প্রিয়াঙ্কার ঘরে অজ্ঞাত পুরুষ, দেখে ফেলেন পরিবারের সদস্য, তারপর…
Priyanka Chopra: ভারতে ফিরতেই সবটা পাল্টে যায়। প্রিয়াঙ্কা চোপড়ার আদব-কায়দায় আসে মস্ত বদল। তিনি নিজের নিয়ে নিজের মতো থাকতেন। তবে তাঁকে নিয়ে চার পাশের অনেকেরই মনে কৌতুহল জাগে।
ছোট থেকেই একটু ভিন্নস্বাদের জীবন যাপন করে এসেছেন পিগি চপস। তাঁর পরিবারের সকলেই চেয়েছিলেন তিনি জীবনে বড় কিছু করুক। সেই আশাতেই প্রিয়াঙ্কা চোপড়ার বাবা তাঁকে বিদেশে পড়তে পাঠিয়েছিলেন। ছোট বয়সেই প্রিয়াঙ্কা এই কারণে অনেকটা পরিণত হয়ে গিয়েছিলেন। প্রথম চুলে রঙ করেছিলেন আমেরিকায় গিয়ে। সেখানে লড়াইটা ছিল বেশ কঠিন ছি়ল প্রিয়াঙ্কার কাছে। তবে ভারতে ফিরতেই সবটা পাল্টে যায়। প্রিয়াঙ্কা চোপড়ার আদব-কায়দায় আসে মস্ত বদল। তিনি নিজের নিয়ে নিজের মতো থাকতেন। তবে তাঁকে নিয়ে চার পাশের অনেকেরই মনে কৌতুহল জাগে।
প্রিয়াঙ্কা চোপড়া কিছুমাস আগেই তাঁর প্রজেক্ট ‘সিটাডেল’র প্রচার নিয়ে ব্যস্ত। তারই মাঝে এবার শৈশবের কাহিনি নিয়ে মুখ খুললেন অভিনেত্রী। স্পষ্টই জানালেন, শৈশবে কীভাবে তাঁর বাবাকে তাঁকে নিয়ে নাজেহাল হতে হয়েছিল। প্রিয়াঙ্কা চোপড়ার তৈরি হয়েছিল বহু ভক্ত। ছেলেরা তাঁর পিছনে পিছনে ঘুরত। একবার এক অজ্ঞাত পরিচয়ের যুবক প্রিয়াঙ্কার জানলায় লাফিয়ে উঠে পড়েছিলেন, যা দেখে ফেলেন প্রিয়াঙ্কার বাবা। মুহূর্তে আবার সে সেখান থেকে লাফিয়ে পালিয়েও যান।
এই পরিস্থিতি দেখে রীতিমত মেজাজ হারান প্রিয়াঙ্কা চোপড়ার বাবা। তিনি জারি করেছিলেন কড়া নিয়ম। না, আর বিদেশের মতো চালচলন থাকলে চলবে না। পরতে হবে দেশীয় পোশাক। ভারতীয়দের মতই হতে হবে চাল চলন। প্রিয়াঙ্কা চোপড়া তখন সবটাই মানতে বাধ্য হয়েছিলেন। তবে একটা নির্দিষ্ট সময়ের পর তিনি আর এই বিষয় নিজেকে বেঁধে রাখেননি। কারণ একটাই। প্রিয়াঙ্কা চোপড়া মাত্র ১৯ বছর বয়সে এসেই মডেলিং কেরিয়ার শুরু করে দেন তিনি। মডেলিং কেরিয়ারে পা রাখতেই রাতারাতি নজরের কেন্দ্রে জায়গা করে নিয়েছিলেন প্রিয়াঙ্কা চোপড়া। সেখান থেকেই শুরু তাঁর সেলেব সফর। তখন আর কোনও বাধা বিপত্তিই মানতে হয়নি। পাল্টে গিয়েছিল প্রিয়াঙ্কা চোপড়ার কেরিয়ার থেকে শুরু করে লাইফস্টাইল।