Mars: মঙ্গলের সঙ্গে ফের সংযোগ স্থাপন, ছুটি কাটিয়ে কাজে ফিরছে রোভার পারসিভের্যান্স
ইতিমধ্যেই মঙ্গলগ্রহ থেকে পাথুরে নমুনা অর্থাৎ রক স্যাম্পেল সংগ্রহ করেছে রোভার পারসিভের্যান্স। সেই নমুনা পৃথিবীতে পাঠানোর তোড়জোড়ও শুরু হয়েছে।
প্রায় দু’সপ্তাহ পর ফের পৃথিবী এবং মঙ্গল গ্রহের মধ্যে সংযোগ স্থাপন সম্ভব হয়েছে। শুধু তাই নয়, ছুটি কাটিয়ে নতুন করে কাজে ফিরে গিয়েছে মার্কিন স্পেস এজেন্সি নাসার পাঠানো মার্স রোভার পারসিভের্যান্সও। সম্প্রতি টুইট করে পারসিভের্যান্স নিজেই জানিয়েছে তার কাজে ফেরার কথা। এর সঙ্গেই মঙ্গলগ্রহের সমস্ত বিষয়-সম্পত্তির সং যোগাযোগ করতে পেরেছেন পৃথিবীর জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা। আসল ব্যাপারটা হল ‘সোলার কনজাংশন’- এর কারণেই মঙ্গল গ্রহে থাকা রোভারের সঙ্গে পৃথিবীর যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়েছিল।
এই সোলার কনজাংশন আসলে কী?
এই পর্যায়ে মঙ্গলগ্রহ এবং পৃথিবীর মধ্যবর্তী স্থানে অবস্থান করেছিল সূর্য। আর তার ফলে উক্ত দুই গ্রহের মধ্যে যেসমস্ত সংযোগকারী সিগন্যাল চলাচল করছিল, সেগুলো বাধাপ্রাপ্ত হয়েছিল। এই জন্যই লালগ্রহে থাকা রোভারের সঙ্গে নাসার সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছিল। তবে এই পুরো বিষয়টাই ছিল সাময়িক সময়ের জন্য। সোলার কনজাংশনের পর্যায় মিটে যাওয়ার পর সূর্য, পৃথিবী এবং মঙ্গল গ্রহ নিজ নিজ অবস্থানে ফিরে যাওয়ায় ফের পৃথিবী ও মঙ্গলগ্রহের মধ্যে সংযোগ স্থাপন সম্ভব হয়েছে।
রোভারের তরফে টুইটারে সম্প্রতি বলা হয়েছে যে পারসিভের্যান্স রোভার এখন মঙ্গলগ্রহের অতি পরিচিত Jazero crater- এ অবস্থা করছে। খুব তাড়াতাড়ি অনলাইনে এই রোভারকে খুঁজে পাওয়া যাবে। মঙ্গলের বুকে আবার প্রাণের অস্তিত্বের খোঁজে অভিযান চালাবে পারসিভের্যান্স। টুইটে লেখা হয়েছে, ‘সোলার কনজাংশন পর্যায় শেষ হয়েছে। আমি আবার কাজের জন্য তৈরি। চাকার তৈরির মঙ্গলের পৃষ্ঠদেশ অনুভব করা সত্যিই আনন্দের।’ জানা গিয়েছে, Jazero crater এলাকায় একটি dunes এবং একটি rock outcrop- এর মধ্যবর্তী এলাকায় এই দু’সপ্তাহ অবস্থান করছিল রোভার পারসিভের্যান্স।
Solar conjunction is over and I’m ready to get rolling again. Nothing like the feel of Mars under your wheels.
Latest images: https://t.co/Ex1QDo3eC2?(Sol 200 drive): https://t.co/JnELQV2rOy pic.twitter.com/D3vZSD99qT
— NASA's Perseverance Mars Rover (@NASAPersevere) October 19, 2021
ইঞ্জিনিয়াররা জানিয়েছেন, সোলার কনজাংশন পর্যায়ে মঙ্গলের সঙ্গে পৃথিবীর সংযোগ ছিন্ন হয়েছিল ঠিকই কিন্তু এই দু’সপ্তাহে নিজের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করেছে রোভার পারসিভের্যান্স। সেই সঙ্গে স্থবির অবস্থাতেই পর্যবেক্ষণ করেছে লালগ্রহের পৃষ্ঠদেশ। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এই সোলার কনজাংশন শুরুর আগেই রোভারের তরফে জানানো হয়েছিল যে ওই দু’সপ্তাহের মধ্যে সে এমনই কাজই করবে যেগুলো নিজে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। অর্থাৎ মঙ্গলগ্রহের বুকে থাকা dust devils দেখা কিংবা আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ করা।
মঙ্গলগ্রহে একা নেই রোভার পারিসিভের্যান্স
ইতিমধ্যেই মঙ্গলগ্রহ থেকে পাথুরে নমুনা অর্থাৎ রক স্যাম্পেল সংগ্রহ করেছে রোভার পারসিভের্যান্স। সেই নমুনা পৃথিবীতে পাঠানোর তোড়জোড়ও শুরু হয়েছে। আসলে মঙ্গলগ্রহের প্রাণের অস্তিত্বের খোঁজ চালাচ্ছে এই রোভার। শুধু রোভারই নয়, লালগ্রহের পৃষ্ঠদেশে পর্যবেক্ষণ চালাচ্ছে নাসার পাঠানো মার্স হেলিকপ্টার Ingenuity। মঙ্গলগ্রহ থেকে যে নমুনা এই রোভার সংগ্রহ করবে এবং লালগ্রহের পৃষ্ঠদেশের যেসব ছবি এই Ingenuity হেলিকপ্টার তুলবে, সেগুলো পর্যবেক্ষণ করে তবেই জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা ধারণা করতে সক্ষম হবেন যে আদৌ মঙ্গলগ্রহে প্রাণের অস্তিত্ব ছিল কি না।
আরও পড়ুন- Yulia Peresild: মহাকাশে সিনেমার শুটিং করে তাক লাগিয়েছেন রাশিয়ার অভিনেত্রী য়ুলিয়া