Arambagh: আইনকে বুড়ো আঙুল! কেটে সাফ করে দেওয়া হচ্ছে গাছ, নেপথ্যে অঞ্চল সভাপতির হাত?
Arambagh: আইন লঙ্ঘন করে প্রকাশ্য দিবালোকে কেটে ফেলা হচ্ছে দেদার গাছ। অভিযোগ, তৃণমূল অঞ্চল সভাপতির মদতে চলছে বৃক্ষনিধন। যদিও তৃণমূল অঞ্চল সভাপতির দাবি আইন মেনেই সব কাজ হয়েছে।
আরামবাগ: আইনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে প্রকাশ্য দিবালোকেই কেটে সাফ করে দেওয়া হচ্ছে গাছ। অভিযোগ, তৃণমূল অঞ্চল সভাপতির মদতে চলছে বৃক্ষ নিধন। যদিও তৃণমূল অঞ্চল সভাপতির দাবি আইন মেনেই যাবতীয় কাজ হচ্ছে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে আরামবাগের রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে জোরদার চাপানউতোর।
বর্তমানে গোঘাটের পশ্চিমপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের শান্তিপুর গ্রামের কল্লাইপুকুরের পাড়ে কয়েক হাজার গাছ কাটা চলছে। পঞ্চায়েতে সদস্যদের অন্ধকারে রেখে গাছ বিক্রির টেন্ডার ডাকা হয়েছিল বলে অভিযোগ। চাপানউতোরের এখানেই শেষ নয়। শোনা যাচ্ছে আসলে যে টাকায় গাছগুলি বিক্রি করা সম্ভব হতো তার থেকে চারগুণ কম দামে গাছগুলি বিক্রি করা হচ্ছে। আর পুরো কাজটাই নাকি করছে অঞ্চল সভাপতির লোকজন।
মুখ্যমন্ত্রী যেখানে বলছেন পাঁচ লক্ষ টাকার কাজ হলে অনলাইন টেন্ডার করতে হবে সেখানে পঞ্চায়েত প্রধান বলছেন পুকুর পাড়ে টেন্ডার হয়েছে। এখানেই উঠছে প্রশ্ন। টেন্ডারের নোটিশ পঞ্চায়েতের বোর্ডে ঝোলানো হল না কেন? প্রশ্ন তুলছে বিরোধীরা। এদিকে ১টি গাছ কাটলে লাগাতে হবে তিনটি গাছ, বলছে বনের আইন। কিন্তু, সেই আইনও মানা হচ্ছে না বলে অভিযোগ উঠছে এলাকায়। গাছ কাটার আগে নতুন করে কেন লাগানো হল না গাছ? বন দফতর থেকে অনুমতি নেওয়া হলেও কতগুলি গাছ কাটার অনুমতি পাওয়া গিয়েছে তা নিয়েও রয়েছে ধোঁয়াশা। বন দফতরের কাছেও কি হিসাব আছে? এই সব প্রশ্ন তুলে ক্ষোভ প্রকাশ করতে শুরু করেছে বিরোধীরা। চলছে শাসক-বিরোধী তরজা। যদিও তৃণমূল অঞ্চল সভাপতি ফরিদ খান সমস্ত অভিযোগই উড়িয়ে দিয়েছেন। তাঁর স্পষ্ট দাবি, যা হয়েছে সবই নিয়ম মেনে।