Jio-র বিরাট সাফল্য, মার্কিন Nvidia-র সঙ্গে জুটি বেঁধে AI সুপারকম্পিউটার তৈরি করবে
Jio-র এই পদক্ষেপ চিনের জন্য উদ্বেগ বাড়িয়েছে। কারণ, Jio এবং Nvidia-র সহযোগিতায় তৈরি AI ক্লাউড বড় পরিসরে গৃহীত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। রিলায়েন্স জিও এই পার্টনারশিপে AI ক্লাউড পরিকাঠামো পরিচালনা এবং রক্ষণাবেক্ষণ করবে। সেই সঙ্গেই আবার ব্যবহারকারীদের সঙ্গে কানেক্টিভিটিও দেখভাল করবে।

এবার আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স তথা AI এর জগতে পদার্পণ করতে চলেছে Reliance Jio। চলতি বছরেই বার্ষিক সাধারণ সম্মেলন থেকে মুকেশ আম্বানি ঘোষণা করেছিলেন, সাশ্রয়ী মূল্যে যাতে প্রত্যেক ভারতীয়কে AI টুল সরবরাহ করতে পারেন, তা নিয়ে কাজ করছেন। আর সেই লক্ষ্যেই এবার AI ক্ষেত্রে বিরাট সাপোর্ট পেয়ে গেল মুকেশ আম্বানির সংস্থা। AI সেক্টরে কাজ করার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম জনপ্রিয় সফটওয়্যার কোম্পানি Nvidia-র সমর্থন পেয়ে গিয়েছে Jio। এই দুই সংস্থা একসঙ্গে AI সুপারকম্পিউটার তৈরি করবে বলে জানা গিয়েছে। ভারতে এসে Nvidia-র সিইও জেনসেন হুয়্যাং বলেছেন, “ভবিষ্যতে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের জগতে বৃহত্তম রফতানিকারক হতে চলেছে ভারত।”
তবে তাতে উদ্বেগ বেড়ে গিয়েছে চিনের। তার কারণ, বিশ্বের প্রত্যেকটি দেশ, সেই সব দেশের প্রযুক্তি সংস্থাগুলি AI নিয়ে কাজ করছে। অর্থাৎ AI যে ভবিষ্যত, সে বিষয়ে সন্দেহের অবকাশ নেই। আর চিন সমস্ত বিষয়েই এগিয়ে থাকতে চায়। তারা আগেভাগেই বেশিরভাগ AI পেটেন্ট দাখিল করে রেখেছে। চিনা সংস্থা টেনসেন্ট ইতিমধ্যে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের জগতে 9,614টি পেটেন্ট দাখিল করে রেখেছে। সেই দিক থেকে দেখতে গেলে মার্কিন সংস্থা Nvidia-র সাপোর্ট পাওয়া আসলে Reliance Jio-র জন্য যতটা ভাল, ততটাই তা চিনের জন্য সমস্যার।
অর্থাৎ আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের জগতেও চিনকে পাল্লা দিতে পারে ভারত। আর সেই লক্ষ্যেই অবিচল থেকে সুদূর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এক সংস্থার থেকে সমর্থন পেয়ে গিয়েছে ভারতের টেলিকম জায়ান্ট। এখন প্রশ্ন হল, AI এর জগতে Reliance Jio এবং Nvidia একত্রে কী করতে চলেছে? এই সংস্থা দুটি একত্রিত হয়ে ক্লাউড ভিত্তিক AI পরিকাঠামো তৈরি করবে। এই ক্ষেত্রে রিসার্চ, ডেভেলপমেন্টের জন্য বিভিন্ন স্টার্টআপ, বিজ্ঞানী এবং AI প্র্যাকটিশনারদের ব্যবহার করা হবে। এর মাধ্যমে দ্রুত গতিতে নিরাপদ ক্লাউড নেটওয়ার্কে কাজ করতে চলেছে ভারতীয় ও মার্কিন দুই সংস্থাই।
Jio-র এই পদক্ষেপ চিনের জন্য উদ্বেগ বাড়িয়েছে। কারণ, Jio এবং Nvidia-র সহযোগিতায় তৈরি AI ক্লাউড বড় পরিসরে গৃহীত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। রিলায়েন্স জিও এই পার্টনারশিপে AI ক্লাউড পরিকাঠামো পরিচালনা এবং রক্ষণাবেক্ষণ করবে। সেই সঙ্গেই আবার ব্যবহারকারীদের সঙ্গে কানেক্টিভিটিও দেখভাল করবে। এই প্রকল্পটি AI চ্যাটবট, চিকিৎসা, গবেষণা ইত্যাদি ক্ষেত্রে সাহায্য করবে।
অনেকের মনেই প্রশ্ন জাগতে পারে যে, পেটেন্ট কী? আসলে কোনও দেশ যখন কোনও কিছুর উদ্ভাবন করে যা এক্সক্লুসিভ, তার রেজিস্টার করতে হয়, যাতে অন্য কেই সেটির কপি না করতে পারে। সেই প্রক্রিয়াটিকেই পেটেন্ট দাখিল করা বলে।
2017 থেকে 2021 সালের মধ্যে কে কতটি পেটেন্ট দাখিল করেছে?
টেনসেন্ট – 9,614
বাইদু – 9,504
আইবিএম – 7,343
স্যামসাং – 6,885
পিং আন – 6,410
মাইক্রোসফট – 5,821
আলফাবেট – 4,068
