Paris 2024: বিছানাতেই স্বর্গসুখ! প্যারিসের গেমস ভিলেজে পছন্দের সঙ্গী খুঁজে পেলেও কি তা থাকবে?

Paris Olympics 2024: কথায় বলে, বিছানাতেই স্বর্গসুখ। সেটা ঘুমের দিক থেকেই হোক আর...। কিন্তু বিছানা থাকলেই স্বর্গসুখও পাওয়া যাবে, এমনটা সবক্ষেত্রে হওয়ার নেই। সঙ্গীও থাকতে হবে। ধরুন সঙ্গীও আছে। তারপরও কিন্তু! প্রেমের শহর প্যারিস। সেখানেই অলিম্পিক। যারা খেলা ভালো বাসেন, তাঁরা ভালোবাসার মুহূর্ত উপভোগ করার সুযোগ পাবেন কি? টোকিও অলিম্পিকে পরিস্থিতি ছিল একে বারে উল্টো।

Paris 2024: বিছানাতেই স্বর্গসুখ! প্যারিসের গেমস ভিলেজে পছন্দের সঙ্গী খুঁজে পেলেও কি তা থাকবে?
Image Credit source: Marca
Follow Us:
| Updated on: Jul 21, 2024 | 5:13 AM

সব আছে, কিন্তু কিছুই যেন নেই। চোখের সামনে দেখতে পাচ্ছেন, কিন্তু কাছে গেলেই ভ্যানিশ হয়ে যাচ্ছে। প্য়ারিস অলিম্পিকে অ্যাথলিটদের পরিস্থিতিও কি এমনই হতে চলেছে? অ্যান ইভনিং ইন প্যারিস…। তবে অলিম্পিকে অংশগ্রহণকারী অ্যাথলিটদের জন্য ‘অ্যান’ শব্দটা বদলে দিতে হচ্ছে। ঠিক একই ভাবে, ইভনিংটাও আপডেট করে নাইট বলা যেতে পারে। একটা সন্ধে কিংবা রাত নয়, গেমস ভিলেজে কাটবে অনেকগুলো সন্ধে-রাত। সবরকম ব্যবস্থা থেকেও যেন নেই। পদকের কাছে অনেকেই যেতে পারবেন। পার্টনারের কাছে! সন্দেহ আছে।

কথায় বলে, বিছানাতেই স্বর্গসুখ। সেটা ঘুমের দিক থেকেই হোক আর…। কিন্তু বিছানা থাকলেই স্বর্গসুখও পাওয়া যাবে, এমনটা সবক্ষেত্রে হওয়ার নেই। সঙ্গীও থাকতে হবে। ধরুন সঙ্গীও আছে। তারপরও কিন্তু! প্রেমের শহর প্যারিস। সেখানেই অলিম্পিক। যারা খেলা ভালো বাসেন, তাঁরা ভালোবাসার মুহূর্ত উপভোগ করার সুযোগ পাবেন কি? টোকিও অলিম্পিকে পরিস্থিতি ছিল একে বারে উল্টো। কোভিডের কারণে এক বছর পিছিয়ে দেওয়া হয়েছিল অলিম্পিক। মানতে হয়েছিল, সোশ্যাল ডিস্টান্স। ফলে আরও ‘কাছাকাছি’ আসার সুযোগ হয়নি। প্রেমের শহরেও কি এমনই পরিস্থিতি?

অলিম্পিকে যাতে সুরক্ষিত যৌনতার সুযোগ পান অ্যাথলিটরা, সে কারণেই ৩ লক্ষ কন্ডোম রাখা হচ্ছে। কিন্তু সেটার ব্যবহার কী ভাবে হবে? এটাই তো প্রশ্ন। জোর আলোচনায় গেমস ভিলেজের বিছানা। ছবিটি এজেন্সির। সোশ্যাল মিডিয়াতেও প্রকাশ্যে আসছে এই ছবি। আর তারপরই উঠছে প্রশ্ন। জায়গা সঙ্কুলান। উদ্দাম দূর-অস্ত। সামান্য যৌনতাও কি সম্ভব? এই বিছানায় একজন শোয়াটাই যেন সন্দেহ প্রকাশ করে। আর সেক্স! গবেষণার বিষয়ই বটে। আদতে একটু আধতু আদর, কিংবা জড়িয়ে শুয়ে থাকাও কি সম্ভব?

এখানেই ইতি নয়। বিছানায় টুইন সাইজ ম্যাট্রেস ব্যবহার করা হয়েছে। পরিষ্কার করে বললে, জায়গা খুবই কম। জাপানের সংস্থাই এই বিছানা তৈরি করেছে। টোকিও অলিম্পিকে এই ধরনের বিছানাই ছিল। তবে সেটা কোভিড পরিস্থিতিতে। টোকিও অলিম্পিকের সময় আমেরিকার স্প্রিন্টার সোশ্যাল মিডিয়ায় জানিয়েছিলেন, অ্যাথলিটরা যাতে যৌনতার সুযোগ না পান, সে কারণেই এই বেড ও ম্যাট্রেস দেওয়া হয়েছে।

বছরের পর বছর, অনেক অ্যাথলিটই বলেছেন, অলিম্পিকের গেমস ভিলেজে চলে উদ্দাম যৌনতা। ২০০০ সালে সিডনি গেমসে ৭০ হাজার কন্ডোম রাখা হয়েছিল। তাতেও কুলোয়নি। নতুন করে আরও ২০ হাজার কন্ডোমের ব্যবস্থা করা হয়। এরপর প্রতি অলিম্পিকে অন্তত ১ লক্ষ কন্ডোমের ব্যবস্থা থাকে। এ বারের সংখ্যাটা ৩ লক্ষ! প্যারিস অলিম্পিক আয়োজকদের তরফে এক সংবাদসংস্থাকে এক কর্তা বলেছেন, ‘সংবাদমাধ্যমে এটা নিয়ে যে নানা মজা করা হচ্ছে তা আমরাও জানি। টোকিও অলিম্পিক থেকেই এটা চলছে। প্যারিসে যে বিছানার ব্যবস্থা হয়েছে বড় উদ্দেশ্য নিয়ে। পরিবেশের কথা ভেবেই পুনর্ব্যবহারযোগ্য বিছানার ব্য়বস্থা এবং নানা সরঞ্জামের ক্ষেত্রেও একই পন্থা অবলম্বন করা হয়েছে।’

বিছানা অবশ্য শক্তপোক্ত। আয়োজকদের দাবি, অনেকেই এতে উঠে লাফিয়েও দেখেছেন। মজবুত বিছানা। কিন্তু অ্যাথলিটদের স্পেস কিংবা ‘স্পেস’ কোনওটারই কি সুযোগ রয়েছে! পরিবেশের কথা ভেবে আয়োজকরা হয়তো ঠিকই ভেবেছেন, তবে অ্যাথলিটদের মানসিক পরিবেশ-পরিস্থিতি কি এতে সায় দেবে? ওই যে, সব যেন থেকেও নেই।