কেবল মাত্র ভারতের ইউজারদের জন্য দুর্দান্ত সেফটি রিসোর্স হাব (Safety Resource Hub) নিয়ে হাজির হল মেটার ইনস্ট্যান্ট মেসেজিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটসঅ্যাপ (WhatsApp)। সংস্থার সেই নতুন পরিষেবার নাম ‘সেফটি ইন ইন্ডিয়া’ (Safety In India)। অনলাইনে ইউজারদের সুরক্ষিত রাখতেই মুলত এই পরিষেবা নিয়ে এসেছে ইনস্ট্যান্ট মেসেজিং প্ল্যাটফর্মটি। গত এক সপ্তাহ ধরে দেশে একটি ক্যাম্পেন চালিয়েছিল হোয়াটসঅ্যাপ, যার নাম #টেকচার্জ। ইন্টারনেট কী ভাবে সুরক্ষিত উপায়ে ব্যবহার করা যায়, তা প্রোমোট করতেই এই ক্যাম্পেন চালিয়ে ছিল সংস্থাটি। আর তার ঠিক এক সপ্তাহের মধ্যে হোয়াটসঅ্যাপের এই সেফটি ইন ইন্ডিয়া ফিচারটি যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।
একটি বিবৃতি প্রকাশ করে ভারতে হোয়াটসঅ্যাপের প্রধান অভিজিৎ বসো এই বিষয়ে বলছেন, “হোয়াটসঅ্যাপে আমরা যা কিছু করি, তার মূলে রয়েছে আমাদের ব্যবহারকারীদের নিরাপত্তা। আর সেই বিষয়টিকেই আরও মান্যতা দিতে একটি ডেডিকেটেড ‘সেফটি ইন ইন্ডিয়া’ রিসোর্স হাব চালু করা হল। এটি ব্যবহারকারীদের অনলাইন নিরাপত্তার নিয়ন্ত্রণ নিতে শিক্ষিত ও ক্ষমতায়নের প্রতি আমাদের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করার একটি উপায়।”
আরও যোগ করে অভিজিৎ বোস বলছেন, “বছরের পর বছর ধরে আমরা ব্যবহারকারীর নিরাপত্তা এবং গোপনীয়তা বাড়াতে সাহায্য করার জন্য উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন করেছি। ক্রমাগত পণ্য উদ্ভাবনের পাশাপাশি, আমরা ব্যবহারকারীর নিরাপত্তাকে সমর্থন করার জন্য অত্যাধুনিক প্রযুক্তি, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, ডেটা সায়েন্স, বিশেষজ্ঞ এবং প্রক্রিয়াগুলিতে ধারাবাহিক ভাবে বিনিয়োগও করেছি।”
এই রিসোর্স হাব অনলাইন নিরাপত্তা, গোপনীয়তা এবং নিরাপত্তা সংক্রান্ত বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় অন্বেষণ করে। সাইবার সিকিওরিটি সংক্রান্ত দীর্ঘ দিন ধরে চলে আসা ধারণা, ভ্রান্ত ধারণা ভেঙে, আজকের ডিজিটাল ভাবে সংযুক্ত বিশ্বে ব্যবহারকারীরা কী ভাবে সম্ভাব্য সাইবার স্ক্যাম থেকে নিজেদের রক্ষা করতে পারেন, সে সম্পর্কে সচেতনতা তৈরি করাই এই হোয়াটসঅ্যাপ সেফটি ইন্ডিয়ার মূল লক্ষ্য।
সেফটি ইন ইন্ডিয়ার মাধ্যমে হোয়াটসঅ্যাপ, বিভিন্ন নিরাপত্তা ব্যবস্থা এবং অন্তর্নির্মিত পণ্য বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে সচেতনতা তৈরি করবে, যা ব্যবহারকারীদের পরিষেবা ব্যবহার করার সময় তাঁদের নিরাপত্তার নিয়ন্ত্রণ নিতে সক্ষম করে। অনলাইন সুরক্ষা সংক্রান্ত এই রিসোর্স হাব, উন্নত প্রযুক্তি হাইলাইট করে যা প্ল্যাটফর্মে ভুল তথ্যের বিস্তার এবং যে কোনও ধরনের অপব্যবহার রোধ করতে সাহায্য করে।
সবশেষে অভিজিৎ বোস জুড়লেন, “আমরা আশা করি, এই সংস্থানটি ব্যবহারকারীদের তাদের গোপনীয়তা রক্ষা করতে এবং নিরাপদে ইন্টারনেটে নেভিগেট করার জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে সজ্জিত করবে।”
আরও পড়ুন: ইনস্টার মতোই এবার বিশ্বের ১৫০ দেশে এসে গেল ফেসবুক রিলস
আরও পড়ুন: ভারতে ফের ৫৪টি চিনা অ্যাপ ব্যান করা হল কেন? এতদিন পর সামনে এল আসল
আরও পড়ুন: মাসে ৫০০ টাকারও কম খরচে ফাইবার ব্রডব্যান্ড প্ল্যান! তালিকায় কোন কোন সংস্থা রয়েছে?