ইলেকট্রিক ভেহিকল (Electric Vehicle) সমৃদ্ধ দেশ যাতে ভারতবর্ষ হয়ে ওঠে, তার সবরকম চেষ্টা করে যাচ্ছে সরকার। সমানতালে সহযোগিতা করে চলেছে দেশের বিভিন্ন অটোমেকার, ইলেকট্রিক মোবিলিটি স্টার্ট-আপ সংস্থাগুলি। চার্জিং সংক্রান্ত সমস্যারও সমাধানসূত্র খোঁজার চেষ্টা চলছে। সেই সঙ্গে সন্ধান চলছে প্রথাগত বিভিন্ন যানবাহনকে বৈদ্যুতিক গতিশীলতা প্রদানেরও। এমনই এক অবাক যন্ত্রের হদিশ দিলেন বিজ়নেস টাইকুন আনন্দ মাহিন্দ্রা। সেই যন্ত্র সাইকেলে (Cycle) বসিয়ে দিলে তা মুহূর্তে ইলেকট্রিক বাইকে রূপান্তরিত হবে। ডিভাইসের নাম, ধ্রুব বিদ্যুৎ ইলেকট্রিক কনভার্সন কিট বা ডিভিইসিকে (Dhruv Vidyut Electric Conversion Kit Or DVECK)। যন্ত্রটি তৈরি করেছেন গুরসৌরভ সিং নামের এক ব্যক্তি। সাইকেলে বসালে তা ব্যাটারি-পাওয়ার্ড এবং মোটরাইজ় ভেহিকল হয়ে যাবে। প্রতি ঘণ্টায় ২৫ কিলোমিটার সর্বোচ্চ গতি দিতে পারবে এবং তার প্লেলোড ক্যাপাসিটি ১৭০ কিলোগ্রাম, যা হিসেব মতো অনেকটাই। আপনারই গ্যারেজে পড়ে থাকা ধ্যারধ্যারে গোবিন্দপুর-মার্কা সাইকেলটা কাজে লাগিয়ে সর্বোপরি একটা ইলেকট্রিক বাইকের রূপ না হলেও গুণ দিতে আর রকেট সায়েন্সের দরকার নেই! মুশকিল আসানের নাম ধ্রুব বিদ্যুৎ ইলেকট্রিক কনভার্সন কিট।
যন্ত্রের সন্ধান গুরসৌরভের, তাঁকে খুঁজলেন আনন্দ মাহিন্দ্রা
সমাজকে একটা অন্যরূপে দেখতে এবং দেখাতে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ট্যুইট করে থাকেন আনন্দ মাহিন্দ্রা। মাইক্রোব্লগিং সাইট ট্যুইটারে তিনিই এই ধ্রুব বিদ্যুৎ ইলেকট্রিক কনভার্সন কিট বা ডিভিইসিকে নামক যন্ত্রের সঙ্গে ভারতবাসীর পরিচয় করিয়েছেন। সেই পোস্টে একটি ভিডিয়োও শেয়ার করেছেন আনন্দ, যা আসলে ওই যন্ত্রের একটি বিজ্ঞাপন এবং অত্যন্ত সৃজনশীল ভঙ্গিমায় সেটি তৈরি করা হয়েছে। এই ডিভাইস এবং সর্বোপরি তার আবিষ্কার যে শিল্পপতি আনন্দ মাহিন্দ্রাকে কতখানি ভাবিয়েছে, তা একাধিক ট্যুইট করেই প্রমাণ করে দিয়েছেন তিনি।
This has been doing the #Signal rounds the last few days. Not the first device in the world to motorise a cycle. But this is a) An outstanding design—compact & efficient b) Rugged-loved the working in mud, making it an off-roader! c) Safe d) Savvy—a phone charging port! (1/3) pic.twitter.com/Fb4gwBd8FS
— anand mahindra (@anandmahindra) February 12, 2022
ফিচার্স ও স্পেসিফিকেশনস
