AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

WhatsApp Verified Service: Facebook, Insta-র পর কি এবার WhatsApp-এর জন্যও ভেরিফায়েড সার্ভিস চালু করা হবে?

WhatsApp-ও তো Meta-র অন্যতম জনপ্রিয় ইনস্ট্যান্ট মেসেজিং প্ল্যাটফর্ম। সেই প্ল্যাটফর্মের জন্য কি কোনও এমনতর Verified Service নিয়ে আসা হতে পারে, যে গ্রাহকরা অতিরিক্ত অর্থ খরচ করে ব্যবহার করতে পারবেন।

WhatsApp Verified Service: Facebook, Insta-র পর কি এবার WhatsApp-এর জন্যও ভেরিফায়েড সার্ভিস চালু করা হবে?
WhatsApp ব্যবহারকারীরাও কি ভেরিফায়েড সার্ভিস ব্যবহার করতে পারবেন?
| Edited By: | Updated on: Feb 21, 2023 | 11:58 PM
Share

Meta-র দুই জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম Facebook এবং Instagram ভেরিফায়েড সার্ভিস চালু করা হয়েছে। মেটা ভেরিফায়েড সার্ভিসের আওতায় ফেসবুক এবং ইনস্টাগ্রাম ব্যবহারকারীরা অতিরিক্ত টাকা খরচ করে এই পরিষেবা ব্যবহার করতে পারেন। কিন্তু WhatsApp-ও তো Meta-র অন্যতম জনপ্রিয় ইনস্ট্যান্ট মেসেজিং প্ল্যাটফর্ম। সেই প্ল্যাটফর্মের জন্য কি কোনও এমনতর Verified Service নিয়ে আসা হতে পারে, যে গ্রাহকরা অতিরিক্ত অর্থ খরচ করে ব্যবহার করতে পারবেন। এবং তাঁদের WhatsApp অ্যাকাউন্টটিকে আরও সুরক্ষিত রাখতে পারবেন। ফেসবুক এবং ইনস্টাগ্রামের ভেরিফায়েড সার্ভিস চালু হওয়ার পরেই এখন WhatsApp Verified Service নিয়ে তুঙ্গে জল্পনা।

WhatsApp Verified Service কী চালু করা হবে?

Meta Verified Service-এর ঘোষণা করেছিলেন খোদ সংস্থার সিইও মার্ক জ়াকারবার্গ। একটি Facebook পোস্টের মাধ্যমে এই ঘোষণা করেছিলেন তিনি। সেই পোস্টে অনেক ইউজার নানারকম উত্তর জানতে চেয়েছেন জ়াকারবার্গের কাছ থেকে। কেউ জিজ্ঞেস করেছেন, Facebook, Insta-র ‘ভেরিফাই’ প্রোফাইল বানাতে কত টাকা খরচ করতে হবে। কেউ আবার এ-ও জানতে চেয়েছেন যে, ফেসবুক, ইনস্টা-র মতোই কী WhatsApp-এও ভেরিফায়েড সার্ভিস নিয়ে আসা হবে? অনেকেই সেই কমেন্টে বিষয়টি নিয়ে কৌতূহলও প্রকাশ করেছেন।

তবে মার্ক জ়াকারবার্গ কিন্তু এড়িয়ে গিয়েছেন। এই প্রশ্নের কোনও উত্তর তিনি দেননি। সেখান থেকেই মনে করা হচ্ছে, আপাতত WhatsApp Verified Service নিয়ে আসার কোনও পরিকল্পনা নেই Meta-র। তাছাড়াও ফেসবুক এবং ইনস্টাগ্রাম প্রকৃত অর্থে সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম হওয়ার কারণে সেখানে ফেক প্রোফাইল তৈরি করে হ্যাকারদের আনাগোনার সম্ভাবনা অনেকাংশেই বেড়ে যায়। তার ফলে, ব্যবহারকারীদের একাধিক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। সেই কারণেই ব্লু টিক দিয়ে আলাদা একটা ভেরিফায়েড প্রোফাইল তৈরি করার প্রয়োজনীয়তা ফেসবুক এবং ইনস্টা ব্যবহারকারীদের জন্য অনেক আগেই হয়েছিল।

কিন্তু WhatsApp ইনস্ট্যান্ট মেসেজিং সার্ভিস হওয়ার ফলে সেখানে এভাবে ফেক প্রোফাইল তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা অপেক্ষাকৃত কম। তার পাশাপাশি গ্রাহক-সুরক্ষার দিক থেকে ফেসবুক এবং ইনস্টাগ্রামের থেকে অনেকাংশেই বেশি শক্তিশালী WhatsApp। সেই কারণেই সম্ভবত এখনও WhatsApp Verified Service আসার সম্ভাবনা অনেকটাই কম।

Meta Verified Service আসলে কী?

এদিকে Facebook এবং Instagram-এর জন্য Meta Verified Serviceটি বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে চালু হয়ে গিয়েছে গত সপ্তাহ থেকেই। এই পরিষেবায় গ্রাহকদের প্রোফাইলে একটি ব্লু ব্যাজ দেওয়া হবে, যাতে বোঝা যায় যে, তাঁরা প্রিমিয়াম ভেরিফিকেশন সার্ভিসের অন্তর্ভুক্ত। সাবস্ক্রিপশনের খরচটি ওয়েব ভার্সনের জন্য 11.99 মার্কিন ডলার এবং iOS প্ল্যাটফর্মের জন্য প্রতি মাসে 14.99 মার্কিন ডলার। পেইড ব্যবহারকারীরা তাঁদের প্রোফাইল ভেরিফাই করতে পারবেন একটি সরকারি আইডি দিয়ে। এই পরিষেবাটি সর্বপ্রথম নিউজ়িল্যান্ড এবং অস্ট্রেলিয়ায় চালু করা হয়।