ভারতীয় ক্রিকেটে অবদানের জন্য ১৯৮৬ সালে দ্রোণাচার্য সম্মান পান গুরচরণ সিং। ভারতীয় ক্রিকেটারদের মধ্যে তাঁর প্রতি অগাধ সম্মান। ৮০ তম জন্মদিনে ভারতীয় দল তথা দিল্লির ক্রিকেটাররা তাঁর সঙ্গে একটি প্রীতি ম্যাচ খেলারও সুযোগ পেয়েছিলেন।
পদ্ম সম্মান পাচ্ছেন কালারিপায়াতুর গুরু এসআরডি প্রসাদ। মার্শাল আর্টের জন্ম হয় কালারিপায়াতু থেকে। বলা যেতে পারে এর থেকে জনপ্রিয় মার্শাল আর্ট ক্যারাটে, জুডো, কুংফু ইত্যাদির জন্ম কালারি থেকেই। সেই কালারিপায়াতুর অন্যতম সেরা প্রশিক্ষক এসআরডি প্রসাদ। মার্শাল আর্টে তাঁর অবদানের জন্য ২০১৬ সালে সঙ্গীত নাটক অ্যাকাডেমি পুরস্কারও জিতেছিলেন। ফিজিক্যাল ও মেন্টাল এমপাওয়ারমেন্টের জন্য কালারিপায়াতু আদর্শ। নালান্দা ডান্স রিচার্স সেন্টারে নাচের পাশাপাশি কালারিপায়াতুর জন্যও সিলেবাস তৈরি করেছিলেন এসআরডি প্রসাদ। মণিপুরের থাং-তা গুরু কে শান্তোইবা শর্মাও এই সম্মান পাচ্ছেন। ঐতিহ্যশালী মার্শাল আর্টের ফর্ম থাং-তা। মণিপুরে এটি ‘তরোয়াল এবং বর্শার’ মার্শাল আর্ট হিসেবেও পরিচিত।