Siliguri Chess News: টেকনোর ‘চেস কাপ’-এ উজ্জ্বল দিষিতা ও শোভিকারা
Techno India Chess: টেকনোর দাবা প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে শিলিগুড়ি ও জলপাইগুড়ির ১৭টি স্কুল। প্রায় দেড়শো ছাত্রছাত্রী এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে। ছাত্রছাত্রীদের দুটি গ্রুপে রাখা হয়। দ্বিতীয় থেকে ষষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্রছাত্রীরা গ্রুপ 'এ'–তে অংশগ্রহণ করে। গ্রুপ 'বি'–তে সপ্তম থেকে দশম শ্রেণীর ছাত্রছাত্রীরা অংশ নেয়।
টেকনো ইন্ডিয়া গ্রুপের স্কুলে পড়াশোনার পাশাপাশি বিভিন্ন খেলাধুলো এবং অন্যান্য দিকেও নজর দেওয়া হয়। সেটা মার্শাল আর্ট হোক কিংবা পেইন্টিং, অন্যান্য নানা অ্যাক্টিভিটি। এমন অনেক উদাহরণই টানা যায়। টেকনো ইন্ডিয়া গ্রুপ পাবলিক স্কুল শিলিগুড়ি প্রথম বার দাবার প্রতিযোগিতার আয়োজন করে। বুদ্ধির খেলায় বিভিন্ন ছাত্রছাত্রীদের মধ্যেই সাড়া মিলল। প্রথমবারই ‘চেস কাপ’ আয়োজনে সফল শিলিগুড়ির টেকনো ইন্ডিয়া গ্রুপ পাবলিক স্কুল।
টেকনোর দাবা প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে শিলিগুড়ি ও জলপাইগুড়ির ১৭টি স্কুল। একদিনের প্রতিযোগিতা। বিভিন্ন স্কুল মিলিয়ে প্রায় দেড়শো ছাত্রছাত্রী এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে। ছাত্রছাত্রীদের দুটি গ্রুপে রাখা হয়। দ্বিতীয় থেকে ষষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্রছাত্রীরা গ্রুপ ‘এ’–তে অংশগ্রহণ করে। গ্রুপ ‘বি’–তে সপ্তম থেকে দশম শ্রেণীর ছাত্রছাত্রীরা অংশ নেয়।
দারার এই প্রতিযোগিতা সফল ভাবে পরিচালনায় জন্য ৬ জন আর্বিটার রাখা হয়েছিল। মেয়েদের গ্রুপ বি-তে টেকনোর দিষিতা বর্মন রানার্স হয়। তৃতীয় স্থানে টেকনোরই শোভিকা ছেত্রী। এই বিভাগে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে জার্মেল অ্যাকাডেমির সুকৃতি বসাক। ছেলেদের একই বিভাগে সেরা জার্মেল অ্যাকাডেমির ঋতুরাজ পাল। রানার্স ডিপিএস শিলিগুড়ির কার্তিক রেড্ডি। তৃতীয় স্থানে ডিপিএস-এরই আবিরা সিনহা।
অন্য দিকে, ছেলেদের গ্রুপ ‘এ’ বিভাগে চ্যাম্পিয়ন জার্মেল অ্যাকাডেমির রণজয়ভূষণ বসু এবং রানার্স একই স্কুলের নিশান মণ্ডল। তৃতীয় স্থানে টেকনোর নায়াকি বিশ্বাস। মেয়েদের এই বিভাগে প্রথম হয়েছে অমরাবতী লায়েন্স স্কুলের অদিতি অধিকারী। দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে যথাক্রমে অনুশ্রী দে ও ডিপিএস শিলিগুড়ির অরূশি ধর। দুই বিভাগে প্রথম ১৮ জনকে পুরস্কৃত করা হয়।
দাবার প্রতি পড়ুয়াদের মধ্যে উৎসাহ বাড়াতে অংশগ্রহণকারী সব খেলোয়াড়কে মেডেলও দেওয়া হয়। শিলিগুড়ির টেকনো ইন্ডিয়া গ্রুপ পাবলিক স্কুলের প্রিন্সিপ্যাল নন্দিতা নন্দী বলেন, ‘প্রথমবার দাবার আয়োজন। প্রচুর সাড়া পেয়েছি। আগামী দিনে আরও বড় আকারে এই প্রতিযোগিতা করব। পড়াশোনার সঙ্গে দাবা খেলা ছাত্রছাত্রীদের বুদ্ধির প্রকাশ ঘটায়। সেই লক্ষ্যেই বিভিন্ন স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে এই প্রতিযোগিতার আয়োজন।’