Telegram ইউজ়াররা সাবধান, আপনাকে নিঃস্ব করতে এই ফাঁদ পেতেছে হ্যাকাররা
Telegram Scam: কম সময়ে টাকা দ্বিগুন করার বার্তা দিলে তাতে সাড়া দেবেন না। তাহলেই প্রতারণার মুখে পড়তে হবে। তাই এই সব মেসেজ বা গ্রুপে ভুলেও নিজেকে রাখবেন না।
সোশ্যাল মিডিয়ায় একের পর এক জালিয়াতির ঘটনা ঘটে চলেছে। বার বার সতর্কতা জারি করা সত্বেও মানুষ সচেতন হচ্ছে না। আর তার ফলেই ঘটে চলেছে বিভিন্ন ধরনের প্রতারণা। গত কয়েক দিন ধরে টেলিগ্রামে অনেক ধরনের স্ক্যামের ঘটনা সামনে আসছে। এবার আবারও একটি নতুন প্রতারণার শিকার হয়েছেন কলকাতার এক ব্যক্তি। টাকা দ্বিগুণ হয়ে যাওয়ার লোভে 50 হাজার বিনিয়োগ করেন বেলেঘাটার এক বাসিন্দা। The Times Of India-র প্রতিবেদন অনুযায়ী, ভুক্তভোগীকে বলা হয়, সংস্থায় টাকা জমা করলে এক বছরের মধ্যে সেই টাকা দ্বিগুণ হয়ে যাবে। এমনকি যখন ইচ্ছা সেই টাকা তুলেও নেওয়া যাবে। সংস্থা থেকে প্রথম এক মাসের টাকাও ফেরত দিয়ে দেওয়া হয়েছে। তারপরেই ওই সংস্থায় প্রায় 24 লক্ষ টাকা বিনিয়োগ করেন সেই বেলেঘাটার বাসিন্দা। পরে আর সেই টাকা তুলে নিতে পারেননি তিনি। এরপরেই কলকাতা পুলিশের সাইবার সেলে বিষয়টি জানান প্রতারিত ব্যক্তি। সেই ঘটনার তদন্ত করতে গিয়ে মধ্যপ্রদেশ থেকে গৌরব নামদেব, পবন জোহরি ও দীপক গাঙ্গওয়ালকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
কীভাবে করা হয়েছিল এই স্ক্যাম?
টেলিগ্রাম গ্রুপটিতে তৈরি করা হয়েছিল ভার্চুয়াল প্রাইভেট নেটওয়ার্ক(VPN) পদ্ধতি কাজে লাগিয়ে। এই নেটওয়ার্ক কাজে লাগিয়ে কোনও কাজ করা হলে, তার আইপি অ্যাড্রেস খুঁজে পাওয়া বেশ কঠিন। অর্থাৎ ওই পদ্ধতির মাধ্যমে কোন জায়গা থেকে গ্রুপ তৈরি করা হয়েছে, তা জানা বেশ মুশকিল। ওই নেটওয়ার্কের মাধ্যমে পুলিশ দেখে প্রথমে দুবাইয়ে বসে খোলা হয়েছে গ্রুপটি। এরপরেই স্ক্যামারদের হদিশ পেতে কোন-কোন ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকা জমা পড়েছে এবং তা কোথায় কোথায় পাঠানো হয়েছে তাও জানা যায়। তারপরেই মধ্যপ্রদেশ থেকে ওই 3 জনকে আওতায় আনে পুলিশ। ধৃতদের জেরা করে পুলিশ। বাজেয়াপ্ত করা হয় ল্যাপটপ ও মোবাইল ফোন। আর তারপরৈই পুলিশ জানতে পারে, শুধু বেলেঘাটার ওই ব্যক্তি একা নন, আরও অনেকে প্রতারিত হয়েছে। এই ঘটনায় আর কে কে জড়িত, তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।
সচেতন থাকুন, ভুলেও এসব কাজ করবেন না:
- কম সময়ে টাকা দ্বিগুণ করার বার্তা দিলে তাতে সাড়া দেবেন না। তাহলেই প্রতারণার মুখে পড়তে হবে। তাই এই সব মেসেজ বা গ্রুপে ভুলেও নিজেকে রাখবেন না।
- কোনও লিংকে ক্লিক করবেন না। অনলাইনে প্রতারণার অনেক ঘটনা বাড়ছে। তাই কোনও অজানা লিঙ্কে ভুলেও ক্লিক করবেন না।
- কোনও ওয়েবসাইট ভিজিট করবেন না। হঠাৎ করে কোনও ওয়েবসাইটে ঢুকবেন না। https:// দিয়ে শুরু হওয়া এবং লক চিহ্ন রয়েছে, এমন ওয়েবসাইটই ব্যবহার করুন।
- সোশ্যাল মিডিয়ায় আসা কাজের অফার সব সময় খতিয়ে দেখুন। সন্দেহজনক মনে হলে পুলিশে খবর দিন।
- টেলিগ্রাম- হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে বিনিয়োগের কথা কোনও প্রতিষ্ঠিত সংস্থা বলে না। তাই অচেনা নম্বর থেকে আসা মেসেজে সাড়া দেবেন না।
- হঠাৎ করে কোনও অচেনা হোয়াটসঅ্যাপ বা টেলিগ্রাম গ্রুপে কেউ যুক্ত করলে, সঙ্গে সঙ্গে সেই গ্রুপ থেকে বেরিয়ে যান।