জিও ফোনে চালু হল হোয়াটসঅ্যাপের ভয়েস কল পরিষেবা, কোন ভার্সানের অ্যাপ ডাউনলোড করবেন?

শুধুমাত্র জিও ফোন নয়, অন্যান্য KaiOS ভিত্তিক স্মার্ট ফিচার ফোনেও হোয়াটসঅ্যাপের ভয়েস কল পরিষেবা চালু হয়েছে।

জিও ফোনে চালু হল হোয়াটসঅ্যাপের ভয়েস কল পরিষেবা, কোন ভার্সানের অ্যাপ ডাউনলোড করবেন?
ছবি প্রতীকী।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jun 09, 2021 | 10:27 AM

জিও ফোনেও এবার থেকে পাওয়া যাবে হোয়াটসঅ্যাপ ভয়েস কলের সুবিধা। কেবলমাত্র জিও ফোন নয়, বিশ্বজুড়ে KaiOS-based সমস্ত ফোনেই পাওয়া যাবে এই পরিষেবা। নতুন এই ফিচার Voice over Internet Protocol (VoIP) প্রযুক্তির সাহায্যে কাজ করে। এর জন্য একটি সক্রিয় ইন্টারনেট কানেকশন কিংবা ভাল ওয়াই-ফাই পরিষেবা প্রয়োজন। হাই-স্পিড ইন্টারনেট থাকলে, তবেই হোয়াটসঅ্যাপ কলের পরিষেবা ভাল ভাবে উপভোগ করা সম্ভব।

ফেসবুক অধিকৃত মেসেজিং অ্যাপ সংস্থা হোয়াটসঅ্যাপের তরফে সম্প্রতি জানানো হয়েছে, তাদের ভয়েস কলিংয়ের পরিষেবা জিও ফোনের জন্য লঞ্চ হয়েছিল ২০১৮ সালে। আর KaiOS ভিত্তিক অন্যান্য স্মার্টফোনে এই পরিষেবা লঞ্চ হয়েছিল ২০১৯ সালে। তবে দু’ক্ষেত্রেই সফল ভাবে এই পরিষেবা চালু হয়েছে সম্প্রতিই।

কীভাবে এই হোয়াটসঅ্যাপ ভয়েস কলের পরিষেবা পাবেন ইউজাররা?

হোয়াটসঅ্যাপের 2.2110.41 ভার্সান ডাউনলোড করতে হবে জিও ফোনে। এই একই ভার্সানের হোয়াটসঅ্যাপ ডাউনলোড করতে হবে KaiOS ভিত্তিক অন্যান্য স্মার্টফোনেও। এই ভার্সানের হোয়াটসঅ্যাপ ফোনে থাকলে ভয়েস কলিং পরিষেবা পাবেন ইউজাররা। যেকোনও চ্যাটবক্স খুলে ভয়েস কল করতে পারবেন তাঁরা। তবে হাই-স্পিড ইন্টারনেট বা ওয়াই-ফাই পরিষেবা যেন থাকে, সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সাধারণ ভাবে অ্যানড্রয়েড ফোনে যেভাবে হোয়াটসঅ্যাপে গিয়ে নির্দিষ্ট ইউজারকে ভয়েস কল করা সম্ভব, এক্ষেত্রেও ব্যাপারটা সেরকমই।

উল্লেখ্য, ২০১৫ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে প্রথম ভয়েস কলের ফিচার চালু করেছিলেন হোয়াটসঅ্যাপ কর্তৃপক্ষ। তবে ডেস্কটপ ইউজারদের ক্ষেত্রে এই পরিষেবা চালু হয়েছে চলতি বছর মার্চ মাসে। তাও কেবলমাত্রা উইন্ডোজ এবং ম্যাক অ্যাপ ব্যবহারকারীরাই ডেস্কটপ থেকে হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে ভয়েস কল করার সুযোগ পান। অন্যান্যদের ক্ষেত্রে এই পরিষেবা এখনও চালু হয়নি।

আরও পড়ুন- স্যামসাং গ্যালাক্সি ট্যাব এ৭ লাইট আসছে ভারতে, কবে লঞ্চ? দামই বা কত, কী কী ফিচার থাকতে পারে

ফোনে যেরকম সাধারণ ভাবে কল আসে, ঠিক তেমনই হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমেও কল অর্থাৎ ভয়েস কল সম্ভব। এর ফলে অনেকসময় নেটওয়ার্কের সমস্যা থাকলে যদি হাই-স্পিড অর্থাৎ দ্রুত গতির ইন্টারনেট পরিষেবা বা ওয়াই-ফাই পরিষেবা থাকে, তাহলে অনায়াসেই একজন ইউজার হোয়াটসঅ্যাপ ভয়েস কল করতে পারবেন।