চমৎকার কিছু স্পেসিফিকেশনস এই ডিভাইসে রয়েছে। যে সাইকেলে এই ধ্রুব বিদ্যুৎ ইলেকট্রিক কনভার্সন কিট বা ডিভিইসি যন্ত্রটি বসানো হবে, সেই সাইকেলের রেঞ্জ হবে ৪০ কিলোমিটার। অর্থাৎ একবার চার্জ দিলে সেটি ৪০ কিলোমিটার পর্যন্ত ছুটতে পারবে। সেই সঙ্গেই আবার কঠিন পরিস্থিতি যেমন কর্দমাক্ত রাস্তায় বা আগুন লেগেছে এমন জায়গায় এই ডিভাইসের প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তুলতে পারবে। সেই সঙ্গেই এটি ওয়াটর-প্রুফ অর্থাৎ জলে ভিজলে কিসসু হবে না। রাস্ট-প্রুফও বটে অর্থাৎ মরচে পড়তে দেবে না। রয়েছে চার্জেবল ব্যাটারি, ফোন চার্জারের মতো একাধিক গুরুত্বপূর্ণ জিনিস।
বিনিয়োগের ইচ্ছাপ্রকাশ আনন্দ মাহিন্দ্রার
আনন্দ মাহিন্দ্রা লিখছেন, “প্রত্যেক অটোমেকারের জন্য এটি একটি রিমাইন্ডার, যাঁরা ইলেকট্রিক গাড়ি তৈরির জন্য বেশি করে ফোকাস করছেন, এই বৈদ্যুতিক গাড়ির বিপ্লব কিন্তু সামনের দিনে খুবই জরুরি হতে চলেছে।” শুধু তাই নয়। এই আবিষ্কার আনন্দ মাহিন্দ্রার এতটাই পছন্দ হয়েছে যে, তিনি এই ডিভাইসের পিছনে বিনিয়োগও করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন ট্যুইট পোস্টের মাধ্যমেই। লিখছেন, “কমার্শিয়ালি নিয়ে আসতে পারলে সবার জন্য লাভজনক হয়ে উঠবে। আমি বিনিয়োগকারী হতে এক পায়ে রাজি আছি।” তারপরই তিনি ট্যুইটার ইউজারদের উদ্দেশ্যে অনুরোধ করছেন, ডিভাইসের প্রতিষ্ঠাতা গুরসৌরভের সঙ্গে যদি তাঁর একবার যোগাযোগ করিয়ে দেওয়া যায়।
My dream of getting this invention to the 8 crore people across India feels so within grasp all of a sudden.. @anandmahindra, all innovators like me look upto you, know that you will support us like u always do, time and again. Looking forward to talking to you sir
Happiest day— Dhruvvidyut (@dhruvvidyut) February 12, 2022
৮ কোটি ভারতীয়ের কাছে তুলে দিতে চান গুরসৌরভ
মাহিন্দ্রার সেই বার্তা ধ্রুব বিদ্যুৎ ইলেকট্রিক কনভার্সন কিট বা ডিভিইসিকে-র আবিষ্কারক গুরসৌরভের কাছে পৌঁছে গিয়েছে। তাঁর সংস্থা ধ্রুব বিদ্যুৎ-এর ট্যুইটার পেজ থেকে আনন্দ মাহিন্দ্রার সেই প্রস্তাবে সাড়া দিয়ে একটি ট্যুইটও করা হয়েছে। বলা হয়েছে, “৮ কোটি ভারতীয় সাইকেল-চালকের কাছে এই আবিষ্কার পৌঁছে দেওয়ার আমার স্বপ্ন হঠাৎই সফল হতে চলেছে।” পরিসংখ্যান বলছে, ভারতের প্রায় ৫৮ শতাংশ মানুষ সাইকেল চালান। এখন দেখার গুরসৌরভের এই অবাক যন্ত্র দেশের সেই সব সাইকেল-চালকের কাছে পৌঁছয় কি না, আর পৌঁছলেও তাঁরা কতটা উপকৃত হন।
আরও পড়ুন: স্কুটার কিন্তু ঠিক যেন বাইকের মতোই লুক! ভ্যারিও ১৬০ মোটোজিপি এডিশনের এক ঝলক দেখাল হন্ডা
আরও পড়ুন: ন্যানো বৈদ্যুতিক গাড়ির ডেলিভারি নিলেন রতন টাটা, ‘সত্যের মুহূর্ত’ বলে দাবি করল সংস্থা
