Gmail: দিনে গড়ে ৩ লক্ষ কোটি মেল, জি-মেলের দুনিয়ায় থাবা বসাতে আসছে সে? রাতারাতি ঘুরে যাবে খেলা?
Gmail: তথ্য বলছে, এই মুহূর্তে ভারতে ই-মেল সার্ভিসের ৯৮ শতাংশ জি-মেলের দখলে। আমরা কজন-ই বা এখন জি-মেল ছাড়া অন্য কোনও সংস্থার ই-মেল ব্যবহার করি? এক প্রকার সেই সুযোগই তো নেই। আর জি-মেলের মতো এত পরিষেবাও অন্য কোনও কোম্পানি দেয় না।
একটা বাচ্চা ছেলে নিজের খেয়ালে ছুটে বেড়াচ্ছে। তাঁর সঙ্গে কার্যত গায়ে সেঁটে ছুটে চলেছে কুকুরছানা। দেড় দশক আগে এক মোবাইল সংস্থার ট্যাগলাইনটা আপনাদের অনেকেরই মনে থাকতে পারে। হোয়ার এভার উই গো, আওয়ার নেটওয়ার্ক ফলোজ। আসলে জিমেল সম্পর্কেও কিন্তু সেই একই লাইন বলা যেতে পারে। জিমেল ছাড়া আমাদের জীবন তো একরকম অচলই। প্রতিদিন সকালে উঠে গুচ্ছ, গুচ্ছ স্প্যাম মেল, মার্কেটিং মেল, হাইপার মেল দেখতে গিয়ে বিরক্ত লাগে। ঠিক কথা। সঙ্গে এটাও তো ঠিক যে প্রয়োজনীয় কাজকর্ম সারতে জিমেল ছাড় গতি নেই। এক দশক আগেও হটমেল, ইন্ডিয়া টাইমস, রকেটমেলের মতো ই-মেল সার্ভিস ছিল। গুগল সবাইকে কার্যত গিলে নিয়ে একাই রাজস্ব করছে।
তথ্য বলছে, এই মুহূর্তে ভারতে ই-মেল সার্ভিসের ৯৮ শতাংশ জি-মেলের দখলে। আমরা কজন-ই বা এখন জি-মেল ছাড়া অন্য কোনও সংস্থার ই-মেল ব্যবহার করি? এক প্রকার সেই সুযোগই তো নেই। আর জি-মেলের মতো এত পরিষেবাও অন্য কোনও কোম্পানি দেয় না। অর্থাত্ এখনও পর্যন্ত অন্তত জি-মেলের বিকল্প নেই। এখনও পর্যন্ত কথাটা বলছি, কারণ হয়তো এই প্রথমবার চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে চলেছে গুগলের মেল-সার্ভিস। কারণ, এক্স-মেল নিয়ে জি-মেল সাম্রাজ্যে ভাঙন ধরাতে নামছেন এলন মাস্ক। এলন মাস্কের হাত ধরে টুইটার এখন নাম বদলে এক্স। সবকিছু ঠিকঠাক চললে সেই এক্স ব্র্যান্ডনামে মেল সার্ভিস নিয়ে হাজির হচ্ছেন মাস্ক।
সম্প্রতি এক্স হ্যান্ডেলে কোনও নেটিজেন মাস্ককে প্রশ্ন করেছিলেন, এক্স থেকে ই-মেল পাঠানোর ব্যবস্থা থাকলে দারুণ হতো। মাস্ক দুই শব্দে উত্তর দেন। ইটস কামিং। ওখানে তাঁকে প্রশ্ন করা হয়, আসছে ভাল। কিন্তু কবে আসছে? এবার মাস্কের উত্তর, উই আর ওয়ার্কিং অন ইট। মাস্কের ঘনিষ্ঠ এক প্রযুক্তিবিদ জল্পনা আরও উস্কে দিয়েছেন। সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেলে দাবি করেছেন, জি-মেলের থেকে বেশি স্টোরেজ ও সুবিধা দেবে এক্স-মেল। এক্স-অ্যাকাউন্ট না থাকলেও এক্স-মেল ব্যবহার করা যাবে। তবে মুশকিল হল, জি-মেলের একাধিপত্যের দুনিয়ায় ঢুকে তাঁকে চ্যালেঞ্জ করা মোটেই সোজা নয়।
এই খবরটিও পড়ুন
তথ্য় বলছে, এখন দিনে গড়ে ৩ লক্ষ কোটি মেল আদানপ্রদান হয়। আর এর ৯৫ শতাংশই জি-মেল। জি-মেল থেকে গুগলের আয় বছরে আড়াইশো কোটি ডলার। এর মধ্যে ২০০ কোটি ডলার আসে শুধু বিজ্ঞাপন থেকে। বাকিটা ইন্টারনেট ও প্রিমিয়াম সার্ভিস ফি থেকে ঘরে তোলে গুগল। একজন সাধারণ মানুষ দিনে গড়ে ১২১টি মেল পান। ই-মেলের দুনিয়ায় এই সম্ভাবনাই কাজে লাগাতে চাইছেন এলন মাস্ক। এখন দেখার খেলা কোন দিকে মোড় নেয়।