Malda Airport: মালদায় উঠবেন, কলকাতায় নামবেন! দশক পেরিয়ে আকাশপথেই ফের জুড়ল ‘দুই বঙ্গ’
Malda Airport: গত বছরের শেষের দিকে মালদা বিমানবন্দরের এমন ছবিটাই দর্শকদের কাছে তুলে ধরেছিল টিভি৯ বাংলা। আর বছর ঘুরতেই সেই বিমানবন্দরের ছবি যে বদলাতে চলেছে, এমনটাই জানা যাচ্ছে প্রশাসনিক সূত্রে। টিভি৯ বাংলার খবরের জের, টনক নড়েছে প্রশাসনের।
মালদা: স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছে মালদা বিমানবন্দর মানে পিকনিক স্পট। কেউ কেউ আবার গরু চড়াতেও নিয়ে যায় সেখানে। কারোর কাছে আবার মর্নিং ওয়াকের জন্য জায়গাটা বেশ পছন্দের। কিন্তু যেখানে বিমান ওঠা-নামার কথা, সেখানে কীভাবেই বা ভিড় জমাচ্ছে জনতা?
জানা যায়, দশক ধরেই বিকল হয়ে পড়ে রয়েছে মালদা শহরের এই বিমানবন্দর। কোটি টাকা খরচ করে রানওয়ে তৈরি করেও পরিষেবা শুরু হয়নি। কেউ তাতে পিকনিক করছে, কেউ হেঁটে চলে বেড়াচ্ছে, কেউ আবার ঠেলা গাড়ি নিয়ে গিয়ে ফুচকা বিক্রি করছে। রাত হলে এই তাণ্ডব বাড়ছে আরও এক ধাপ। স্থানীয় সূত্রে খবর, বসছে মদের আসর। ঘুরে বেড়াচ্ছে দুষ্কৃতীরা।
গত বছরের শেষের দিকে মালদা বিমানবন্দরের এমন ছবিটাই দর্শকদের কাছে তুলে ধরেছিল টিভি৯ বাংলা। আর বছর ঘুরতেই সেই বিমানবন্দরের ছবি যে বদলাতে চলেছে, এমনটাই জানা যাচ্ছে প্রশাসনিক সূত্রে। টিভি৯ বাংলার খবরের জের, টনক নড়েছে প্রশাসনের। অবশেষে, নতুন করে চালু হচ্ছে মালদা বিমান বন্দর, এমনটাই কানাঘুষো শোনা গিয়েছে প্রশাসনের অন্দর থেকে।
কিন্তু কবে থেকে নিজের রূপ ফিরে পাবে মালদা এয়ারপোর্ট? প্রশাসনিক সূত্রে খবর, দিনক্ষণ এখনও নির্ধারণ করা সম্ভব হয়নি। তবে আগামী মাস থেকেই শুরু হতে পারে বিমান পরিষেবা। মালদা থেকে সরাসরি কলকাতা পর্যন্ত চলবে বিমান। প্রথম দিকে ১৯টি আসনের বিমান দিয়ে পরিষেবা শুরু করতে চায় প্রশাসন। আর তার জন্য ইতিমধ্যেই ১৩ কোটি টাকা বরাদ্দও হয়ে গিয়েছে।
অতীত বলছে, ষাটের দশক থেকে ১৯৮৬ সাল পর্যন্ত এখানে চালু ছিল বিমান পরিষেবা। কোচবিহার ছাড়াও উত্তরবঙ্গের অন্যান্য বিমানবন্দরগুলির তুলনায় অনেকটাই বড় এই বিমানবন্দর। কিন্তু সময়ের পাকচক্রে আপাতত গোটাটাই বেদখল। ২০১৭ সালেও এই মালদা বিমানবন্দরের উন্নয়নের জন্য ১৭ কোটি টাকা বরাদ্দ করে সরকার। তৈরি হয় নতুন রানওয়েও। কিন্তু পরে সেই রানওয়েতেই মেলা নিয়ে বসে স্থানীয় মানুষজন।