ইলেকট্রিক ভেহিকল (Electric Vehicle) সমৃদ্ধ দেশ যাতে ভারতবর্ষ হয়ে ওঠে, তার সবরকম চেষ্টা করে যাচ্ছে সরকার। সমানতালে সহযোগিতা করে চলেছে দেশের বিভিন্ন অটোমেকার, ইলেকট্রিক মোবিলিটি স্টার্ট-আপ সংস্থাগুলি। চার্জিং সংক্রান্ত সমস্যারও সমাধানসূত্র খোঁজার চেষ্টা চলছে। সেই সঙ্গে সন্ধান চলছে প্রথাগত বিভিন্ন যানবাহনকে বৈদ্যুতিক গতিশীলতা প্রদানেরও। এমনই এক অবাক যন্ত্রের হদিশ দিলেন বিজ়নেস টাইকুন আনন্দ মাহিন্দ্রা। সেই যন্ত্র সাইকেলে (Cycle) বসিয়ে দিলে তা মুহূর্তে ইলেকট্রিক বাইকে রূপান্তরিত হবে। ডিভাইসের নাম, ধ্রুব বিদ্যুৎ ইলেকট্রিক কনভার্সন কিট বা ডিভিইসিকে (Dhruv Vidyut Electric Conversion Kit Or DVECK)। যন্ত্রটি তৈরি করেছেন গুরসৌরভ সিং নামের এক ব্যক্তি। সাইকেলে বসালে তা ব্যাটারি-পাওয়ার্ড এবং মোটরাইজ় ভেহিকল হয়ে যাবে। প্রতি ঘণ্টায় ২৫ কিলোমিটার সর্বোচ্চ গতি দিতে পারবে এবং তার প্লেলোড ক্যাপাসিটি ১৭০ কিলোগ্রাম, যা হিসেব মতো অনেকটাই। আপনারই গ্যারেজে পড়ে থাকা ধ্যারধ্যারে গোবিন্দপুর-মার্কা সাইকেলটা কাজে লাগিয়ে সর্বোপরি একটা ইলেকট্রিক বাইকের রূপ না হলেও গুণ দিতে আর রকেট সায়েন্সের দরকার নেই! মুশকিল আসানের নাম ধ্রুব বিদ্যুৎ ইলেকট্রিক কনভার্সন কিট।
যন্ত্রের সন্ধান গুরসৌরভের, তাঁকে খুঁজলেন আনন্দ মাহিন্দ্রা
সমাজকে একটা অন্যরূপে দেখতে এবং দেখাতে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ট্যুইট করে থাকেন আনন্দ মাহিন্দ্রা। মাইক্রোব্লগিং সাইট ট্যুইটারে তিনিই এই ধ্রুব বিদ্যুৎ ইলেকট্রিক কনভার্সন কিট বা ডিভিইসিকে নামক যন্ত্রের সঙ্গে ভারতবাসীর পরিচয় করিয়েছেন। সেই পোস্টে একটি ভিডিয়োও শেয়ার করেছেন আনন্দ, যা আসলে ওই যন্ত্রের একটি বিজ্ঞাপন এবং অত্যন্ত সৃজনশীল ভঙ্গিমায় সেটি তৈরি করা হয়েছে। এই ডিভাইস এবং সর্বোপরি তার আবিষ্কার যে শিল্পপতি আনন্দ মাহিন্দ্রাকে কতখানি ভাবিয়েছে, তা একাধিক ট্যুইট করেই প্রমাণ করে দিয়েছেন তিনি।
This has been doing the #Signal rounds the last few days. Not the first device in the world to motorise a cycle. But this is a) An outstanding design—compact & efficient b) Rugged-loved the working in mud, making it an off-roader! c) Safe d) Savvy—a phone charging port! (1/3) pic.twitter.com/Fb4gwBd8FS
— anand mahindra (@anandmahindra) February 12, 2022
ফিচার্স ও স্পেসিফিকেশনস
