Vehicular Pollution: গাড়ির দূষণ কমানোর যন্ত্র তৈরি করলেন ইঞ্জিনিয়ার, Tata Motors-এর কাছ থেকে পেলেন 13.52 কোটি টাকা
Tata Motors তাঁর কাছ থেকে এই পেটেন্টের অধিকারটি নিয়েছে। এই পেটেন্ট অধিগ্রহণের জন্য টাটা মোটরস তাঁকে 13.52 কোটি টাকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। Tata Motors এই ডিভাইসটি তাদের গাড়িতে ব্যবহার করবে 2024-25 থেকে।

Device To Reduce Vehicular Pollution: বিজ্ঞানভিত্তিক অন্বেষণ আমাদের জীবনকে অনেকখানিই সহজ করে দিয়েছে। মানব জীবনকে আরও উন্নত করতে, অজ্ঞাত প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে, কঠিন সমস্যার সহজ সমাধানসূত্র বের করতে প্রতিনিয়ত কঠোর পরিশ্রম করে চলেছেন হাজার-হাজার বিজ্ঞানী। এহেন বিজ্ঞানের এমন অনেক আবিষ্কারই আছে, যা কোনও বড়সড় ল্যাব থেকে আসেনি। বরং, সেগুলি এসেছে ছোট্ট শহর থেকেই। মহারাষ্ট্রের সোলাপুরের রাহুল বুলহানপুরকর তেমনই এক ব্যক্তি, যিনি চারচাকা গাড়ি থেকে সৃষ্ট দূষণ কমাতে অসামান্য একটি ডিভাইস আবিষ্কার করে ফেলেছেন।
সংবাদমাধ্যম News 18-এর রিপোর্ট অনুযায়ী, 2010 সালে তিনি তখন কাজ করছিলেন একটি গ্যারাজে। সেই সময়ই তিনি ভেবে ফেলেছিলেন, ফোর হুইলার থেকে যে দূষণ সৃষ্টি হয় তা কমাতে কিছু একটা করতে হবে। সেই চিন্তাভাবনা থেকেই শুরু হয় উদ্ভাবনের কাজ। দুই বছরের জন্য কাজ করে এমন একটি উপাদান নিয়ে আসেন, যা গাড়ি থেকে দূষণের মাত্রা কমাতে পারে। কিন্তু রাহুল কেবল মাত্র যানবাহানে লাগানো এই গুরুত্বপূর্ণ অংশ তৈরি করেই থেমে থাকেননি। তাঁর এই গবেষণার একটি পেটেন্টও পেয়ে গিয়েছিলেন।
তারপরই শুরু হয় আস কাজ। 10 বছরেরও বেশি কাজ করে রাহুল শেষমেশ তাংর গবেষণার পেটেন্টটি পান। তিনি বলেন, এই গবেষণার গুরুত্ব বিবেচনা করে বিশ্ব বিখ্যাত গাড়ি প্রস্তুতকারক সংস্থা Tata Motors তাঁর কাছ থেকে এই পেটেন্টের অধিকারটি নিয়েছে। এই পেটেন্ট অধিগ্রহণের জন্য টাটা মোটরস তাঁকে 13.52 কোটি টাকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে এই পরিমাণ টাকা থেকে তাঁকে 30% ট্যাক্স দিতে হবে। রাহুলের শিক্ষক সানপত শেলকেন তাঁকে উৎসাহিত করার জন্য সরকারের কাছে কর মকুবের আবেদন করেছেন।
রাহুলের মস্তিষ্কপ্রসূত এই উপাদানটি দেশে গাড়ির দূষণের মাত্রা 30% পর্যন্ত কমাতে পারবে। পাশাপাশি, এর ফলে গাড়ির মাইলেজও অনেকটা পরিমাণে বাড়বে বলে জানা গিয়েছে। গাড়ির সাইলেন্সারের কাছেই বসানো হচ্ছে এই উপাদানটি। প্রসঙ্গত, এখন গাড়িগুলিতে একটি EGR সিস্টেম ব্যবহৃত হয়, যা দূষণের হার কমাতে পারে।
রাহুল যে ডিভাইসটি তৈরি করেছেন, তা EGR বা এগসস্ট গ্যাস রিসাইকেলের প্রক্রিয়াটিকে আরও ভাল এবং কার্যকর করতে পারে। ডিভাইসের PCM অংশটি নিয়ন্ত্রিত হয় এই সেন্সরের সাহায্যে এবং সাইলেন্সারের মাধ্যমে নির্গমন আরও 30 শতাংশে কমে যায়। এই নতুন উপাদানটি নাইট্রোজেন অক্সাইডের পরিমাণও 70% পর্যন্ত কমাতে পারে। রাহুল জানিয়েছেন, Tata Motors তাঁর তৈরি এই ডিভাইসটি তাদের গাড়িতে ব্যবহার করবে 2024-25 থেকে।
