ইলেকট্রিক ভেহিকল নিয়ে বড়সড় সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করল বাজাজ অটো। পুণের আকুর্দিতে ৩০০ কোটি টাকা খরচ করে নতুন ইলেকট্রিক ভেহিকল ইউনিট তৈরি করছে এই বাইক প্রস্তুতকারক সংস্থা। বুধবারই সংস্থার তরফ থেকে এই ঘোষণা করা হয়েছে। প্রতি বছর সেখানে ৫ লাখ ইলেকট্রিক গাড়ি তৈরি করা হবে বাজাজ অটোর তরফ থেকে আরও জানানো হয়েছে। দেশের বাজার তো বটেই এবং বিদেশের মার্কেটেও এক্সপোর্ট করা হবে বাজারের আসন্ন সব ইলেকট্রিক স্কুটার বা বাইক।
এই নতুন ইউনিটের প্রথম গাড়িটি ২০২২ সালের জুন মাসের মধ্যেই লঞ্চ হয়ে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে। প্রসঙ্গত, পুণের এই আর্কুদির কারখানায় বহু দিন ধরে বাজাজের চেতক স্কুটারটি তৈরি হত। এই কারখানাই এক সময়ে বাজাজ চেতক স্কুটার কারখানা নামে বিখ্যাত হয়েছিল। বাজাজ অটোর ম্যানেজিং ডিরেক্টর রাজীব বাজাজ এই বিষয়ে বলছেন, “২০০১ সালের বাজাজ ২.০ এবং তার পরে ২০২১ সালে বাজাজ ৩.০ নিয়ে এসে এই পোর্টফোলিওর ভক্তদের মন জিততে পেরেছি বলেই আমাদের বিশ্বাস। বাজাজ চেতক ৩.০ চাড়াও ভারতের বাজারে আগামীতে একাধিক ইলেকট্রিক স্কুটার তৈরির পরিকল্পনা করছি।”
তিনি আরও বলেন, আকুর্দির কারখানায় আমাদের এই বিপুল পরিমাণ বিনিয়োগ আসলে হাই-টেক R&D (রিসার্চ ও ডেভেলপমেন্ট) দক্ষতা, উচ্চ-দক্ষ প্রকৌশল ক্ষমতা, বিশ্বমানের সাপ্লাই চেইন সিনার্জি এবং গ্লোবাল ডিস্ট্রিবিউশন নেটওয়ার্কের পুণ্যচক্রকে সম্পূর্ণ করবে যা কোম্পানিটিকে ভারত ও বিদেশের বাজারের ইভি সেগমেন্টে শীর্ষস্থানীয় অবস্থানে নিয়ে যেতে পারে। বাজাজ অটো দ্বারা করা বিনিয়োগগুলি অনেক বিক্রেতাদের দ্বারা সম্পূরক হবে, যারা পরবর্তীতে আরও অর্থ বিনিয়োগ করবে৷ সংস্থার তরফ থেকে বলা হচ্ছে, হতে পারে তা ২৫০ কোটি (৩৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার)।
নতুন ইউনিটে লজিস্টিক ও ম্যাটেরিয়াল হ্যান্ডলিং, ফ্যাব্রিকেশন ও পেইন্টিং, সমাবেশ ও গুণমানের নিশ্চয়তা-সহ সব কিছুর জন্যই অত্যাধুনিক রোবটিক এবং স্বয়ংক্রিয় উত্পাদন ব্যবস্থা থাকবে। এই সিস্টেমগুলি নমনীয় পণ্য মিশ্রণের জন্য ডিজাইন করা হয়েছে। সংস্থার তরফ থেকে বলা হচ্ছে, সেরা কর্মী এরগনোমিক্স এবং তাঁদের দক্ষতার কথা মাথায় রেখেই এই বিশেষ ডিজাইন ডেভেলপ করা হয়েছে।
আকুর্দির ইউনিটটি বাজাজ অটোর অত্যাধুনিক গবেষণা ও উন্নয়ন কেন্দ্রের সঙ্গে সহ-অবস্থিত রয়েছে যার দ্বারা বৃহত্তর সহযোগিতা বাড়ানো যায়। একটি বিবৃতির মাধ্যমে সংস্থার তরফ থেকে বলা হচ্ছে, দ্রুত সময়ের মধ্যে বাজারের দিকে পরিচালিত করার মধ্যে দিয়ে এই সুবিধাটিকে একটি সম্পূর্ণ নকশা, উন্নয়ন এবং উত্পাদনের কেন্দ্রে রূপান্তরিত করা উচিত।
আরও পড়ুন: ওলা এস১ কিনলে বিনামূল্যে এস১ প্রো-র ফিচার্স! তাহলে ৩০ হাজার টাকা বেশি খরচ করার অর্থ কী?
আরও পড়ুন: ওলা ইলেকট্রিক স্কুটার কিনে সমস্যায় জেরবার চালকরা, গুণমান ও রেঞ্জ নিয়ে গুচ্ছের অভিযোগ