চমৎকার কিছু স্পেসিফিকেশনস এই ডিভাইসে রয়েছে। যে সাইকেলে এই ধ্রুব বিদ্যুৎ ইলেকট্রিক কনভার্সন কিট বা ডিভিইসি যন্ত্রটি বসানো হবে, সেই সাইকেলের রেঞ্জ হবে ৪০ কিলোমিটার। অর্থাৎ একবার চার্জ দিলে সেটি ৪০ কিলোমিটার পর্যন্ত ছুটতে পারবে। সেই সঙ্গেই আবার কঠিন পরিস্থিতি যেমন কর্দমাক্ত রাস্তায় বা আগুন লেগেছে এমন জায়গায় এই ডিভাইসের প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তুলতে পারবে। সেই সঙ্গেই এটি ওয়াটর-প্রুফ অর্থাৎ জলে ভিজলে কিসসু হবে না। রাস্ট-প্রুফও বটে অর্থাৎ মরচে পড়তে দেবে না। রয়েছে চার্জেবল ব্যাটারি, ফোন চার্জারের মতো একাধিক গুরুত্বপূর্ণ জিনিস।
বিনিয়োগের ইচ্ছাপ্রকাশ আনন্দ মাহিন্দ্রার
আনন্দ মাহিন্দ্রা লিখছেন, “প্রত্যেক অটোমেকারের জন্য এটি একটি রিমাইন্ডার, যাঁরা ইলেকট্রিক গাড়ি তৈরির জন্য বেশি করে ফোকাস করছেন, এই বৈদ্যুতিক গাড়ির বিপ্লব কিন্তু সামনের দিনে খুবই জরুরি হতে চলেছে।” শুধু তাই নয়। এই আবিষ্কার আনন্দ মাহিন্দ্রার এতটাই পছন্দ হয়েছে যে, তিনি এই ডিভাইসের পিছনে বিনিয়োগও করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন ট্যুইট পোস্টের মাধ্যমেই। লিখছেন, “কমার্শিয়ালি নিয়ে আসতে পারলে সবার জন্য লাভজনক হয়ে উঠবে। আমি বিনিয়োগকারী হতে এক পায়ে রাজি আছি।” তারপরই তিনি ট্যুইটার ইউজারদের উদ্দেশ্যে অনুরোধ করছেন, ডিভাইসের প্রতিষ্ঠাতা গুরসৌরভের সঙ্গে যদি তাঁর একবার যোগাযোগ করিয়ে দেওয়া যায়।
My dream of getting this invention to the 8 crore people across India feels so within grasp all of a sudden.. @anandmahindra, all innovators like me look upto you, know that you will support us like u always do, time and again. Looking forward to talking to you sir
Happiest day— Dhruvvidyut (@dhruvvidyut) February 12, 2022
৮ কোটি ভারতীয়ের কাছে তুলে দিতে চান গুরসৌরভ
মাহিন্দ্রার সেই বার্তা ধ্রুব বিদ্যুৎ ইলেকট্রিক কনভার্সন কিট বা ডিভিইসিকে-র আবিষ্কারক গুরসৌরভের কাছে পৌঁছে গিয়েছে। তাঁর সংস্থা ধ্রুব বিদ্যুৎ-এর ট্যুইটার পেজ থেকে আনন্দ মাহিন্দ্রার সেই প্রস্তাবে সাড়া দিয়ে একটি ট্যুইটও করা হয়েছে। বলা হয়েছে, “৮ কোটি ভারতীয় সাইকেল-চালকের কাছে এই আবিষ্কার পৌঁছে দেওয়ার আমার স্বপ্ন হঠাৎই সফল হতে চলেছে।” পরিসংখ্যান বলছে, ভারতের প্রায় ৫৮ শতাংশ মানুষ সাইকেল চালান। এখন দেখার গুরসৌরভের এই অবাক যন্ত্র দেশের সেই সব সাইকেল-চালকের কাছে পৌঁছয় কি না, আর পৌঁছলেও তাঁরা কতটা উপকৃত হন।
আরও পড়ুন: স্কুটার কিন্তু ঠিক যেন বাইকের মতোই লুক! ভ্যারিও ১৬০ মোটোজিপি এডিশনের এক ঝলক দেখাল হন্ডা
আরও পড়ুন: ন্যানো বৈদ্যুতিক গাড়ির ডেলিভারি নিলেন রতন টাটা, ‘সত্যের মুহূর্ত’ বলে দাবি করল সংস্থা