স্টাইলিশ স্কুটারের কথা উঠলে, প্রথমেই আমাদের জাপানের কথা মাথায় আসে। আর সেই জাপানে বিগত বহু বছর ধরে একের পর এক সস্তা, দামি সব রেঞ্জের স্টাইলিশ স্কুটার নিয়ে এসেছে হন্ডা (Honda)। এই সংস্থা সম্প্রতি আরও দুটি এন্ট্রি লেভেলের স্কুটার লঞ্চ করেছে। হন্ডা-র সেই লেটেস্ট স্কুটার দুটির নাম হন্ডা গিওর্নো এবং ডাঙ্ক (Honda Giorno And Dunk)। প্রাত্যহিক কনজ়িউমারের কথা মাথায় রেখে চালককে অনবদ্য রাইডিং অভিজ্ঞতা এই দুটি স্কুটারই সহজ-সাধারণ করা হয়েছে। তার থেকেও বড় কথা হল, দুটি স্কুটারই ৫০ সিসির (Honda 50cc Scooters)। এদের মধ্যে হন্ডা গিওর্নো স্কুটারটিতে রয়েছে রেট্রো ডিজাইন। অন্য দিকে নতুন প্রজন্মকে টার্গেট করে হন্ডা ডাঙ্ক স্কুটারে নিউট্রাল অ্যাপিয়ারেন্স দিয়েও লুকের দিক থেকে স্টাইলিশ করা হয়েছে। এই দুই লেটেস্ট স্কুটারের যাবতীয় খুঁটিনাটি তথ্য এক নজরে দেখে নেওয়া যাক।
স্টাইলিং
এই আপডেটেড স্কুটারের লুক বাজারের আর পাঁচটা নর্ম্যাল সাইজ় স্কুটারের মতোই। রাউন্ড হেডলাইট দেওয়া হয়েছে। কার্ভি বডিওয়ার্কের সঙ্গেই এই স্কুটারে সামগ্রিক ভাবে রেট্রো লুক দেওয়া হয়েছে। এক ঝলক এই স্কুটারটি দেখে অনেকটা ভেস্পার মতোই মনে হবে। হেডল্যাম্পের চারপাশে ক্রোম হাইলাইটস, টেলএএমপি, টার্ন ইন্ডিকেটর, রিয়ার ফেন্ডার্স এবং টেল সেকশন এই স্কুটারটিকে যেন একটা ওল্ড-স্কুল চার্ম দিয়েছে।
অন্য দিকে হন্ডা ডাঙ্ক মডেলটির চতুর্দিকে এজি প্যানেল দেওয়ার কারণে তার লুক আরও স্টাইলিশ হয়ে উঠেছে। স্কুটারের ফ্রন্ট অ্যাপ্রনে রয়েছে ভি শেপ হ্যালোজেন হেডলাইট এবং তার দু’পাশে রয়েছে বাল্ব টার্ন ইন্ডিকেটর। গিওর্নো মডেলে যেমন সিলভার অ্যালয় হুইল রয়েছে, ডাঙ্ক স্কুটারে রয়েছে কালো অ্যালয় হুইল। ফলে গাড়িটির লুক আরও স্পোর্টি হয়ে উঠেছে।
দুটি স্কুটারেরই একাধিক কালার অপশন রয়েছে। গিওর্নোর মোট চারটি কালার মডেল রয়েছে – ভার্জিন বেইজ, পার্ল ডিপ মাড গ্রে, ম্যাটে আরমোর্ড গ্রিন মেটালিক এবং সামার পিঙ্ক। অন্য দিকে আবার ডাঙ্ক মডেলে রয়েছে, ম্যাটে জিন্স পার্ল মেটালিক, পার্ল ডিপ গ্রে এবং ম্যাটে ব্যালিস্টিক ব্ল্যাক মেটালিক।
ফিচার্স
নিত্যযাত্রীদের কথায় মাথায় রেখে এই দুই স্কুটারেই এমন কিছু ফিচার্স দেওয়া হয়েছে যেগুলি শহরাঞ্চলের স্কুটার চালকদের জন্য আদর্শ। দুটি স্কুটারেই দেওয়া হয়েছে অ্য়ানালক কনসোল (সঙ্গে একটি ডিজিটাল ইনসেট) এবং গ্লোভবক্সে থাকছে একটি ১২ভি ইউএসবি চার্জিং পোর্ট, যা ৫০০মিলি স্টোরেজ নিতে সক্ষম। স্কুটার দুটির মাঝখানে বেশ বড় স্পেস দেওয়া হয়েছে, যেখানে বড় লাগেজ আরামসে ধরে যাবে। এছাড়াও দুটি স্কুটারে রয়েছে ২৩ লিটার আন্ডার-সিট স্টোরেজ। ডাঙ্ক ও গিওর্নো স্কুটার দুটিতে ৪.৫ লিটার তেল ট্য়াঙ্ক দেওয়া হয়েছে। সংস্থার তরফ থেকে দাবি করা হচ্ছে, ৭৫-৮০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা মাইলেজ দিতে পারবে স্কুটার দুটি।
মেক্যানিক্যাল স্পেসিফিকেশনস
পাওয়ারের জন্য দুটি স্কুটারেই থাকছে ৪৯সিসি সিঙ্গেল-সিলিন্ডার যা ৪.৫পিএস পাওয়ার দিতে পারে ৮০০০আরপিএম রেটে এবং ৪.১এনএম টর্ক দিতে সক্ষম ৬,০০০আরপিএম রেটে। হার্ডওয়্যার কনফিগারেশনের দিক থেকে দুটি স্কুটারের সামনে রয়েছে প্রথাগত টেলিস্কোপিক ফর্কের একটি সাসপেনশেন সেটআপ। এদের মধ্যে গিওর্নো মডেলের রিয়ার প্যানেলে থাকছে ডুয়াল শক অ্যাবসর্বার এবং ডাঙ্কে মনো-শক দেওয়া হয়েছে।
দাম ও উপলব্ধতা
আপাতত এই স্কুটার দুটি লঞ্চ করা হয়েছে জাপানের মার্কেটের জন্য়ই। সে দেশে হন্ডা গিওর্নো স্কুটারের দাম জেপিওয়াই ২,০৯,০০০ বা ১.৩৪ লাখ টাকা প্রায়। অন্য দিকে হন্ডা ডাঙ্ক স্কুটারের দাম একটু বেশি, জেপিওয়াই ২,২৯,৯০০ বা ১.৪৭ লাখ টাকা প্রায়। বিশ্বের অন্যান্য প্রান্তে এই স্কুটার দুটি কবে নাগাদ লঞ্চ হতে পারে সে বিষয়ে হন্ডার তরফ থেকে কিছুই জানানো হয়নি। ভারতেও কবে আসতে পারে, সে ব্যাপারেও কোনও আভাস দেয়নি হন্ডা।
আরও পড়ুন: এবার টিভিএস-এর ইলেকট্রিক স্কুটার নিয়ে খাবার ডেলিভারি করবেন সুইগি ডেলিভারি পার্টনাররা!
আরও পড়ুন: টেসলা-র প্রথম গাড়ি ভারতে কবে আসছে? আপডেট দিলেন খোদ এলন মাস্ক
আরও পড়ুন: হন্ডা-র নতুন সিবি৩০০আর লঞ্চ হল, দাম ২.৭৭ লাখ টাকা, ফিচার্স দেখে নিন